গল্প || ভালোবাসার পরশ ছোঁয়া || নবম পর্ব ||
– লেখক: এন.কে.মণ্ডল
জোর কদমে প্রচার চলছে নানান রাজনৈতিক দাঙ্গা হাঙ্গামা হচ্ছে। বিডিও অফিসে চলল বোমাবাজি। নিয়ন্ত্রন আনতে পারে নি সেখানকার পুলিশবাহিনী। পরে পুলিশ হাই কমাণ্ড অফিসে ফোন করে স্থানীয় থানার পুলিশ। তবে ফোন শেষ বেলার দিকে ফোন করে। তখন প্রায় কিছু নিহত ও আহত হয়ে গেছে। অবশ্য স্থানীয় সরকারের আদেশেই শাসক দল করেছিল এই কুকর্মটা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে অন্য কোথাও পার্থী দিতে পারে নি বিরোধী শিবির। থমথমপুর পঞ্চায়েত নির্বাচনে পার্থী অগ্রিম মনোনয়ন পত্র জমা করেছিল। তাও শাসক দলের গুণ্ডারা শাসক দলের বিরোধী পার্থীদের বাড়িতে হানা দেয়। সঙ্গে পুলিশও যায় মাস্তানি করতে। যাইহোক অবশেষে হেড অফিস থেকে পুলিস আসলো, অনেক পুলিস। জালগাড়িতে এসেছে। ঢাল,কাদানি গ্যাস লাঠি ইত্যাদি নিয়ে চলে এসেছে।
জলের গাড়ি, যাতে করে জল দিয়ে ঠেকানো যায়। পুলিশ এসে বিরোধী শিবিরের মানুষগুলিকেই লক্ষ লাঠি মারে, জল মারে। মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয় অনেকের। এমন কি প্রাক্তন অধ্যাপক এবং বিধায়ক নাসিরউদ্দিন সাহেবকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয় শাসক দলের পুলিশবাহিনি। জেলায় পড়ে যায় পার্টির নামে গুণ্ডামির কথা। কোনো বুথে পার্থী নেই। যারা মনোনয়ন পত্র জমা দেয়, তাদের মনোনয়ন পত্র পত্যাহার করতে বাধ্য করে শাসক দলের গুণ্ডা ও পুলিশবাহিনী। কোথায় দাঁড়াবে সাধারণ মানুষ। কোথায় যাবে। দেশে হাহাকার। খাদ্য নেই।শিল্প নেই। নেই শিক্ষা ব্যাবস্থা। রাজনৈতিক ফায়দা লুটছে নেতারা। অশিক্ষিত মানুষ যখন নেতা হয় তখন দেশ রসার যায়।সেরকমই হচ্ছে লুসিয়া দেশটিতে। সেই দেশের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দেশে সন্ত্রাস সৃষ্টি করল লুসিয়ার প্রধানমন্ত্রী। অরাজকতা ও ভয়াবহতা নেমে আসল লুসিয়ায়। তবুও থমথমপুর পঞ্চায়েতে সেরকম প্রভাব পড়েনি।
কারণ পঞ্চায়েত সদ্য ভাগ হয়েছে। ভাগ হওয়ার প্রথম নির্বাচনের আগেই গণধোলায় খাইয়ে দিল সরকার। কিন্তু এতে শাসক দলের প্রধান খারিজ করে দিয়েছে। এটা নাকি ওরা করেনি। কিন্তু থমথমপুরের মানুষ করিমের দল সোশ্যালিস্ট পার্টিকেই ভোট দেবে। গ্রামের মানুষ একতা হয়েছে। সেখানে দাঙ্গা হয় নি। শাসক দল অর্থাৎ রমজান মাতব্বরের দল। সে অনেকদিন ধরেই গ্রামে রাজত্ব করে আসছে। এবার অনেকটা কুঁচকে গেছে। তবুও বিরোধী শিবির অর্থাৎ করিমের ছেলের সঙ্গেই মেয়ের বিয়ের কথা ভাবছে রমজান মাতব্বর। সামনেই কয়েক দিনের মধ্যেই নির্বাচন এসে যাবে। সময় নেই বেশি। ওদিকে সাদেক টাকা ছিটিয়ে বেড়াচ্ছে মুড়ি মুড়কির মতন। তাকে জিততেই হবে। কারণ পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিততে না পারলে লজ্জার ব্যাপার।তাছাড়া বড়সড় ইনকামের রাস্তাটা মাঠেই মারা যাবে। আবার সময়ও কম। জনসেবায় লেগে গেছে সাদেকের ছেলেপুলেরা। তাঁতের শাড়ি এনেছে বাড়ির মেয়েদের দেবার জন্য।
চাল ডাল তেল ইত্যাদি কিনে এনেছে কুইন্টাল কুইন্টাল। মানুষকে দেবার জন্য। যাতে সাধারণ মানুষ সাদেক কে ভোট দেয়। সেই আসাতেই লাফাচ্ছে সাদেকের ছেলেপুলেরা। ওরাও সাদেক কে ফাঁকি দিয়ে শাড়ি চাল ডাল তেল ইত্যাদি সরিয়ে নিয়েছে। গ্রামে বিতরন করেছে পঞ্চাশ ভাগ। পঞ্চাশ ভাগ সরিয়ে নিয়েছে নিজেদের জন্য। সাদেক কে ঘুনাক্ষরে জানতেও দেয় নি। অবশ্য ছেলেপুলে মিলেই সব হাপিশ করে দিয়েছে।