রাজনৈতিক তরজা অব্যাহত। একদিকে বিজেপির বিরুদ্ধে কমান দাগছেন তৃণমূলের নেতারা আবার অন্যদিকে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলছেন বিজেপি নেতারা। করোনা পরিস্থিতিতেও এই ভাবেই রাজ্যের শাসক দল বানান বিজেপির লড়াই তুঙ্গে। এরইমধ্যে কেন্দ্রীয় টিমের এক সদস্যের করোনা ধরা পড়েছে। কেন্দ্রীয় টিম যারা রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসেছিলেন তাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ওই বিএসএফ কর্মী। তার শরীরে করোনাভাইরাস মেলায় রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে সরগরম হয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করে বলেছেন রাজ্যে করোনা আরো বেশি করে ছড়িয়ে পড়ুক সেটাই চাইছে কেন্দ্রের বিজেপি নেতারা। কেন্দ্রীয় টিমের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিএসএফ কর্মীর এই ঘটনা অনেক প্রশ্ন জন্ম দেয়। কেন্দ্রেরর বিজেপি চাইছে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এই করোনার মধ্যেও রাজনীতি করতে। তৃণমূল কখনই রাজনীতি করতে চাই না এই বিষয়ে।
পাল্টা অভিযোগ এনেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আবারো তিনি অভিযোগ করেছেন করুণা নিয়ে রাজ্য সরকার প্রতিদিন ভুল তথ্য দিচ্ছে। মানুষের বিপদের মধ্যে রাজ্য সরকার বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
এরই মধ্যে যাদবপুরের কেপিসি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা উপসর্গ ধরা পরল। ওই হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগের 3 জন রোগীর করোনা উপসর্গ ধরা পড়েছে। হাসপাতালের নার্স ,চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী সহ 40 জনকে করেনটাইনে পাঠানো হয়েছে।হাসপাতলে স্বাভাবিক পরিষেবা ব্যাহত।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে সুপারের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন হাসপাতালের ঠিকা শ্রমিকরা। এদিন ঠিকা শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রাজ্যে সরকার নার্স, চিকিৎসক, ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বিমা ঘোষণা করেছেন। তবে ঠিকা শ্রমিকদের জন্য বীমা ঘোষণা করা হয় নি। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের কাছে আমাদের দাবি মাসিক বেতন বাড়াতে হবে। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য কর্মীদের পাশাপাশি আমাদেরও পিপিও, মাস্ক বিতরণ করতে হবে।
কলকাতা মেডিকেল কলেজে কন্টাক্ট বেসিক কর্মীদের M,S,V P বিল্ডিংয়ের সামনে ,,,ও একাডেমিক বিল্ডিং এর সামনে বিক্ষোভ দেখায় কন্টাক বেসিক কর্মীরা,,, তাদের মূলত দাবি- তাদের কোন সিকিউরিটি নেই। 10 লক্ষ টাকা জে বিমা করা হয়েছে তা কাগজপত্র তাদের হাতে এখনো অব্দি দেওয়া হয়নি। তাদের পরিবার কোন সেফটি তে নেই। এছাড়াও আজকে হয়ে গেল 7 তারিখ তারা বেতন এখনো অব্দি পায়নি। শুধু ppe কিট পড়ে ডিউটি করলে কি তারা কি সেফটি থাকবে কি।এছাড়াও আরও অভিযোগ,, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে আসছে। কর্মীদেরকে ধমক দেয়া হচ্ছে তারা যদি করনের ডিউটি না করে তাহলে তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে এবং অন্যদেরকে কন্টাকে দিয়ে দেয়া হবে। যারা ডাইরেক স্টাফ তারা সাসপেক্ট ডিউটি করবে,, ar কন্টাক্ট বেসিক কর্মীরা ডাইরেক করোনা ডিউটি করতে হবে।