মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অপরিকল্পিতভাবে লকডাউন ঘোষণা করায় কয়েক কোটি মানুষ দূর্ভোগে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। মমতা বলেন যদি এইভাবে হঠকারী সিদ্ধান্ত না নেওয়া হতো তাহলে পরিযায়ী শ্রমিকদের এই ভাবে হয়রানির শিকার হতে হতো না। রাজ্যে করো না পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সাহায্য চাওয়া হলেও তেমন সাহায্য মিলছেনা, অনুযোগ মমতার। রাজ্য সরকার তার সাধ্যের মধ্যে থেকে সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে ছাড় দেওয়া হবে সরকারের পক্ষ থেকে। সাধারণ মানুষ তাদের রুজি রুটি করে খেতে পারে তার কথা ভেবেই এই ছাড়।
তবে কোনোভাবেই হালকাভাবে নেওয়া হবে না লকডাউনকে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই সবকিছু করতে হবে। রেড জোন এলাকায় কোন ছাড় মিলবে না এদিন স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন এসব পরিযায়ী শ্রমিকেরা ঘরে ফিরে আসছে তাদেরকে কাজের মধ্যে নিয়ে আসা হবে। ১০০ দিনের কাজে তাদের ব্যবহার করা হবে বলে জানান তিনি। ইতিমধ্যেই এক লক্ষ মানুষ বাংলায় ঘরে ফিরেছে বলে জানান মমতা। একসঙ্গে বেশি মানুষ ঘরে ফিরলে সমস্যা দেখা দিতে পারে সেজন্যই পরিকল্পনামাফিক ধাপে ধাপে রাজ্যের মানুষকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। যেসব মানুষ নিজেদের প্রচেষ্টায় রাজ্যে ফিরে আসছেন তারা যেন স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। করো না কে প্রতিহত করতে প্রতিটি মানুষের সতর্ক থাকার আবেদন রাখেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যাদের রেশন কার্ড নেই তাদের কুপন দেওয়া হবে। সেই কুপনের মাধ্যমে রেশন পাবেন তারাও।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে কি বলেছেন একবার দেখে নেওয়া যাক:
- পরিকল্পনা না করে লকডাউন করায় সমস্যা তৈরি হয়ছে।
- বাংলায় প্রায় এক লক্ষ মানুষ এসেছেন।
- ১০০ দিনের কাজে পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজে লাগানো হবে।
- দুর্দিনে কেউ তাড়িয়ে দিলে সম্পর্ক রাখবেন না।
- ১১ লক্ষ ক্রেডিট কার্ডকে
- রেশন কার্ড না থাকলে কুপন দেওয়া হবে।
- স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে দিয়ে মাস্ক ও গ্লাভস তৈরি করাতে হবে।
- নার্সরা খুব ভালো কাজ করেছে,শুভেচ্ছা।
- দুমাস ধরে সমস্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ।
- কেন্দ্রের কাছ থেকে খালি থালা নিয়ে ফিরতে হচ্ছে। #এখনো ৫২হাজার কোটি টাকা বকেয়া আছে।
- রেশন সহ নানা খাতে বিপুল খরচ হচ্ছে।
- কেন্দ্র বলেছে করোনাকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে।
- এখনই করোনা যাবে বলে মনে হয় না।
- আপাতত তিন মাসের জন্য স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা দরকার।
- পরিকল্পনা ছাড়া করায় যাবতীয় সমস্যা।
- রেড জোনকে তিন ভাগে ভাগ করা হবে।
- ১০০ দিনের কাজে পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজে লাগাতে হবে।
- দুর্দিনে কেউ তাড়িয়ে দিলে সম্পর্ক রাখবেন না।
- ১১ লক্ষ কিষান ক্রেডিট কার্ড কে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
- পুলিশ ঠিক করবে কোথায় কি ছাড় দেওয়া হবে।
- জুয়েলারি, ইলেকট্রিক, ইলেকট্রনিক্সের দোকান খুলবে। মোবাইল সার্ভিস রেস্তোরাঁ বাদে খাবারের দোকান গুলো সকাল ৬ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত খুলবে।
- রপ্তানি ও আমদানি চালু করা হচ্ছে।
- ১৭ মার্চ প্রথম বাইরে থেকে করোনা আছে কলকাতায়।
- চিকিৎসা হলে অনেকেই সুস্থ হয়ে যাচ্ছে।
- করোনা নিয়ে ভয় পাবেন না।
- বাংলায় প্রায় এক লক্ষ মানুষ ঢুকে গিয়েছে।
- লকডাউন কড়া ভাবেই চলবে।
- ১০০দিনের কাজে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে ১০০ দিনের কাজে শ্রমিক বাড়াতে হবে।