করোনা ভাইরাস আর মাস্ক সংবাদ।
কোনও গুজব নয়, আতঙ্ক নয় – বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক, হু এর নির্দেশিকা মেনে চলুন।
তিন রকমের মাস্ক এর কথা উঠছে।
১) সার্জিক্যাল মাস্ক বা থ্রি লেয়ার মাস্ক
২) N95 রেসপিরেটর মাস্ক
৩) শাড়ির টুকরোর মাস্ক
তিনটে দিয়েই ফিল্টার করা যায়। ক্ষুদ্র কনিকা বা জীবন্তু ক্ষুদ্র বস্তু আটকানো যায়।
এবার কথা হলো ক্ষুদ্র মানে কতো ক্ষুদ্র এবং তার ধরণ ধারণ কি!
ক্ষুদ্র জীবন্ত বস্তুর কথা আসছে কেন?
না, করোনা ভাইরাস হলো অতিক্ষুদ্র এক জীবন্ত বস্তু।
ভাইরাসের আকৃতি কেমন হয়?
না, মোটামুটি ০.০২ – ০.২৫ মাইক্রন বা মাইক্রোমিটার।
এক মাইক্রোমিটার মানে হলো এক মিটারের দশ লক্ষ ভাগের এক ভাগ।
বুঝতে সুবিধে হয় যদি বলা যায়, ১ টা চুলের ব্যাস হলো ৫০ মাইক্রোমিটার, আমরা একটা চুল দেখতে পাই কিন্তু ৪০ মাইক্রোমিটারের নীচে আর কিছু দেখতে পাইনা। তাই ভাইরাসকে আমরা দেখতে পাইনা। কারণ তা একটা চুলের ২০০০ ভাগেরও কম।
এবার এই ভাইরাস বায়ু বাহিত হতে পারে আবার মানুষের স্পর্শ, হাঁচি, কাঁশি থেকে সংক্রমিতও হতে পারে।
যেমন সোয়াইন ফ্লু বা জিকা হলো বায়ু বাহিত ভাইরাল ইনফেকশন। এতে করে বায়ুর ক্ষুদ্রতম কনিকাগুলো এই ভাইরাসকে বহন করে নিয়ে গিয়ে মানুষকে সংক্রামিত করে।
সোয়াইন ফ্লু ভাইরাস H1N1 র আকৃতি হলো ১২ মাইক্রন, জিকার আকৃতি হলো ০.০৪ মাইক্রন।
এগুলি আটকাতে N95 respirator musk প্রয়োজন। এই মাস্ক ০.০৩ মাইক্রন আকৃতির কনিকাকে ৯৫% পর্যন্ত আটকাতে পারে।
কিন্তু করোনা ভাইরাস বায়ু বাহিত নয় – এই ভাইরাস সংক্রমন মানুষের হাঁচি, কাঁশির কফের কনিকা থেকে হয়।
এখন এই কফ কাঁশির কনিকার আকৃতি কেমন?
০.১ – ৯০০ মাইক্রন।
এবারে দেখি কোন মাস্ক কোন আকৃতির কনিকা আটকাতে পারে।
NS95 মাস্ক – ০.০৩ মাইক্রন
সার্জিকাল মাস্ক – ০.১- ১০ মাইক্রন
সাধারণ কাপড়ের টুকরোর মাস্ক – ২০ মাইক্রন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা ভাইরাস আটকাতে সাধারণ মানুষের সার্জিকাল মাস্ক বা থ্রী লেয়ার মাস্কই যথেষ্ট। N95 respirator musk এর প্রয়োজন নেই।
N95 মাস্ক প্রয়োজন হলো চিকিৎসকদের, যারা সংক্রামিত রোগীর সংস্পর্শে আসেন।
কিন্তু কখনই ২০ মাইক্রন কনিকা আটকাতে পারে যে সাধারণ কাপড়ের টুকরো, তা কখনই ব্যবহার করা উচিৎ নয়, কারণ কফের কনিকার আকৃতি ০.১ থেকে শুরু। ফলে কাপড়ের টুকরোর ব্যবহার হবে মারাত্মক ফলদায়ক।