আপৎকালীন পরিষেবার জন্য মানুষ যাতে বিভিন্ন জায়গায় যেতে পারেন তার জন্য রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের তরফ থেকে আজ থেকে শুরু হলো কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাস পরিষেবা। পাশাপাশি পরিযায়ী শ্রমিক যারা অন্য রাজ্য থেকে ফিরছেন পরিবহন চালু না থাকায় সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে ঘরে ফিরতে। এই আপৎকালীন পরিষেবায় তারাই পরিসেবার সুযোগ পাবেন। লকডাউন জারি থাকলেও চালু আছে জরুরী পরিষেবা। যারা চিকিৎসা ক্ষেত্রে কাজ করছেন কিংবা ব্যাংকে কাজ করছেন তাদেরকে নিয়মিত অফিসে যাতায়াত করতে হচ্ছে। পরিবহন বন্ধ থাকায় এইসব ক্ষেত্রে কর্মীরা চরম বিপাকে পড়েছিলেন। তাদের কথা মাথায় রেখে আপৎকালীন এই পরিবহন পরিষেবা।
যারা সামনে থেকে দাড়িয়ে করানোর মোকাবিলয় লড়ছেন বা জরুরি কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের জন্য রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের এই উদ্যোগ। গত কালই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পরিবহন দফতর। মোট ১৫ টি রুটে চালু হয়েছে এই বাস চলাচল। হাওড়া থেকে গড়িয়া, ধর্মতলা থেকে আমতলা, গড়িয়া থেকে বারাসাত, জোকা থেকে বারাসাত, হাওড়াহ থেকে নিউটাউন রুটে চলাচল করবে সরকারি বাস। তবে সমস্ত সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এই পরিসেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।এদিন বাস কন্ডাক্টরের পি পি পড়ে কাজ করতে দেখা যায়। যাতে তারা কোনো রকম সংক্রমিত না হন। এছাড়া ২০ জন থেকে বেশি যাতে যাত্রী বাসে না ওঠেন সেই নির্দেশও পরিষ্কার ভাবে দেওয়া হয়েছে।
তবে শুধু সরকারি বাস নয়, যাতে বেসরকারি বাস মালিকরাও তাদের সাধ্যমত বাস চালু করে সেই দাবি তুলছেন যাত্রীদের একাংশ। অবশ্য বাস মালিক সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছে এত কম যাত্রী নিয়ে তাদের পক্ষে বাস চালানো সম্ভব নয়। এইভাবে বাস চালাতে যে খরচ হবে তার ফলে লোকসানের মুখোমুখি হতে হবে তাদের। জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বার সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মাত্র পনেরো কুড়ি জন যাত্রী নিয়ে একটা বাস চালালে যে খরচ হয় তার সিকিভাগও উঠবে না। এমনিতেই বাসের খরচ বেড়ে গিয়েছে।
সাধারণভাবে এমনিতেই তারা লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছিলেন। তাই রাস্তা থেকে অনেক বাস আগেই উঠে গিয়েছিল। রাজ্য সরকারের কাছে তারা ভাড়া বাড়ানোর দাবি অনেকদিন ধরে জানিয়ে আসছেন। সেই দাবি মান্যতা পায়নি। তারপরই লকডাউন শুরু হয় করোনা ভাইরাস মোকাবিলার জন্য। বাস মালিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে তাই রাজ্য সরকারের কাছে আর দাবি-দাওয়া পেশ করা সম্ভব হয়নি। রাস্তায় বাস বসে যাওয়ায় এখন তা নামাতে গেলে তা নতুন করে খরচ করতে হবে। তারপর সরকারি নিয়ম বিধি মেনে বাস চালালে প্রতিদিন তার পিছনে শ্রমিক খরচ আরো বেশি লাগবে। সরকারের কাছে তাই আবেদন রেখেছেন নতুন করে ভাবনা চিন্তা করার।