ওঁদের কারোর বাড়ি নদীয়া আবার কারোর বা মুর্শিদাবাদ। কেউ থাকেন পশ্চিম মেদিনীপুর আবার কেউবা বর্ধমান। গভীর সংকটে ওরা আজ একাকার। কেউ বৃদ্ধ, কেউ যুবক। মহিলা থেকে শিশু। সবার গলায় ঘরে ফেরার আর্তি। বৃদ্ধি পেয়েছে লকডাউনের সময়সীমা। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে মেয়াদ। দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর ভেলোরে চিকিৎসা করাতে গিয়ে আটকে পড়েছেন এ রাজ্যের বহু মানুষ। ফুরিয়ে গিয়েছে অর্থ, শেষ হয়ে গিয়েছে রসদ। জুটছে না দুবেলা-দুমুঠো খাবার। শিশুদের অবস্থা আরও করুণ। ভিডিও বার্তায় তাই আবেদন জানাচ্ছেন তাদের ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হোক।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রতিবছর কয়েক লক্ষ মানুষ ভেলোরের খ্রিস্টান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যান। কম খরচে সুচিকিৎসার জন্য যথেষ্টই খ্যাতি রয়েছে ভেলোরের। লকডাউন শুরু হওয়ার আগে এরকম বহু বাঙালি সেখানে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় আর ঘরে ফেরা সম্ভব হয়নি ওঁদের। লকডাউনের বাকি দিনগুলি কিভাবে কাটাবেন তা ভেবে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। প্রশাসন তাদের ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করুক এই আবেদন রাখছেন তারা।