চিকিৎসকের কথায়, কোভিড-১৯ এর প্রভাব আগামী বেশ কিছু দিনের মধ্যে আরও বাড়বে। যে রেশিও তে এটা সংক্রমিত হচ্ছে, সেই হারে চললে তা ভারতের জন্যে খুবই ভয়ের কথা। প্রতিদিন এর রূপ পরিবর্তিত হচ্ছে। ফলে নিত্যদিন বদলে যাচ্ছে উপসর্গ, যা বিশ্বের গোটা চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞ মহলকে ভাবাচ্ছে। এইভাবে করোনা তার রূপ বদল করায় চিকিৎসকরা পড়ছেন সমস্যায়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এক দেশ থেকে আরেক দেশের আবহাওয়ায় যখন করোনাভাইরাস পৌঁছাচ্ছে তখনই বদলে যাচ্ছে তার চরিত্র। যেসব দেশের আবহাওয়া ঠান্ডা সেখানে করোনা চরিত্র এক রকম, আবার যেখানে আবহাওয়া গরম সেখানে চরিত্র আর একরকম। স্বাভাবিকভাবেই চিকিৎসার কৌশল বদল করতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।
সাধারণ মানুষদের অনেকেরই ধারণা, যেহেতু করোনা ভাইরাসকে চোখে দেখা যায় না, তাই তার শক্তিও নাকি অতোটা নয়। কিন্তু চিকিৎসকের মতে এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।এর গতি-প্রকৃতি নির্ধারিত হচ্ছে না বলেই, চিকিৎসকেরা এর যুদ্ধ করতে গিয়ে নাজেহাল হয়ে পড়ছে।
ডা. সুপর্ণা ব্যানার্জির কথায়, এই রোগ থেকে এখনও পর্যন্ত যে বিষয়টা বোঝা যাচ্ছে তা হল যদি কেউ ডায়বেটিক হয়,কিম্বা কারোর কিডনি সম্পূর্ণ ড্যামেজ থাকে, বা ক্যান্সারের রোগী হয়, তাহলে করোনা তার ওপর বেশি প্রভাব ফেলবে। অর্থাৎ, কারোর ইমিউনিটি পাওয়ার কম থাকলেই তাকে করোনা সংক্রমিত করবে।
চিকিৎসকের কথায়, তাই যে লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে, তা যেন প্রত্যেকটি মানুষ দায়িত্বের সাথে মেনে চলে। যাদের ইমার্জেন্সি কাজে বেড়তে হচ্ছে, তাদের তো বাইরে বেড়তেই হচ্ছে। কিন্তু যারা ঘরে থাকতে পারছেন, তারা কম সে কম বাড়িতেই থাকুন। আর লকডাউন উঠে যাওয়ার মানেও যে করোনা চলে গেছে তা কিন্তু নয়, তাই তার পরও নিয়ম মানতে হবে সকলকে। গ্যাদারিং বন্ধ না করলে গোষ্ঠী সংক্রমণ আটকানো যাবে না, এমনটায় মত চিকিৎসকের।