লালগড়ের নেরা গ্রামের ধানক্ষেতে ঢুকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করলো ৫ টি শাবক সহ ২০টি হাতির দল,আতঙ্কে গ্রামবাসীরা


রবিবার,১০/০৫/২০২০
716

ঝাড়গ্রাম:- লকডাউনে এমনিতেই রুজি বন্ধ। এখন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা দিচ্ছে জঙ্গলের হাতিরা। খাবারের সন্ধানে তারা লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। মাঠভরা এখন পাকা ধান। বোরো চাষ এখনও শেষ হয়নি। বেশিরভাগ চাষী লকডাউনের জন্য মাঠের ফসল গোলায় তুলতে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে হাতির দল চলে আসায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকার চাষীরা।

বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড রাজ্য থেকে ৬০ টি হাতির দল বেলপাহাড়ির সীমানা পেরিয়ে ঝাড়গ্রাম জেলায় ঢুকে পড়েছে। হাতির দলটি বেলপাহাড়ির কোদপাল এলাকায় হয়ে কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। ৩০টি হাতির দল কোদপাল বনক্ষেত্র এলাকায় রয়েছে। বাকি হাতিগুলির মধ্যে শিলদা বনাঞ্চলের তিলাবনি জঙ্গলে রয়েছে ১১ টি হাতি। বাকি ১৯টি হাতি সকালে লালগড়ের নেরা গ্রামের ধানক্ষেতে ঢুকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। ওই দলে রয়েছে পাঁচটি শাবক-হাতি। বন দপ্তরের লোকজন ও হুলা পার্টির লোকজন সারাদিন চেষ্টা করেও হাতির দলটিকে নড়াতে পারেনি। হাতির দলটি প্রায় পঞ্চাশ বিঘে জমির ধান নষ্ট করে।

হাতির দল নিয়ে যথেষ্ট চাপে আছে ঝাড়গ্রাম বন বিভাগ। পড়িহাটি বনাঞ্চলের ফুলঝোড় জঙ্গলে রয়েছে আরও ২০ টি হাতি। এছাড়াও দলদলি জঙ্গলে ৫ টি, এবং লোধাশুলি বনাঞ্চলের চাকুয়া জঙ্গলে ৩ টি হাতি রয়েছে। আরও খান দশেক হাতি বিভিন্ন জঙ্গলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের বিভাগীয় আধিকারিক বাসবরাজ এস হলেইচ্চি বলেন, “হাতির দলগুলিকে জঙ্গলে পাঠানোর চেষ্টা হচ্ছে। চাষীদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।”

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট