সুন্দরবনের বিধবা গ্রামের বিধবাদের জন্য হে‌শেল


বুধবার,১৩/০৫/২০২০
1019

সুন্দরী শ্যামলী কামধেনু ষাটোর্ধ্ব বিধবাদের জন্য খাবারের রান্নাঘর ।এদের স্বামীরা নদীতে মাছ ও কাঁকড়া ধরতে গিয়ে তো পাশাপাশি জঙ্গলে মধু ভাঙতে গিয়ে বাঘের পেটে চলে যেত। তাই আজ এরা অসহায় দারিদ্রতার মধ্যে পরেছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ বিধবাভাতা পেলেও সংসার ঠিকমত চলে না এরা গ্রামে ভিক্ষাবৃত্তি কত বয়সের ভারে তা আজও বন্ধ জীবন চলেনা।

বসিরহাট মহকুমার হিঙ্গলগঞ্জ ব্লক এর কালিতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের পারঘুমটি গ্রাম । প্রায় শতাধিক বিধবা মহিলা রয়েছে এই গ্রামে তাই গ্রামের মানুষের কাছে বিধবা গ্রাম বলেই পরিচিত ।তাদের একদিকে যেমন স্বামী হারিয়ে অসহায় একাকীত্ব হয়েছে। অন্যদিকে বাড়ির একমাত্র কর্মহীন কে জঙ্গলে বাঘে টেনে নিয়ে গেছে। এদের একমাত্র জীবিকা ছিল জঙ্গলের মধু ভাঙ্গা কেউ চোরাপথে আবার কেউ বনদপ্তরের চোখ এড়িয়ে জঙ্গলে পাড়ি দিত মধু ভাঙতে। তাই সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখে পরতে হতো ।এদের আজ স্বামী হারানো শুধু জঙ্গলের অতীত স্মৃতি বুকে আঁকড়ে রেখে দুবেলা খাবারের খোঁজে বেরিয়ে পরে। বিধবা গ্রামের বিধবা মহিলারা ।লকডাউন জেরে খাবারের সমস্যা দেখা দিয়েছে। ওদের জন্য তৈরি হয়েছে পারঘুমটি গ্রামের স্কুলে খাবারের হেশেল।

প্রতিদিন দু’বেলা নিয়ম করে টেবিল চেয়ারে বসিয়ে ডাল ভাত ডিম মাংস খাওয়া ব্যবস্থা করেছেন। সমাজসেবী ও শিক্ষক তুষার মন্ডল ,তিনি বলেন এই অসহায় বিধবা মহিলাদের কথা কেউ ভাবছে না ,তাই আমার মনে হয়েছে এই সংকটকালে তাদের দুটো পেট ভরে খাওয়ালে মনের তৃপ্তি পাওয়া যাবে ,কোথায় যাবে ঠিকমত চলতে পারেনা ভুরু কুঁচকে গেছে চোখের চামড়া গুটিয়ে গেছে ,সব মিলিয়ে এই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা খুশি ,যতদিন লকডাউন চলবে কতদিন আমরা তাদের খাওয়ার ব্যবস্থা করেছি, এই অর্থ যারা সমাজে ধনী পরিবার আছে তারা স্বেচ্ছায় তাদের খাবারের জন্য সবরকম ব্যবস্থা করছেন আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট