যে এনডেমিক ডিজিজ আজ ভারতের মধ্যে এাস সৃষ্টি করেছে,যার উৎপওি -করোনা ভাইরাস, সাবধানতা অবলম্বন করলে ভয়ের কোন কারন নেই। এমনটাই জানালেন ডাঃ বিশ্বনাথ দাস।তিনি বলেন, এই ভাইরাসটি অন্যান্য বস্তুর উপরে সর্ব্বোচ্চ ১২ ঘন্টা ( জামা-কাপড় -৯ ঘন্টা, প্লাস্টিকের উপর -৮ ঘন্টা,ধাতবের উপর ১২ ঘন্টা ) বেঁচে থাকতে পারে। যদি কোন জীবের সংস্পর্শে আসে তা আবার সংক্রমন ছড়াতে শুরু করে দেবে।
এই ভাইরাসটি মানুষের শরীরে গলাতে সংক্রমন হয়। প্রাথমিক লক্ষনাদির মধ্যে গা ম্যাজ,ম্যাজ করা,চোখ লাল ও চোখ জ্বালা করে, গলায় শুকনো কাশি দেখা দেয়,
পরবতী’কালে ২ / ৩ দিন পর এই ভাইরাসটি শ্বাসনালীর মাধ্যমে ফুসফুসের ভিতরে প্রবেশ করে, পরবর্তী কালে নিউমোনিয়া রোগ সৃষ্টি করে। এর সংগে শরীরে তীব্র প্রদাহ ও তীব্র শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা সৃষ্টি করে। এই ভাইরাসটি হাওয়ায় ছড়ায় না, ৩০ ডিগ্রী তাপমাএায় শেষ হয়ে যায়। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ২.২ % রোগী মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে।
প্রতিরোধ মূলক ব্যাবস্থা : সর্বপ্রথমে শরীরে ইমুনিটি বাড়াতে হবে, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। জল কিছুক্ষন অন্তর ব্যবহার করতে হবে, কথা বলার সময় পারস্পরিক ব্যবধান ১ মিটার দূরত্ব রাখা প্রয়োজন, বাড়ীতে খোলা হাওয়ায় কিছুক্ষন চলাফেরা প্রয়োজন, মুখে, চোখে হাত না দেওয়া অতি সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। পরিশেষে প্রতিদিন কম পক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম প্রয়োজন।
ভাইরাসের উড়ার ক্ষমতা নেই, সংক্রামিত ব্যক্তির শরীর থেকেই সংক্রামন হওয়ার প্রবনতা থাকে। সুতরাং কিছু সময় অন্তর সাবান দিয়ে হাত পরিস্কার রাখা প্রয়োজন। হাঁচি ও কাশির সময় টিসু পেপার কিম্বা কাপড় দিয়ে মুখ চাপা দেওয়া অব্যশই প্রয়োজন।