রাজ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে । ফলে আজ বিকেল পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হল ১২। নবান্নে আজ করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় সব রাজ্যের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং মাডিকেল কলেজগুলির অধ্যক্ষদের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা একথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৩ জনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।মৃত ও ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে এই নিয়ে বর্তমানে মোট ১৭৮ জন রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন।আজই ৭ জন সুস্থ হয়ে ছাড়া পেয়েছেন বলে তিনি জানান।
অন্যদিকে করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের পরিকাঠামোর অভাব এবং কম নমুনা পরীক্ষার অভিযোগ আজ মুখ্যসচিব তথ্য দিয়ে খারিজ করে দিয়েছেন।কনটেনমেন্ট জোন নিয়েও সাধারণ মানুষকে তিনি আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন।তাঁর দাবি করোনা মোকাবিলা নিয়ে সরকার পুরোপুরি প্রস্তুত। মুখ্য সচিব জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে গোটা রাজ্যে করোনার চিকিৎসার জন্য রাজ্যের ৬৬টি হাসপাতালে ৭ হাজার ৯৬৯টি বেডের প্রস্তুতি নেওয়া আছে।করোনা রেড জোন হাওড়া জেলায় ৫৮০ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে ৬৫ জনের রিপোর্ট পজিটিভ হয়েছে।
পাশাপাশি মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলা থেকেও ৪০ জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য কলকাতায় আনা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে শহরের বড় ল্যাবগুলিতে প্রতিদিন ১০০টি নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে ।সরকারি কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৩ হাজার ৮৫৮ জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে ৩৫ হাজার ২০৯ জন। রাজ্যে পিপিই বিতরণ করা হয়েছে ৩ লক্ষ ৭৫ হাজারটি। সতর্কতা বজায় রেখে প্রাইভেট ক্লিনিকগুলি খোলা রাখলে সেখানে আরও বেশি সংখ্যক স্ক্রিনিং সম্ভব হবে বলে মুখ্য সচিব সব রকম সুক্ষার ব্যবস্থা রেখে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক খোলার আহ্বান জানিয়েছেন।