জিয়াগঞ্জের সেলিম শেখ, শেখ রিয়াজ সহ আট যুবক গত চারদিন ধরে হেঁটেই চলেছেন। মনে সাহস নিয়ে সুদীর্ঘ পথ পাঁড়ি দিয়েছেন তাঁরা। কারণ ঘরে যে তাদের ফিরতেই হবে। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা কি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন তা নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজও রয়েছে। ওঁরা যে পরিযায়ী শ্রমিক। অন্ন সংস্থানের তাগিদে মুর্শিদাবাদ জেলার জিয়াগঞ্জ থেকে ওঁরা পাড়ি দিয়েছিল ওড়িশার ভুবনেশ্বরে। ওখানেই পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন তারা। কে জানত হঠাৎ করে দেশজুড়ে লকডাউন শুরু হবে? ঘরে ফেরার তাই কোনো সুযোগই পাননি ওঁরা। বন্ধ হয়ে যায় কাজ। পাওনা পারিশ্রমিক না দিয়ে বেপাত্তা হয়ে যায় ঠিকাদার। এক সময় লকডাউনে থমকে যায় জীবন, অভাব ধরে খাদ্যের। সিদ্ধান্ত নেয় ঘরে ফেরার। যানবাহন বন্ধ তাতে কি, পায়ে হেঁটেয় বাড়ি ফেরার পথে রওনা হয়ে যান তারা।
পায়ে হেঁটে এসে পৌঁছেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলা শহরে, মেদনীপুর শহরে। মেদিনীপুর শহরে এদিন সকালে ওই যুবক দলকে দেখে পুলিশ তাদের আটকায়। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয় তাদেরকে তাদের নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছে দিতে। এরই মধ্যে তারা হেঁটে ফেলেছেন কয়েকশো কিলোমিটার পথ।