শুক্রবারও রাস্তায় নামলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পৌঁছে গেলেন হতদরিদ্র মানুষদের কাছে। কালীঘাটে ফুটপাত বাসীদের কাছে পৌঁছে যান তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন এই পরিস্থিতিতে আর ফুটপাতে কাউকে যেন থাকতে না হয়। এইসব ফুটপাথ বাসীদের জন্য নাইট শেল্টার ব্যবহারের নির্দেশ দেন মমতা। প্রশাসনিক কর্তাদের এই বিষয়টা দেখবার নির্দেশ দেওয়া হয়। কালীঘাট নাইট সেন্টারে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৌঁছে দেন আলিপুরে রিক্সা স্ট্যান্ডে। কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে রয়েছেন এখানকার রিকশা চালকরা। তাদের মধ্যে ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন মমতা। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাদের সমস্যার কথা শোনেন।
কিভাবে এই সমস্যা দূর করা যায় তার জন্য প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে নেন। এই কঠিন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর নিজে রাস্তায় নেমে যেভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছেন তার জন্য বাহবা দেন সাধারণ মানুষ।
করনায় সন্ত্রস্ত বিশ্ববাসী। করনা প্রতিহত করতে দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। আর এই লকডাউন এর ফলে সবচেয়ে বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন দেশের হতদরিদ্র মানুষেরা। রুটি রুজি বন্ধ। রিকশাচালক থেকে শুরু করে কারখানা শ্রমিক কিংবা ফেরিওয়ালা বা ফুটপাতবাসী – পরিবারের সদস্যদের মুখে খাবার তুলে দিতে আজ করুন অবস্থা তাদের। কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয় সরকার এইসব মানুষদের জন্য অনেক প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পথে নেমেছেন। এই সুযোগে যাতে কোনভাবে কালোবাজারি না হয় তা নজর রাখছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন আপাতত এক মাসে রেশন ফ্রিতে দেওয়া হবে সাধারণ মানুষকে। তিন মাস ফ্রিতে রেশন দেওয়া হবে কিনা পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন তিনি।