ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা: গত সপ্তাহে সবজির দাম হাতের নাগালে থাকলেও সপ্তাহ ব্যবধানে হঠাৎ বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। প্রতি কেজিতে সবজিতে দাম বেড়েছে পাঁচ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে পটল, চিচিঙ্গা, বরবটি আর কাঁচা মরিচের দাম। একইসঙ্গে দাম বেড়েছে শাকের বাজারেও। অন্যদিকে, আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল, মসলা, চাল ও ডাল। একইসঙ্গে অপরিবর্তিত রয়েছে সব ধরনের মাছ, মাংস, মুরগি ও ডিমের দাম। শুক্রবার ও ৮ ফেব্রæয়ারি শনিবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া, খিলগাঁও অঞ্চলের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। এসব বাজারে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে পটল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, উস্তি ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গাজর বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। একইসঙ্গে টমেটো ৩৫ থেকে ৫০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শিম (কালো) ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শিম (সাদা) ৩০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৮০ টাকা, নতুন আলু ৩০ টাকা, পেঁপে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এছাড়া আকারভেদে প্রতি পিস বাঁধাকপি–ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, লাউ ৪০ থেকে ৭০ টাকায়। দাম বেড়েছে শাকের বাজারেও। প্রতি আঁটি (মোড়া) কচুশাক সাত থেকে ১০ টাকা, লালশাক ১০ টাকা, মুলাশাক ১২ টাকা, পালংশাক ১৫ টাকা, লাউশাক ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে ইলিশের দাম তুলনামূলক কম। আগের নিম্নমুখী দর রয়েছে বাজারগুলোতে। বর্তমানে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে ১১০০ টাকা ও ৭৫০ গ্রাম ওজনের ৬০০ টাকা কেজি। এছাড়া ছোট ইলিশ আকারভেদে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, কাচকি ৩০০ টাকা, মলা ৩৫০ টাকা, ছোট পুটি (তাজা) ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, শিং ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, চিংড়ি (গলদা) ৪৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, বাগদা ৪০০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি চিংড়ি ৩০০ থেজে ৪৫০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ২২০ থেকে ৩৫০ টাকা, মৃগেল ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০ থেকে ১৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, কৈ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, কাতল ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এসব বাজারে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে মাংস ও ডিম। প্রতি কেজি বয়লার ১৩০ টাকা, লেয়ার ২২০ টাকা, সাদা লেয়ার ১৮০ টাকা ও সোনালি ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা, খাসি ৭৮০ টাকা ও বকরি ৭২০ টাকা কেজি দরে। আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল, চাল ও মসলা। খোলা সয়াবিন (লাল) বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা লিটার। খোলা সাদা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা লিটার। অপরিবর্তিত আছে সরিষা তেলের দরও। এসব বাজারে বস্তা প্রতি ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে চিনিগুঁড়া চালের দর। বিক্রি হচ্ছে পাঁচ হাজার থেকে পাঁচ হাজার ২৫০ টাকায়। মিনিকেট (নতুন) চাল বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৪৫০ টাকা, মিনিকেট (পুরানো) দুই হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার ৫৫০ টাকা, আটাশ চাল এক হাজার ৮৫০ টাকা ও বিভিন্ন প্রকার নাজিরশাইল চাল দুই হাজার ২৫০ টাকা থেকে তিন হাজার টাকা বস্তা। এসব বাজারে এলাচি বিক্রি হচ্ছে চার হাজার ৬০০ থেকে পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা কেজি দরে। অথচ এক/দেড় মাস আগে এই এলাচি বিক্রি হয়েছে দুই হাজার ৭০০ থেকে তিন হাজার টাকা কেজি।