পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বললে” কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকায় কেন্দ্রীয় সরকারের অধিকারের এলাকার কথা উল্লেখ আছে, কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্বের কোনো উল্লেখ নেই।
বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার সমাধানের কথা, রাজ্যে রেশনিং ব্যাবস্থা ও গণ বন্টন ব্যবস্থার সমস্যা সমাধানের দিশার কথা এখানে উল্লেখিত নেই। রেশনিং ব্যবস্থার উপর নজরদারি চালানোর জন্য ব্লকে ব্লকে সর্বদলীয় মনিটরিং কমিটি গড়ার দাবি আমরা জানিয়েছিলাম। সে বিষয়ে কোনো দিশা নেই। এছাড়াও চা বাগানের শ্রমিকদের সমস্যা, কল কারখানা চালু হয়ে গেলে সেখানকার শ্রমিকদের সুরক্ষা এসব কোনো বিষয়েরই উল্লেখ নেই কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকায়।কেন্দ্রীয় সরকারের অধিকার নিয়ে আমাদের কোনো প্রশ্ন নেই, কিন্তু অধিকার ফলানোর পাশাপাশি দায়িত্বও পালন করতে হবে তাঁদের “।লকডাউন প্রসঙ্গে দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যকে কড়া বার্তা দিয়েছে কেন্দ্র।
পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় লকডাউন অক্ষরে অক্ষরে পালন হচ্ছে না এই অভিযোগ জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব চিঠি দিয়েছে রাজ্যকে। ওই চিঠিতে কেন্দ্রীয় টিম এসে এলাকা পরিদর্শন করবেন এমনটাও জানিয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্র এবং রাজ্যকে সমন্বয় নিয়ে কাজ করতে হবে। এখন বিরোধের সময় নয়। কেন্দ্রীয় সরকার যেসব ঘোষণা করেছিল তা আদৌ কতটা কার্যকর হল তা কেন্দ্রকে দেখা উচিত। এ রাজ্যের বহু পরিযায়ী শ্রমিক ভিন রাজ্যে আটকে রয়েছেন। তারা খাদ্যের অভাবে ছটফট করছেন, ফিরতে চাইছেন। তাদের ফেরানোর ব্যাপারে কি উদ্যোগ নেওয়া হলো তাও স্পষ্ট নয়। মানুষের নায্য বেশ কিছু দাবি রয়েছে। তার কি হবে তা কেন্দ্রীয় অর্ডারে কিছু বলা হয়নি।