পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গাঙ্গুলি সাংবাদিক সম্মেলন করে জানালেন, মঙ্গলবার থেকে শুরু হতে চলেছে ২০২০ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা। এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ লক্ষ ১৫ হাজার ৮৮৮ জন। এবার ছাত্র পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ লক্ষ ৩৯ হাজার ৮৭৯ জন এবং ছাত্রী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ লক্ষ ৭৬ হাজার ৯ জন। প্রত্যেক বছরের মতো এবছরও ছাত্রী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। গত বছর মোট মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষ ৪৯ হাজার ৫১৩ জন।গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৩ হাজার কমে গিয়েছে। বিগত বছর গুলিতে পাশের হার বেড়ে যাওয়ার জন্য পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা কমে গিয়েছে। এই বছর ২৮৩৯ টি মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে ছাত্রছাত্রীরা মোবাইল ফোন, স্মার্ট ফোন স্মার্ট ওয়াচ পড়ে ঢুকতে পারবেন না। পাশাপাশি পরীক্ষকরাও স্মার্ট ফোন ও স্মার্ট ওয়াচ পড়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে পারবেন না। ব্যাগ নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ছাত্রছাত্রীরা যেতে পারবেন কিন্তু ব্যাগ নিয়ে হলে যেতে পারবেন না।
২০১৬ সাল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের পাশের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে বলে মনে করেন পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গাঙ্গুলি।
মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন রাজ্যের ৪২ টি ব্লকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের। মালদা, মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর ও জলপাইগুড়ি জেলা সহ রাজ্যের বেশ কিছু ব্লকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে। প্রশ্নপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় যাতে ফাঁস না হয় তার জন্য পরীক্ষা চলাকালীন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রের খবর। আজ স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গাঙ্গুলি বৈঠক করেন। তারপর এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তকে অনুমোদন দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি
পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গাঙ্গুলি। এছাড়াও প্রশ্ন পত্র ফাঁস রুখতে পরীক্ষা হলে ছাত্রছাত্রীদের সামনে প্রশ্নপত্র খোলা হবে বলে জানান পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গাঙ্গুলি।
বিগত বছরের মতো এবারও কন্ট্রোল রুম করা হয়েছে। কোনো রকম সমস্যা হলে কন্ট্রোল রুমে ফোন করতে পারবেন।
কন্ট্রোল রুম নম্বর
০৩৩ ২৩৫৯২২৬৪
০৩৩ ২৩৫৯২২৭৪
এছাড়া প্রতি পরীক্ষা কেন্দ্রে মেডিকেল টিম রাখা থাকবে। কোনো ছাত্রছাত্রী অসুস্থ হলে যাতে হাসপাতালে পরীক্ষা দিতে পারে তার জন্য প্রতিটি জেলায় হাসপাতাল গুলিতে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।