মিজান রহমানের “যা বলা হয়নি” গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন: পাঠকের কাছে একটি নতুন আঙ্গিক তৈরির চেষ্টা


বৃহস্পতিবার,২৭/০২/২০২০
1965

ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ অমর একুশে গ্রন্থমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গ্রন্থ মোড়ক উন্মোচন মঞ্চে সাংবাদিক মিজান রহমানের কাব্যিক জীবনের ঘটনাপ্রবাহ নিয়েযা বলা হয়নিগ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক, গল্পকার ও উপন্যাসিক মনি হায়দার। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠক ও আলোকিত মানুষ সামসুল আলম জুলফিকার, সিনিয়র সাংবাদিক বইটির সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক আতাতুর্ক কামাল পাশা, অনুলেখক ডা. মোহনা রহমান, ইঞ্জিনিয়ার শাহবুদ্দিন, ডা. ইশরাত জাহান মিতু, ফাতেমা বেগম, সাহেদা খাতুন জ্যোন্সা, মো: ফারুক হোসেন, প্রণব বিশ্বাস, লিপু খন্দকার, রুমনসহআরওঅনেকে।

মেলার এই শেষ সপ্তাহে উপচেপড়া ভিড়ের মধ্যে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাজারো দর্শক শ্রোতা। আজও প্রতিদিনের মতো গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনের হিরিক পরে যায়। ঘোষক বার বারই ঘোষণা দিচ্ছেন লেখকদের উদ্দেশ্য করে, কম কথার মধ্যে উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষ করতে কিন্তু কেউ কথা রাখতে প্রাছিলেন না। আজকের এ অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানসূচি নিয়ম না মেনেই কথা বলেছেন প্রধান অতিথি মনি হায়দার। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, লেখক মিজান রহমান আমার বন্ধু। এক সাথে কাজ করেছি সেই ৯০র দশকে। সেই থেকে আমি তাকে চিনি। নিরলস পরিশ্রম করে সাংবাদিকতার মহান পেশাকে উজ্জীবিত করছেন। জাতির কঠিন দায়িত্ব পালন করছেন প্রতিনিয়ত। সদালাপি ও সহজ মানুষটির এর আগেও অনেকগুলো বই বের হয়েছে। প্রতিটি বই মুন্সিয়ানার স্বাক্ষর রেখেছে। বইগুলোতে কিছু একটা তথ্য দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করা হয়েছে। পাঠকের কাছে নতুন একটা আঙ্গিক তৈরি করতে চাইছেন তিনি।

আলোকিত মানুষ সামসুল আলম জুলফিকার বলেন, আমি লেখককে সেই অস্টম শ্রেণী থেকে চিনি। ছোটকাল থেকেই তিনি নানা মেসেস দিচ্ছেন নানা স্তরে। আর সে কাজগুলো এখন তিনি করে যাচ্ছেন। জীবনের গল্প, জীবন কী, কীভাবে সময় পার হয়, কীভাবে তৃণমুল থেকে ওঠে এসে আলোকিত মানুষ হওয়া যায়, মানুষকেকীভাবেআপনকরাযায়এসবগুণেরঅধিকারীলেখকমিজানরহমান।আমি৪০বছরআগেযেমিজানকেদেখেছিসেইমিজানএখনতাই।

অনুলেখক ডা. মোহনা রহমান বলেন, লেখক মিজান রহমান আমার বাবা, একজন বাবা যেভাবে হওয়া উচিত আমি সেই বাবাকে পেয়েছি। অনেক ত্যাগের ফসল তার এ লেখাগুলো। কীভাবে সাধাণ মানুষেরা আলোকিত হতে পারে তার কথাই বলা হয়েছে এ বইটিতে। সামান্য পাওয়াতেও সুখ আছে আর  জ্বালাতো থাকবেই, বাবারসেসবকথাগুলোইআমিএকবৃন্তেসাঁজিয়েছিমাত্র।

মুস্তফিজুর রহমান ও আতাতুর্ক কামাল পাশা বলেন, সত্যিকার অর্থে একজন ভালো মানুষ বলতে যা বোঝায় মিজান রহমান তাই। অনেক সাধনার ফসল তার এ বইটি। যদিও এটি একটি ফুল বায়োগ্রাফি তবও এতে অনেক ইনফরমেশন রয়েছে যা পাঠককে ভাবনায় ফেলবে এবং উপকৃত হবে অনেকেই। এরকম একটা বই পাঠককে উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ দিচ্ছি।

এদিকে বইটির মুখবন্ধে যা লেখা রয়েছে তা হলোআজ আলোকিত একজন সাংবাদিকের কথা পাঠকের কাছে তুলে ধরছি। যিনি ১৯৬১ সালের ২৯ মার্চ বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার চাখার ইউনিয়নের সোনাহার গ্রামের হাওলাদার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আলী আহমেদ ও মা যোবাইদা বেগম। তার বাবা ছিলেন একজন বিশিষ্ট সমাজসেবক আর মা গৃহিণী। তাদের ৬ সন্তানের মধ্যে লেখক দ্বিতীয়। ইতোমধ্যে  বিশেষ দিনের রিপোর্টিং, স্বপ্নগুলো আকাশে উড়লো ও আমি এবং সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়েছে। এবার প্রকাশিত হয়েছেযা বলা হয়নিশিরোনামের আরও একটি গ্রন্থ। এছাড়া প্রকাশের জন্য প্রস্তুত স্মৃতিতে বেতার স্বপ্নের পৃথিবী (কলকাতা থেকে), এবং  শেষ ও সরল পথ। বইটির অনুলেখক ডা. মোহনা রহমান জান্নাত, সম্পাদনা করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান, বইটি প্রকাশ করেছে ত্রিরত্ন প্রকাশনী, প্রচ্ছদ তৈরি করেছেন ফাতেমা রহমান, পরিবেশক প্লাস পয়েন্ট, বইটির মুল্য ধরা হয়েছে ৩০০ টাকা। পরিবেশেষে লেখক মিজান রহমান সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট