গল্প || ভালোবাসার পরশ ছোঁয়া || (ষষ্ঠ পর্ব) -লেখক: এন.কে.মণ্ডল


মঙ্গলবার,১১/০২/২০২০
1398

(ষষ্ঠ পর্ব)

কি আর বলব। তুই তো উল্টা পাল্টা বলছিস। আরে তুই আমাদের বেস্ট ফ্রেন্ড। তোকে আমরা সবাই ভালোবাসি। পছন্দও করি। তাহলে কি ফান করার অধিকার নেই। আছে তবে সব সময় তো নেই। ঠিক আছে বল। বাগানে যেতে হবে বলতে রিনা আসবে বলেছে। সঁঁন্ধার পরে কিন্তু সে আবার বিকেলে আসতে বলে। তিনদিন থেকে ওর সাথে আমার কথা নেই। রাগ করে আছে। যখন তখন আমায় ছেড়ে চলে যেতে পারে। আমার কি না শনির দশা চলছে। ওহ এই কথা। তো ওদের বাড়িতে যাবি বাগানে কেন। আমি।বাগানে যেতে পারব না। কেন। তোর কোনো কমন্স সেন্স নেই। বিকেল বেলায় বাগানে দুজনে। লোকে কি বলবে তোর হুস আছে। তাহলে কি করা যায়। হু ভাবতে দে। ভাব ভাব। আইডিয়া এক কাজ করলে হয়। কি। মানে আমি রিনা কে ফোন দিই। ব্যাপারটা গুছিয়ে বলি। ঠিক আছে। বলে দ্যাখ। কিন্তু কিসের বাহনায় যাবি। কিসের আবার নোট চাইতে যাওয়ার বাহানা। ওহ গুড আইডিয়া। কিন্তু সে কি রাজি হবে। রাজি করার ব্যাপারটা আমি দেখছি। ঠিক আছে মোবাইল দে। না আমার মোবাইল থেকে না। তোর মোবাই দিয়ে কর। ঠিক আছে। মোবাইলটা নিয়ে আসি। ওই ঘরে আছে। জানালাটা খুলে দেব। দে। বাতাস লাগবে ভালো হবে। নয়না ধাক্কা দিয়ে খুলে দেয়। এবং অন্যঘরে মোবাইল আনতে যায়। মোবাইল নিয়ে আসলো। ফোন দিলো রিনা কে। ক্রিং ক্রিং ক্রিং করল কিছুক্ষণ। ফোনটা রিসিভ করল। হ্যালো কে রিনা। না আমি রিনার মা বলছি।

আসসালামু অলাইকুম খালাম্মা। আমি নয়না। ও তো কি হল মা। কিছু বলবা। হ্যাঁ খালা। রিনা কে দরকার। ঠিক আছে দিচ্ছি। রিনা রিনা মা। আছিস না কি। কি হল। চ্যাঁচাচ্ছ কেন। এই নে নয়না ফোন করেছে। কি বলবে দ্যাখ। ওহ দাও। নে কথা বল। আমি যাই খাবারের কি হল দেখি। আমার আবার কাজের শেষ আছে। বড় ঘরে জন্মেছি।বড় ঘরে এসেই কাজে লেগেছি তো লেগেছি। হাফ নেই বাবা। রিনা ফোন ধরে বলে,কি রে কি ব্যাপার। কোনো খোঁজ নেই। একদম গায়েব হয়ে গেছিস। না রে এখন তো পড়াশোনার খুব চাপ বুঝতেই পারছিস। ওসব কথা বাদ দেই। যেজন্য ফোন দেওয়া। আচ্ছা আরেকটি কথা। তোর নাহিদের খবর কি রে। আর খবর। ওই পাগলের কথা। পাগল বলছিস। পাগলের সঙ্গে এক সময় প্রেম চালাচ্ছিলি আবার কি হল। ব্রেকাপ মারলি না কি। দূর হারামি ব্রেকাপ মারব কেন রে। পাগল তো একটা। পাগলের মতো কিছু কাজ করে। তাহলে রিলেশনে জড়াতে চাইছিস না। আরে কি বলিস বল তো। শো…ন আমি পাগল নয়। কিন্তু ব্যাটা আমায় পাগল বানিয়েছে। আমি কি ওই পাগল কে ছাড়া থাকতে পারি। অসম্ভব। আমার জীবন আছে যতদিন, ততদিন পাগলাটাকেই ভালোবেসে যাব। মাঝখানে একটা ঝামেলা হয়েছে। শালা কিস করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু শালা আমায় পাত্তা দেয় নি। এজন্য রাগ আছে কিছুটা। আবার ভেবে দেখলাম। না আমারই ভুল। সে যেমন দেখতে সুন্দর তেমন মনের ভিতরও সুন্দর। তো তোর রাগ কমেছে। রাগ করেছিলাম কয়েক ঘণ্টা। তারপর আর করি না। ঠিকই তো, বিয়ের আগে এসব ঠিক নয়।

তাছাড়া আব্বা আম্মুও বিয়ে দিতে রাজি হয়েছে। কি বলিস সত্যি। তাহলে এরকম করার মানে কি। আরে ওকে একটু ব্যাথা পেতে দিলাম। প্রেমের আসল মর্মটা বুঝুক। নাহিদ শুনছিল। লাউড স্পিকারে কথা হচ্ছিল। তবে গতকাল ভয় দেখিয়েছি। বাগানে।আসতে বলেছি, যে না আসলে আমি আর ভালোবাসব না। সত্যিই নাকি। আরে শালা না রে না। তুই।আমার বান্ধবী হয়েও বুঝিস না। কিভাবে বুঝব বলত। নাহিদ খুব খুশি। সে বলেই ফেলল, আমায় কষ্ট দিয়ে তুমি সুখি হতে চাও। আরে তুমি এখানে। হ্যাঁ আমি এখানেই আছি। নয়না তুই আমার সঙ্গে চিট করলি আরে না। কাঁন্দে কাঁন্দে আসে আমার বাড়ি। তুই বাগানে।ডেকেছিস, তাই সঙ্গে আমাকে নিয়ে যেতে। যাতে করে আমি তোকে বোঝায় তার জন্য। ওহ। রাজপূত্রটা খুব কষ্ট পেয়েছে বুঝি। ওরে বাবু শোনা। রাগ করে না রাগ করে না। ঠিক আছে তাহলে এককাজ কর। সঁন্ধার পর। আমাদের বাড়িতে আয় তোরা দুজনে কথা হবে। আর নাহিদ। আরে নাহিদ কে নিয়েই তো আসতে বলছি। ঠিক আছে। রাখছি। হ্যাঁ। ফোনে কথা বলার পর নয়না নাহিদ কে বলল, শোন যা বুঝলাম তাতে ওর কোনো দোষ নেই। তোর দোষ। ও তোকে এতটা ভালোবাসে যে নিজেকে আর কখনো কারো হাতে শপে দিবে না। আর তোর বলিহারি বুদ্ধি, এখনকার সময় প্রেমিকার সামান্য আবদার মেটাতে পারিস না। এসব এখন কোনো ব্যাপার না। এগুলিতে আরো মহব্বত বাড়ায়। প্রেম কে টাটকা করে তোলে। একটু সিরিয়াসলি ভাব। কেমন। যা সঁন্ধার পর যাব। আর একটা গোলাপ ফুল কিনে নিস। গিয়ে দিবি। পারলে কয়েকটা ফুচকা খাওয়াস। ঠিক আছে সঁন্ধায় রেডি থাকিস আমি সময়মতো চলে আসব। ঠিক আছে।

১৫

ফজলু বকুল মাস্টার, খালিক ও নিফাজ ডাক্তার মিলে শ খানেক লোক জোগাড় হয়ে গেছে। তারমধ্য যুবক ছেলেও আছে প্রচুর। এদের সেনাবাহিনীর মতো ব্যাবহার করা হবে বলে মাস্টারের মত। করিমের নতুন বাড়িতে দলের কর্মসূচি তৈরি করা হবে। বয়স্ক লোক আছে। সঙ্গে যুবকরা। দল তো ওরাই চালাবে। সমাজ কে সুস্থ ও সবল রাখতে ওদের দরকার। ফজলু শেখ এটা রাগের বসে করছে না। সমাজ কে ভালো করার জন্য রাজনীতিতে নামছে। দলের প্রধান ব্যাক্তিই কিন্তু তিনি। কিন্তু তিনি মানুষের স্বার্থের জন্য এই নির্বাচনে লড়া। নিয়ামত এসে খবর দেয় সাদেক মাতব্বর কে। যে চাচা শয়ে শয়ে লোক হাজির হওয়ার কথা করিম চাচার বাড়িতে। কখন। সঁন্ধা বেলায়। ওহ। কোথায় শুনেছিস। ওই বজলুর চায়ের দোকানে ফজলু শেখ বলাবলি করছিল। ওই দলের পাণ্ডা। চাচা বলছিলাম ফজলু এবুথ কেন অন্তত তিন চারটি।আসন পাবেই। কি করে বুঝলি। এ গ্রামে তো করিমের সাপোর্ট সবাই। নিয়ামত রাজনীতি তুই অতো বুঝিস না। পার্থী ওরা যত পারুক দেক। অসুবিধে নেই। ভোটে আমিই জিতব। কি করে। আরে গ্রামের মানুষ দু একটা টাকা পেলেই বেঁকে বসবে। ওদের খ্যালা খেলতে দে। সময় হলে আমিই জিতব। আমিও শুনতেছি। কি চাচা। শুনতেছি ওর ফিল্ড খুবই ভালো। নিজের বুথ বাদ দিয়ে অন্য গ্রামে ওর নাম করছে। তবে পঞ্চায়েত কার থাক না থাক আমার দেখে লাভ নেই। আমি যে বুথে দাঁড়াব সেটা থাকলেই চলবে। রমজান ভাই মন হয় বিয়ে দেবে না রে। ও আমার সঙ্গে বৈমানী করবে বলে মনে হচ্ছে। দেখা যাক কি হয়। পরিক্ষার পর না হয় আর একবার দেখা যাবে। পরিক্ষা তো ভোটের আগেই। না রে আজ সকালে শিক্ষা দপ্তর ঘোষণা করেছে যে, নির্বাচনের একমাস পরে হবে। ওহ। তাহলে তো অনেক পিছিয়ে গেল পরিক্ষার ডেট।

হ্যাঁ প্রায় চার মাস। ঠিক আছে, তুই এক কাজ করিস। করিম তো এখন নির্বাচনে পার্থী হচ্ছে, এবার তাহলে জমি বেঁচতে হবেই। তা না হলে জিততে হবে না। টাকা তো লাগবেই। এখন টাকা না হলে নির্বাচন হয় না। ঠিক আছে বলব। আর হ্যাঁ শোন নিয়ামত। কি। বলছি গিন্নী বলছিল মাংস আনতে। নিয়ে আসিস তো দুপুরে। ঠিক আছে। আর খবর টবরে কান রাখিস। সে আর বলতে চাচা। নিয়ামত বিকেলের দিকে বাড়ি যাচ্ছে। ওই সময় কিছু লোক দল বেঁধে কোথাও যাচ্ছে। কোথায় যেতে পারে। একজন ডাক দেয়। আরে মিয়া ভাই এদিকে আসো তো। ডেকে জিজ্ঞেস করে, আরে তোমরা কোথায় যাচ্ছ। কোথায় আবার করিমের বাড়ি। কেন। দরকার আছে। সেসব পরে হবে। আমি এখন যায় পরে কথা হবে। ঠিক আছে দ্যাখা করিস কিন্তু। আচ্ছা সে দ্যাখা করা যাবে। করিমের বাড়িতে আজ অনেক লোক। বাড়ির উঠান ভর্তি। মানুষ থ মেরে বসে আছে। কেউ কেউ হই চই করছে। বুঝতেই পারা যাচ্ছে। অনেক লোকের সমাগম। কিছুক্ষণ পরে চা বিস্কুট আসলো। সবার হাতে হাতে চা দিচ্ছে বজলু। সঙ্গে সঙ্গে বিস্কুট দিচ্ছে নাহিদ। অনেক লোক দেখে ফজলু ও তাঁর সদস্যরা অবাক। যে দল না করতেই এতো লোক। তাহলে তিনমাস পরে কি হবে। প্রায় গ্রামের ষাট ভাগ লোক হাজির। মনে হচ্ছে এক চেটিয়া ভোট করিমের দলের। এমন সময় ফজলু সভার মধ্যে উঠে দাঁড়িয়ে যায়। হু হু করে গলা ঝেড়ে নেয়।

তারপর বলতে শুরু করে। ” সন্মানিত আমার গ্রামবাসী জানাই সাদর আমন্ত্রন ও ভালোবাসা। আজ আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি। একটিই কারণে। সেটা হচ্ছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে, জুলুমের বিরুদ্ধে অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য লড়াই করতে। তাই আমরা সকলে গ্রামবাসি সবাই কে নিয়ে একতা হয়ে একটা দল গড়ে তুলতে। আমরা কিছু লোক আছি দলটা কে পরিচালনা করার জন্য। আপনারা কি আমাদের পাশে আছেন। ” সবাই এক সুরে সুর মিলিয়ে বলল। হ্যাঁ আমরা প্রস্তুত। দরকার হলে জান মাল সবই দেব। ফজলু বলে আমরা আপনাদের জান মাল কোনোটাই চাই না। শুধু একটি করে ভোট চাই। একবার বিশ্বাস করে দেখুন। ঠকবেন না। আমরা আজ হোক বা আগামীকাল হোক কমিটি গঠন করে প্রচারে নামব। প্রত্যক মানুষে সম্মতি জানাই। কয়েকজন বাদে। সভায় বকুল মাস্টার, খালেক ও নাফিজ ডাক্তার বক্তব্য রাখেন। এবং বলেন আমাদের মূল অস্ত্র হলেন করিম ভাই। করিম ভাইকে দেখে ভোট দেব ইনশাআল্লাহ। অনেক্ক্ষণ বক্তব্য চলে। প্রায় ঘণ্টা ফুয়েক। সঁন্ধা ছটায় সভার কাজ করে দিলো। আগামীকাল কমিটি গঠনের কাজ। অনেক ঝামেলা।সারাদিন কাজে ব্যাস্ত থাকতে হবে।

১৬

সঁন্ধা হয়ে আসছে। মাগরিবের আজান দিতে পারে কয়েক মিনিটের মধ্যে। এমন সময় নয়নাদের বাড়িতে প্রবেশ করে নাহিদ। কি রে রেডি তো। হ্যাঁ রেডি। কতক্ষন লাগে আসতে তোর। আসব কি করে বাড়িতে অনেক কাজ ছিল। কিসের কাজ তোর। কাজের গাদা করিস।নে নে চল তাড়াতাড়ি। মা আমি রিনাদের বাড়িতে যাচ্ছি। আসতে দেরি হবে। রাত্রে বেড়ালে লোকে অনেক কথা বলবে। গ্রামের মানুষ কিছু বোঝে না। তাদের চোখ মন অন্যদিকে থাকে। তাতে এই গ্রামের মানুষ পুরোপুরি আলাদা। ঠিক আছে মা। আমি যায়। হেটে যাবি। হ্যাঁ। আরে না না সাইকেল আছে। ওহ তাহলে ঠিক আছে। নে উঠে বসতো। এই হয়েছে এবার চালা। সাইকেল চালাতে শুরু করল। পিছনে বসে আছে নয়না। গ্রামের কেউ কেউ দেখছে। পিছন থেকে নয়না বলে, আচ্ছা রিনা কে কেন কষ্ট দিস বলতো। আরে প্রেম মানে একটু রোমান্স। রোমান্স না থাকলে প্রেম করে লাভ কি বল। আমার কেন জানি ইচ্ছে করে না। আরো কিছু গল্প করতে করতে উপস্থিত হল রিনাদের বাড়িতে। প্রথমে বাড়ির গেটে প্রবেশ করতেই রিনার বাবার সঙ্গে দেখা। দেখতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সালাম দিল নাহিদ। আসসালামু আলাইকুম চাচাজি। আলাইকুম সালাম। কি ব্যাপার বাবা এই সঁন্ধা বেলায়। খবর খবরা ভালো তো। হ্যাঁ চাচাজি। সঙ্গে আমার জান। হিসেবে নয়না রমজান মাতব্বরের নাতনী হয়। যাও বাড়ির ভিত যাও। বাড়ির ভিতরে গিয়ে প্রবেশ করল।

নীচ তলায় কয়েকজন লোক আছে। সম্ভবত রিনাদের অতিথি হবে। রিনার মা নাহিদদের দেখে রিনা কে ডাক দিল। কই রে রিনা। নাহিদ নয়না এসেছে। নাহিদরা আসবে ভেবেই সুন্দরভাবে সেজে আছে। নিচে নেমে এলো। কি খুশি রিনার মনে। নীচ থেকে ওদের উপরে নিয়ে গেল। আর মাকে বলল, মা আয়েসা কে বলতো কফি করে দিতে। ওহ ঠিক আছে বলছি। আয়েসা আয়েসা। বলেন গিন্নীমা। কি করতে হবে। এমন কিছুই না।রিনার ঘরে তিনটি কফি দিয়ে আয়। ওর বন্ধুরা এসেছে। ওহ ঠিক আছে যাচ্ছি। যাচ্ছি না এক্ষুনি যা। ঠিক আছে। নাহিদরা প্রবেশ করল রিনার রুমে। সোফায় দুজন কে বসতে বলল। ওরা বসল। রিনা আরেকটি সোফায় বসলো। সোফার সামনে বড় কাঁচের টেবিল আছে। টেবিলে কাঁচের ফুলদানি। সুন্দর সুন্দর নানান কয়েকটা ফুল আছে। দেখতে অনেক সুন্দর। কেমন আছিস রিনা। ভালো। তুই। আমিও ভালো। তবে মনে হচ্ছে সাহেবকে খুব ফ্যাকাসে দ্যাখাচ্ছে। কি ব্যাপার তোমার। শরীর খারাপ নাকি বাবু। না শরীর খারাপ নয়। পরিক্ষা সামনে তো পড়াশোনার চাপ তাই। সাগ দিয়ে মাছ ঢাকছো। সে ঢাকো। বারণ নেই। তো মন এত খারাপ করলে চলবে। আয়েসা কফি নিয়ে প্রবেশ করল ঘরে। দিদিমণি কফি। রেখে দে। আর কিছু দরকার। না। তুমি যাও। দরকার হলে ডাকব। ঠিক আছে। নে ঠাণ্ডা হয়ে যাবে। নাও তুমি নাও। খেতে ইচ্ছে করছে না। নয়না একটা কফির মগ নিয়ে চুমুক বসালো। খেতে ইচ্ছে করছে না, খাইয়ে দেব। দেবে।

কেন দিতে পারি না। তা পারো। নাও আমিই খাইয়ে দিচ্ছি। এই নাও বাবু শোনা। এবার তুমি খাও। একই মগে দুজনে খেল। কয়েক মিনিট খাওয়ার পরে শেষ কফি। দিয়ে বলো তোমার খবর বলো। কি বলব। কি বলব মানে। তুমি কি ভেবেছিলে আমি তোমায় ছাড়া কখনো ভালো থেকেছি। তুমি কিভাবে বিশ্বাস করলে আমি তোমাকে আর ভালোবাসব না। না মানে। শোনো তুমি ছাড়লেও আমি তোমায় ছাড়ব না। আমি হাজার সূমদ্র খুঁজে পেয়েছি আমি আসল মুক্তার সঁন্ধান। আর তা এক নিমিষেই ফেলে দেব। দাম নেই নাকি। রিনা আমি তোমায় কথা দিচ্ছি যে, তোমায় কখনো কষ্ট দেব না। আমি তোমার সব কথা শুনব। রিনা বলে আমারও ভুল হয়েছে। আমায় তুমি খমা করে দিও। নয়না রিনার দিকে তাকিয়ে একবার গলা ঝেড়ে বলে, রিনা আমি নিচ থেকে আসি রে। তোরা গল্প কর। রিনা সম্মতি জানায়।নাহিদ বলে আরে আমায় ফেলে কোথায় যাচ্ছিস। আরে দাদির সঙ্গে একটু দেখা করে আসি। তোরা গল্প কর। নয়না ঘর থেকে বেরিয়ে নীচে আসে রমজান মাতব্বরের বউএর কাছে। অর্থাৎ রিনার মায়ের কাছে।

রিনা তো অনেক খুশি। রিনা আসতে আসতে নাহিদের কাছে যায়। পাশে বসে। নাহিদের বুক দুরুদুরু করে উঠছে। রিনা এখন উত্তেজিত ভাব। সময় নষ্ট না করেই। মুখে মুখ লাগিয়ে দেয়। অফুরন্ত কিস করতে থাকে। নাহিদ আর কোনো কিছু না বলে নিজেকে বিলিয়ে দেয় রিনা কে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সব শেষ। কিসে কিস গাল টকটকে লাল। তবে নাহিদও এবার নিজেকে ধরে রাখতে পারে নি। সেও নিজেকে রোমাঞ্চকর ভাবে উপস্থাপন করল। কিস খাওয়ার কার্যক্রম শেষ। রিনা অনেক খুশি। নাহিদ লজ্জিত। রিনা বলল, সামান্য কয়েকটা কিসের জন্য আরাম পাচ্ছিলাম না। কিন্তু আজ নিজেকে ধন্য বলে মনে করছি। নয়না দাদির সঙ্গে কিছু গল্প করছিলো। গল্প শেষ হওয়ায় দাদি কে বলে। দাদি উপরে যাই বাড়ি যেতে হবে। রিনা কে বলে আসি। ঠিক আছে। রিনার মা আর জানতে বাকি রইল না, যে কিসের জন্য নয়না নিচে এসেছিল। মনে মনে হাসতেছিল। নয়না উপরে গিয়ে গলা ঝাড়ি দিয়ে প্রবেশ করে। তাহলে কি বাড়ি যাবি না থাকবি। হ্যাঁ চল। রিনা কে বিদায় জানিয়ে বাড়ি এলো।

চলবে ….

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট