প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে আগেই এগিয়ে আসলেন বিধায়ক ইদ্রিস আলী


বৃহস্পতিবার,১২/০৩/২০২০
935

দীর্ঘ ১১ বছর থেকে সম্পত্তি নিয়ে  শরিকি বিবাদের জেরে নিজের বসতবাটির উপর টিনের ছাউনি টুকুও করতে পারছিল না উলুবেড়িয়া পুরসভা এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডের  বাসিন্দা ছাত্রী মধুমিতা দেঁড়ে। গত বছর আগষ্ট মাসে পুরসভার ১১ নং ওয়ার্ডে আয়োজিত  দিদি কে বলো জনসংযোগ কর্মসূচিতে উলুবেড়িয়া পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক তথা আইনজীবি ইদ্রিস আলীর কাছে তার বাড়ির  সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন শ্যামসুন্দরচকের বাসিন্দা মধুমিতা দেঁড়ে। সেই সময় মধুমিতার সমস্যার কথা শুনে তাকে আইনি সহায়তা দেবার  প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিধায়ক । সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে আগেই এগিয়ে এসেছিলেন বিধায়ক । বৃহস্পতিবার মধুমিতার এই মামলার শুনানি তে উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতে হাজির হয়ে যান ইদ্রিস আলী। শুনানি পর্ব শেষে ইদ্রিস আলী বলেন দীর্ঘ ১১ বছর ধরে জমি বিবাদ সংক্রান্ত মামলার জেরে মধুমিতা তার বাড়ির উপর পাকাপোক্ত ছাউনি করতে পারছিল না। তিনি বলেন শুনানি চলাকালীন আমি আদালতে বলেছি মানবিকতার খাতিরে এই বিষয়টির নিস্পতি করা হোক।

আদালতে  ইদ্রিস আলী তার পাশে আইনি লড়াইয়ে দাঁড়ানোই খুশি মধুমিতা ও তার মা মঙ্গলা দেঁড়ে।  ইদ্রিস আলী বলেন এদিন বিচারক তাদের কথা শুনেছেন। শুনানি পর্ব শেষে এদিন বাইরে বাদী ও বিবাদী পক্ষ ও তাদের আইনজীবীদের নিয়ে বিষয় টি যাতে পারস্পরিক ভাবে সমাধানের দিকে নিয়ে যাওয়া যায় সেই আলোচনা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী অদৃত হাজরা । ইদ্রিস আলি বলেন আগামী ২৮ শে মার্চ  ওই জায়গায় আমিন দিয়ে মাপজোক করার কথা হয়েছে। তারপর সেই সংক্রান্ত কাগজপত্র আদালতে দেওয়া হবে। এদিন আদালতে বাইরে দাঁড়িয়ে মধুমিতা বলেন আমাদের বিধায়ক যে ভাবে আমাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন তাতে আমি অভিভূত । যে মামলা আজ দীর্ঘ ১১ বছর ধরে চলছে। তা বিধায়কের উদ্যোগে অনেকটাই সমাধানের পথে। প্রসঙ্গত বাউরিয়া কাজীরচড়া চৌরাস্তা এলাকার বাসিন্দা

মধুমিতা দেঁড়ের সঙ্গে তার আত্মীয়দের জমি বিবাদ দীর্ঘদিনের। মধুমিতার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই মা ও ছোট ভাইকে নিয়ে তার অভাবের সংসার। নিজে প্রাইভেট টিউশানি করে সংসার চালায় মধুমিতা । পাশাপাশি সে বি এড করছে। আইনি জটিলতার কারণে নিজেদের ভগ্নপ্রায় বাড়ি সারাতে না পেরে কার্যত নাজেহাল হয়ে পড়েছিল মধুমিতা। অবশেষে দিদিকে বলো কর্মসূচী চলছে শুনে গত বছর আগষ্ট মাসে সে হাজির হয়েছিল স্হানীয়  বিধায়কের কাছে। সেই সময়   নিজের ওই সমস্যার কথা বলেন মধুমিতা। আইনি জটিলতার কারণে নিজের বাড়ি সারাতে  পারছে না সে তাও বিধায়ক কে বলেন। সেদিনের দিদিকে বলো র  অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে বিধায়ক ইদ্রিশ আলি মধুমিতাকে আইনি সাহায্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন আমি নিজে একজন আইনজীবী তাই তোমার মামলা আমি নিজে বিনা পারিশ্রমিকে লড়ব।

ইদ্রিস আলি বলেন ১২ নং ওয়ার্ডে দিদিকে বলো কর্মসূচীতে ওই ছাত্রীটি তার অসহায় অবস্থার কথা ব্যক্ত করেছিল।  সেই সময় আমি তাকে কথা দিয়েছিলাম তার পাশে থাকার। সেই কারণে আমি  মধুমিতার হয়ে আইনি সহায়তা দিতে সব সময় থাকছি।

মধুমিতা দেঁড়ে বলেন দীর্ঘ ১১ বছর ধরে আইনি লড়াই চলছে।  ভাঙা বাড়িতেই কষ্টে দিন কাটাচ্ছি । তবে যেভাবে বিধায়ক তথা আইনজীবী আমার পরিবারের সাথে দাঁড়ালেন তাতে আমি অভিভূত।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট