খড়্গপুর থেকে রেল লাইন ধরে হেঁটে ঝাড়গ্রামে এলেন তেলেঙ্গানার কারখানার ৯ পরিয়ায়ী শ্রমিক


বৃহস্পতিবার,১৪/০৫/২০২০
1207

ঝাড়গ্রাম:- ফের রেলপথে পায়ে হেঁটে খড়গপুর থেকে ঝাড়গ্রাম পৌঁছলেন ৯ জন পরিযায়ী শ্রমিক। সকলের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে।লকডাউনে তেলেঙ্গানায় আটকে পড়েছিলেন রাঁচীর বাসিন্দা ৯ শ্রমিক। রেল লাইন ধরে পায়ে হেঁটে খড়্গপুর থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রাম শহরে হাজির হলেন তাঁরা। সন্ধ্যায় ওই ৯ শ্রমিককে দেখতে পান ঝাড়গ্রাম শহরের স্টেশন পাড়ার কয়েকজন যুবক। জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, তেলেঙ্গানা থেকে মোটা টাকা ভাড়া দিয়ে তাঁরা বাসে চেপে এসেছিলেন খড়্গপুরের চৌরঙ্গী পর্যন্ত।তেলেঙ্গানা থেকে আসার পথে বহুবার অন্ধ্র, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড রাজ্যের পুলিশ তাঁদের বাস আটকেছিল। থার্মাল স্ক্রিনিং করে তাঁদের অবশ্য ছেড়ে দেওয়া হয়। সোমবার বিকেলে বাসটি তাঁদের খড়্গপুরের চৌরঙ্গী এলাকায় নামিয়ে দেয়।৯ শ্রমিক খড়্গপুর গ্রামীণ এলাকার দিক থেকে রেল লাইন ধরে হাঁটতে থাকেন। এভাবে প্রায় চোদ্দ ঘন্টা হেঁটে এদিন সন্ধ্যায় তাঁরা ঝাড়গ্রামে পৌঁছন। খিদেয়, তেষ্টায় এবং পথশ্রমে কাতর শ্রমিকদের দেখে স্টেশন পাড়ার কয়েকজন যুবক তাঁদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন। রেল‌ গোডাউন চত্বরে তাঁদের বিশ্রামের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।

দিলীপ যাদব বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে তেলেঙ্গানার পল্লেপল্লি এলাকায় একটি কনস্ট্র্যাকশন কোম্পানিতে শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। লকডাউনে ওই কোম্পানির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। আটকে পড়েন তাঁরা। কিন্তু এভাবে আটকে থেকে তাঁদের সঞ্চিত টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছিল। খাওয়া-থাকার সমস্যা হচ্ছিল।
‘অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আমরা বাস ভাড়া করে ফিরছিলাম। প্রত্যেকের কাছে ৫০০০ টাকা করে ভাড়া নিয়ে বাসের চালক বলেছিল, আমাদের রাছি পৌঁছে দেবে। কিন্তু আজ দুপুরে খড়গপুর আসার পর বাস থেকে নামিয়ে দেয়। তারপর আমরা রেললাইন ধরে খড়গপুর থেকে রাঁচি যাওয়ার জন্য হাটা শুরু করি।’

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট