ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা: করোনা ভাইরাসসহ অন্যান্য রোগের বিস্তার সীমিত পর্যায়ে রাখতে মেডিকেল মাস্ক সাহায্য করে। তবে এটার ব্যবহারই এককভাবে সংক্রমণ হ্রাস করতে যথেষ্ঠ নয়। নিয়মিত হাত ধোয়া এবং সম্ভাব্য সংক্রমিত ব্যক্তির সাথে মেলামেশা না করা এই ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমানোর সর্বোত্তম উপায়। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড ইমিউনোলজি বিভাগের অ্যাসিসটেন্ট রিসার্চ প্রফেসর এরিন শরেলের মতে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও ছড়ানো রোধে মাস্কের ব্যবহার কোনো কাজই আসে না। একই রকম কথা বলেছেন রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক ড. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস এতো ক্ষুদ্র ও সূক্ষ্ম যে সেটা খুব সহজেই সাধারণ (সার্জিকেল) মাস্কের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করে। এই মাস্ক ব্যবহারে কোনো ধরনের প্রতিরক্ষাই নেয়া হয় না। মূলত করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও ছড়ানো রোধে সবার আগে অন্য মানুষের সঙ্গে যেকোন ধরনের শারীরিক স্পর্শ এড়াতে হবে। হ্যান্ডশেক, কোলাকুলি করার মতো কাজগুলো সম্পূর্ণ বর্জন করতে হবে। সেই সঙ্গে হাঁচি, কাশির সময় হাতের সাহায্যে মুখ ঢেকে নিতে হবে। কিংবা টিস্যু ও রুমালের সাহায্যে মুখ ঢাকতে হবে। হাঁচি, কাশি শেষে, বাইরে থেকে ঘরে ফিরে, কোনো কাজ করার আগে ও পরে অবশ্যই সাবানের সাহায্যে ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে হাত ধুতে হবে। নিজের কাছে সবসময় হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে ও ব্যবহার করতে হবে।