বাংলার সবুজ শ্যামলা গ্রাম। বাংলার পথ মাঠ ঘাট সবই সুন্দর। আরো সুন্দর গ্রামের মানুষের মন। সাধারণ ভোলা ভালা মানুষ। নেই তেমন দুষ্কর্ম্মের মানুষ। আছে কিছু শিক্ষিত। আছে বর্তমান কিছু কুচুটে মাতব্বর। আবার অনেক গ্রামেই খারাপ লোকের সংখ্যা বেশী। তেমন একটি গ্রামের মধ্যে গ্রাম হল থমথমপুর।যেখানে এমন কোনো কাজ হয় না বলা মুস্কিল। গ্রামটি হিন্দু মুসলিম দিয়ে ঘেরা। সেখানে মুসলিম সত্তর শতাংশ। হিন্দু ত্রিশ শতাংশ। হিন্দু মুসলিমে দারুণ মিল সে দিক থেকে। নেই কোনো ঝঞ্জাট। ঝামেলা। দশ নম্বর সংসদে বাস করে পঞ্চাশ শতাংশ হিন্দু। এবং পঞ্চাশ শতাংশ মুসলিম। আরেকটি সংসদ অর্থাৎ এগারো নম্বর সংসদে একশো ভাগ মুসলিম দিয়ে ঘেরা। দশ নম্বর সংসদে বাজার,ব্যাঙ্ক, বিদ্যালয়, রেশন দোকান ও যাতায়াতের মূল কেন্দ্র। এগারো নম্বর সংসদে মাঠ। তবে পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ভৈরব নদী । কিন্তু সে নদীতে জল থাকে না। সারা বছর জল থাকলে প্রচুর মাছ হয়। এবং মাঠেও প্রচুর পরিমাণে মাছ হত সেখানে। গ্রামের মুসলিম সমাজেই কুসংস্কার, হিংসা ও বিবাদে জড়িয়ে থাকে সর্বদা।
মুসলিমগুলি এক ধরনের বড় হিংসুটে। শেখ পাড়াতে তো যাওয়ায় মুস্কিল জনক। হিংসা আর হিংসা। রাজনৈতিক মাস্তানে ভর্তি। মুসলিম সমাজ আছে বটে। কিন্তু ইসলাম ধর্মের কাজের থেকে অকাজে গুরুত্ব বেশী। প্রতি সন্ধায় তবলীগের কাজ হয়। অর্থাৎ ইসলামিক দাওয়ায়ত দেয়। মুসলিমদের মধ্যে কিছু ভালো লোক। তারা সমাজটা ভালো করতে চাই। কিন্তু খারাপ মানুষে ভরপুর হওয়ায়। সহজে ভালো পথে আসতে চাই না। এখন কয়েকজন দলে এসেছে অবশ্য। গ্রামে প্রচুর পরিমাণে সুদখোর আছে। তা গণনা করা মুস্কিল। যা হিন্দু সমাজের রীতি। এখন তা এই গ্রামে বড় জম জমাট ব্যাবসা। কিছু ভিকিরিও বড়লোক হয়েছে। শেখ পাড়াতেই বাস করে নাহিদ । বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে। একটা বোনও আছে। তবে ছোট। প্রায় বয়স হবে ছয় থেকে সাত। সদ্য দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। পড়াশোনাতেও ভালো। কথায় আছে পরিবার ভালো হলে সন্তানরাও ভালো হয়। নাহিদ এখন বয়স আঠারো কিম্বা উনিশ হবে। থমথমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের উচ্চমাধ্যমিকের পরিক্ষার্থী। ভালো রেজাল্ট করে প্রতি বছর। গ্রামকেই সে বেশি ভালোবাসে।তারপর রিনা কে। রিনা রমজান মাতব্বরের মেয়ে। কুচুটে মাতবর। তবে অনেকটা ভালোও।সেটা কেউ জানে না। মনটা নরম আছে কিন্তু শাসনের জন্য তা কঠোর। গ্রামের ভালো লোকগুলি বরাবর তাকে ঘৃণা করে থাকে। তাদের মধ্যে নাহিদের বাবা। নাহিদের বাবা অল্প শিক্ষিত মানুষ। কিন্তু মাথার উপর ছাঁদ নেই। গরীব মানুষ। কিন্তু অনেক লোক এখন তাঁর কাছে জ্ঞান নেয়।
(২)
সেদিন শনিবার ছিলো। রিনা সঁন্ধা থেকেই নিজেকে সাজিয়ে রাখছে। কাজ কাম করে না। মাতব্বরের মেয়ে বলে কথা। রিনা অনেক আধুনিক ও স্মার্ট মেয়ে। বার বার আয়নায় নিজেকে দেখছে। আর নতুন নতুন সাজার জন্য অনেক কিছু মুখে লাগাচ্ছে। ইলোশন এইচ টি, লাগিয়ে মুখখানা ফ্রেশ করে নিলো একবার। চুলগুলো আঁচড়িয়ে নিলো। মায়ের কাছে গিয়ে বিউনী করে চুলগুলো বেঁধে নিলো। আবার ঘরে আসলো। জানালার ধারে ছিলো আলমারি। সেখান থেকে নিলো মহালক্ষী আলতা। বোতলে তুলি ছিলো।তুলি দিয়ে নিজের মন মতো করে পায়ে লাগিয়ে নিলো। অনেকগুলি কাঁচের চুড়ি পরে নিজেকে আবার আয়নায় দৃস্টিপাত করলো। এখন রিনা আর রিনা নেই। এখন সে একজন সুন্দরী রমণীদের দেবী। কি দারুণ লাগছে। চোখ যেন জুড়ে যাচ্ছে। গালে হাত দিয়ে ভাবছে এমন সময় কি যেন পাশে বেজে উঠল। প্রাণ যেন উড়ে যাবার জোগাড়। ফিরে তাকাতে দেখে টেবিলে মোবাইল বেঁজে চলেছে। রিনা বলল, ওহ এখন আবার কে। খেয়ে দিয়ে কাজ নেই ভাবনার সময় ফোন। গুটি গুটি পায়ে গিয়ে দেখলো। মোবাইলের স্কিনে লেখা ভেসে উঠেছে “জান”। রিনা ফোনটা ধরেই বলল। হাই জান, আপনি তুমি কেমন আছেন। বিপরীদ উত্তরে বলে উঠলো। এ কি মসকরা করছো। আরে মসকরা কোথায়। মসকরা নয় বুঝি। কথাটা খেয়াল আছে তোমার। হ্যাঁ গো গো আছে। এই তো সাঁজগোজ করেছি মাত্র। আসতে পারবে তো।
আমার উপর ভরসা আছে তোমার। আছে বলেই তো কোনো উল্টো পাল্টা ভাবি না। ঠিক আছে আমি মাতিনদের আম বাগানে দাঁড়িয়ে থাকব। শুধুমাত্র মিনিট দুয়েক হাটতে হবে তোমায়। পারব গো পারব। তোমায় চিন্তা কিছু করতে হবে না। তুমি ঠিক মতো আসলেই হবে। ঠিক আছে বলেই ফোনটা রেখে দিলো নাহিদ। নাহিদ ও রিনা প্রচণ্ড ভালোবাসে দুজন দুজনে। এতটা ভালোবাসে যে কেউ কাউকে ছাড়ে না। কয়েকজন ছেলে রিনা কে ভুলভাল বুঝিয়ে মাথা ঘোরানোর চেস্টাও করেছিলো। ওই পাড়ার সুজন। সুজনও রিনা কে খুব ভালোবাসে। সে বলেছিলো। রিনা তোমায় একটা কথা বলার আছে। হ্যাঁ বলো কি বলবে। না মানে এইখানে তো আর বলা যায় না। খোলামেলা জায়গা এটা। তো কোথায় বলতে চাও। মানে একটু আড়ালে বললেই ভালো হয়। আড়ালে কেন। না মানে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা তো তাই। ওহ। ঠিক আছে। আমাদের বাড়িতে চল। ওরে বাবা তোর বাবা যদি একবার দেখে তাহলে তো আমায় আস্তো রাখবে না। এখানে বললে বল নইলে বলার দরকার নেই। ঠিক আছে শোন। তোর ভালো বলেই বলছি।কিছু মনে করিস না রিনা। বল বল। কিছু মনে করব না। ব্যাপারটা হচ্ছে নাহিদ রহমান চাচার মেয়ের সঙ্গে ফষ্টিনষ্টি করে। তুই ওকে চিনতে ভুল করছিস রিনা।
এখনো সময় আছে। নাহিদ কে ঘৃণা কর। ছেলে ভালো না। কথাটা বলার পর রিনা তেলে বেগুনে জ্বলে উঠল। বলল আমায় তুই পাগলি পেয়েছিস। তোরা যা বলবি আমি তাই মেনে নেব। নাহিদ যদি একশোটা মেয়ের সঙ্গে ফষ্টিনষ্টি করে তবুও আমার খতি নেয়। এমন কি আমার সামনেও করে তবুও না। তুই এক্ষুনি আমার সামনে থেকে সরে যা। নইলে তোর ব্যাবস্থা আমিই করে দেব। নাহিদ কে আমার কাছ থেকে সরাতে চাস। আমি তোকে চিনি না। আমাকে পাওয়ার জন্য তুই কি না করতে পারিস। শুনে রাখ। আমি, এই রিনা যতক্ষণ বেঁচে আছি ততক্ষণ নাহিদ আমার। আমারই থাকবে। কেউ নিতে পারবে না। যদি আমায় ভালো নাও বাসে তাতে আমার কোনো খতি নেই। ভালোবাসার স্মৃতি নিয়েই সারাজীবন বেঁচে থাকব। এবার হল। সরে যা আমার সামনে থেকে।
(৩)
সঁন্ধা পেরিয়ে গেছে। ভালো ঘুটঘুটে অন্ধকারে ডুবে গেছে গ্রাম। তাতে গ্রামের রাস্তাঘাটে কোনো আলো থাকে না। ফলে আরো অন্ধকার।বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে গেছে। কয়েকটা কুকুর ডাকছে। ঝিঁ ঝিঁ পোকাগুলি ঝিঁ ঝিঁ করে চলেছে।মাথা খারাপ হয়ে যাবার জোগাড়। হঠাৎই তখন মোবাইলে একটা ক্রিং ক্রিং করে ম্যাসেজ আসলো। আমি তো চলে এসেছি। তুমি কোথায়।আমি বাড়িতে। বেরুচ্ছি মাত্র। অপেক্ষা কর। ম্যাসেজ রিপ্লাই বাদ দিয়ে পিছনের গেট দিয়ে বেরিয়ে আসে। বাড়ির কিছুটা সামনে ডোবা আছে। ডোবা পেরোতে হবে। তাছাড়া আর একটি পথ আছে যেটা গ্রামের প্রধান পথ। সেটাতে তো যাওয়া যাবে না। কারণ কেউ না কেউ দেখে ফেলতে পারে। তাই ডোবা পার হতে হবে। ডোবাতে অবশ্য কোনো জল নেই। কিছুদিন আগে জল দিয়ে পাঠ ডোবানো হয়েছিলো। ডোবা পার হয়েই এক থেকে দুই মিনিট হাটা পথ। ছোট জঙ্গলের পথ। পথ পেরিয়েই অবশেষে দেখা মিলল নাহিদের। নাহিদ লাল লেডিজ সাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ল্যাংড়া আমগাছের নীচে।জোস্না অঁন্ধকারে নাহিদ কে আজ যেন অন্যরকম লাগছে। ঠিক রুপ নগরের রাজার মতো। কি ব্যাপার এতক্ষন লাগে আসতে তোমার। কতক্ষণ লাগে একবার মেয়ে হয়ে জন্ম নিয়ে দেখো। নাও নাও আর খোঁচা দিতে হবে না। এই আমাকে আজ কি খাওয়াবে বল না। কি খাবে তুমিই বল। না তুমিই বল। আমি যদি কিছু খাওয়াতে না পারি। যদি তোমার কোনো ইচ্ছা পূরণ না করতে পারি। তবে কি আমায় ভালোবাসবে। কি যে উল্টা পাল্টা বলছ। তুমি কিছু না দিতে পারলেও আমি সর্বদা তোমার। আর কারো না। সত্যি। হ্যাঁ গো হ্যা। তুমি যা যা খাবে তাই কিনে দেব। ওসব আমি জানি না। আমায় একটা সুন্দর পুতুল কিনে দেবে আজ। হবে। ঠিক আছে, আর কথা নয় এবার চড়ে বসো তো। দেরি হয়ে যাচ্ছে। অনেকটা পথ যেতে হবে সেই বক্সিগঞ্জ। আট কিলো মিটার। যেতে যেতে রাত্রি সাতটা তো হবেই।
রিনা বলে উঠল, বেশিক্ষণ থাকতে পারব না। এক ঘন্টা মত থাকব। হবে তো। ঠিক আছে। তুমি ভালো করে মুখ ঢেকে নিও। না হলে গ্রামের অনেক মানুষ মেলায় থাকবে। দেখে নিতে পারে। হালকা শীতের রাত্রি। বেশ মজাদার একটা ব্যাপার। সঙ্গে ভালোবাসার মানুষ আছে। কতই না সুন্দর লাগছে। আর কিছুটা গেলেই বক্সিগঞ্জের মেলায় পৌঁছাতে পারবে তাঁরা। আচ্ছা রিনা তোমার বাড়ির লোকে যদি খোঁজে। তাহলে তো অসুবিধায় পড়ে যাব। তাই না। সে তো পড়তেই হবে। আমি না হয় ছেলে, আমার অসুবিধে হবে না।তুমি কি করবে। কি আর করব। তুমি তো আছো,আমার শেষ ভরসা। ঠিকই তো। এই তো এসে গেছি। রিনা তুমি এক কাজ কর। কি কাজ। ওই যে আবছা আলো দেখা যাচ্ছে ওখানে দাঁড়িয়ে থাকো।আমি সাইকেলটা গ্যারেজে রেখে আসছি। ঠিক আছে যাও। নাহিদ গ্যারেজে সাইকেল রেখে রিনার কাছে আসলো। ম্যাডাম আসুন। কোন দিকে যাবেন। তুমিই বলো। আগে কফি খাই। তারপর দেখা যাবে। সাইকেল চালিয়ে তোমার বড্ড শীত করছে। চলো। কফি হাউসে গিয়ে নাহিদ বলল। এক্সকিউজ মি ভাইয়া। দুটো মিডিয়াম কফি দিন। আমরা ওই কর্ণারের টেবিলে বসছি। কফি এসে গেলো কয়েক মিনিটের মধ্যে। তা খাওয়াও শুরু হয়ে গেলো। খেতে খেতে কিছু ব্যাক্তিগত কথা হচ্ছে দুজনের মধ্যে। রিনা বলল আমার খাওয়া শেষ। আমি বিল দিয়ে আসছি। আরে তুমি বিল দেবে মানে। আমি তোমায় নিয়ে আসছি।আমি বিল দেব। না আমিই দিচ্ছি। তুমি টাকাটা জমিয়ে রাখো বিয়ের পর খরচ হবে।কেমন। নাহিদ হা করে রইল কিছুক্ষণ। এ কোন ধরণের মেয়ে রে বাবা। অন্য মেয়ে বয়ফ্রেণ্ডের টাকা দিয়ে ফুটানি করে। আর রিনা পুরোটাই আলাদা। যতদিন থেকে সম্পর্ক হয়েছে। সবটাই খরচ ওর।
সত্যিই মেয়েটা অনেক সুন্দর মনের মানুষ। ভালো কাজ ছাড়া খারাপ কাজ মোটেই তাঁর পছন্দ হয় না। রিনা বিল দিয়ে এসেই বলল।কি ব্যাপার, কি ভাবছো। এই যে মিস্টার এবার চলুন। ওহ হ্যাঁ। এবার মেলাটা ঘুরে ঘুরে দেখব। হবে না। হবে না কেন।দেখার জন্যই তো আসা। তাই না। হ্যাঁ গো মশাই হ্যাঁ। তাঁরা দুজন দুজনে বক্সিগঞ্জের মেন মেলার দিকে এগোতে থাকল। বক্সিগঞ্জ হল একটি শহরের মত জায়গা। ভালো জায়গা। থমথমপুর থেকে আট কিলোমিটার মতো পথ। সেখানে কি নেই। সব কিছু পাওয়া যায়। এখানে কলকাতা থেকে সিনেমা শুটিং করতেও মাঝে মাঝে আসে। রোমাঞ্চকর স্থান। কলেজ,লাইব্রেরি, হাসপাতাল,রেস্টুরেন্ট, ভালো জমজমাট বাজার। পুরো বাজার আলোই আলোকিত। গ্রামটি দেখে কেউই ভাবতে পারবে না, যে এটা গ্রাম। নাহিদ বলে উঠল, ওই যে নিলা। দেখতে পাচ্ছ রিনা। হ্যাঁ পাচ্ছি। ওকে কল দাও। দিচ্ছি। মোবাইলে নম্বরগুলি টিপেই ফোন লাগালো নাহিদ। ক্রিং ক্রিং করে বেজে উঠল নিলার মোবাইলে। নিলা ফোন ধরেই বলল। কি ব্যাপার মিস্টার। এই সময় ফোন। তা আবার আমাকে। আমি বুঝি ফোন দিতে পারি না। সে পার অবশ্য। এই যে আমরা তোমাকে দেখতে পাচ্ছি বলে নিলার দিকে হাত ইশারা করল নাহিদ। নিলাও দেখতে পেয়ে হাত ইশারা করল। এবং নাহিদের দিকে আসতে থাকলো।
(৪)
নিলা রিনা ও নাহিদের ক্লাসমেট। এখানেই বাড়ি তাঁর। খুব সুন্দর একজন মেয়ে। জুড়ি মেলা ভার।বাবার একমাত্র মেয়ে।বাবা মা প্রেম করে বিয়ে হয়েছিলো। নিলার পরিবার ভালো শিক্ষিত।এই গ্রামেই থাকে। এটা একটা গ্রাম বলা ঠিক হবে না। শহর বলতেই হবে।কারণ কি নেই। সব পাওয়া যায়। নিলা এসেই বলল। তোরা এখানে। এতরাত্রে। কি ব্যাপার। আমরা কি আসতে পারি না, নাকি। আশ্চর্য পাবি না কেন। চল চল। কোথায়। কোথায় আবার আমাদের বাড়িতে। তোদের বাড়িতে আজ যাওয়া হবে না রে। পরে একদিন যাব। আজ ওর সঙ্গে একটু বেড়িয়ে নিই। ঠিক আছে। তাহলে আমি চলি। যাস একদিন বেড়াতে হবে। যাব। নিলাও নাহিদ কে এক সময় খুব ভালোবাসত। পরে জানতে পারে, যে রিনার সঙ্গে রিলেশন আছে। তাই সে নিজের ভালোবাসার কথা প্রকাশ করে নি। মেলা ভালো জমজমাট হয়েছে। অনেক্ক্ষণ ঘুরে ঘুরে দেখল। ফুচকা,জিলিপি খেলো দুজনে। দুটি চুরি কিনে দিলো। রিনা কে। রিনা খুব খুশি চুরি দুটি পেয়ে। ঘুরাঘুরি করার পর রিনা বলল। এবার বাড়ি যেতে হবে। বাড়ি যাবে বলছ, তাহলে চলো।তুমি একটু দাঁড়িয়ে থাকো। আমি সাইকেল নিয়ে আসি। আবার সাইকেলে চড়ে বসল রিনা। আমবাগানে এসে নামিয়ে দিলো। নাহিদ বলল একটু এগিয়ে দিই। জঙ্গলটা। তা দিতে পারো। এমন সময় রিনা নাহিদের ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে আছে। কি ব্যাপার এভাবে তাকিয়ে আছো কেন।লজ্জা লাগছে না। না, লাগছে না। তোমার কাছে আমার কিসের লজ্জা। তুমি তো আমার সব। তোমাকে আমার সবকিছু দিয়ে দিয়েছি। রিনা তাকাতে তাকাতেই কখন নাহিদ কে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করতে লেগেছে। নাহিদ নিজেও জানে না। নাহিদ উত্তেজিত হয়ে সেও চুম্বন করতে লাগলো। মাজায় ও চুলে হাত রেখে। দারুণ একটা সময়। কি নিবিড় সম্পর্ক। প্রায় মিনিট পাঁচেক চলল চুম্বন পক্রিয়া। তারপর থেমে গেলো। এবার রিনা অনেকটা খুশি। এবং সেই সঙ্গে লজ্জাও পেয়েছে। নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। নাহিদ থুতনিটা হাত দিয়ে তুলে ধরে বলে,আর লজ্জা পেতে হবে না। কনে বউ আমার। এবার বাড়ি যাও। আর সাবধানে যাবে। বাড়ি গিয়ে ম্যাসেজ করে জানাবে। তুমি বাড়ি ফিরলেই আমি যাব। তুমি যাও আমি যেতে পারব। রিনা আবার ডোবা পেরিয়ে বাড়ির জানালা দিয়ে নিজের ঘরে প্রবেশ করে। এবং ম্যাসেজ করে নাহিদ কে। সে বাড়ি পৌঁছে গিয়েছে। নাহিদ এবার শান্ত মনে নিজের বাড়ির দিকে রওনা হল।
চলবে ….
₹400.00 (as of রবিবার,২২/১২/২০২৪ ১৫:২২ GMT +05:30 – More infoProduct prices and availability are accurate as of the date/time indicated and are subject to change. Any price and availability information displayed on [relevant Amazon Site(s), as applicable] at the time of purchase will apply to the purchase of this product.)
₹460.00 (as of রবিবার,২২/১২/২০২৪ ১৫:২২ GMT +05:30 – More infoProduct prices and availability are accurate as of the date/time indicated and are subject to change. Any price and availability information displayed on [relevant Amazon Site(s), as applicable] at the time of purchase will apply to the purchase of this product.)
₹540.00 (as of রবিবার,২২/১২/২০২৪ ১৫:২২ GMT +05:30 – More infoProduct prices and availability are accurate as of the date/time indicated and are subject to change. Any price and availability information displayed on [relevant Amazon Site(s), as applicable] at the time of purchase will apply to the purchase of this product.)
₹1,549.00 (as of রবিবার,২২/১২/২০২৪ ১৫:২২ GMT +05:30 – More infoProduct prices and availability are accurate as of the date/time indicated and are subject to change. Any price and availability information displayed on [relevant Amazon Site(s), as applicable] at the time of purchase will apply to the purchase of this product.)
₹399.00 (as of রবিবার,২২/১২/২০২৪ ১৫:২২ GMT +05:30 – More infoProduct prices and availability are accurate as of the date/time indicated and are subject to change. Any price and availability information displayed on [relevant Amazon Site(s), as applicable] at the time of purchase will apply to the purchase of this product.)
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোহাল আজ বেজিংয়ে, ভারত- চায়না বিশেষ প্রতিনিধি স্তরের আলোচনায় অংশ নেবেন।…
আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ভারতীয় নাগরিকরা শ্রীলঙ্কায় বিনা শুল্কে ভিসা পাবেন। ৩৯ টি দেশের…
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেছেন, ‘ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সী’- NTA, আগামী বছর থেকে শুধুমাত্র প্রতিযোগিতামূলক প্রবেশিকা…
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক অস্থিরতার প্রেক্ষিতে এবারের গঙ্গাসাগর মেলার নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্য সরকার বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে।…
রাজ্য সরকারের উদাসীনতার কারণে ন্যাশনাল ‘ব্যাম্বু মিশন’ অভিযানের কাজ এই রাজ্যে এগোয়নি বলে কেন্দ্রীয় শিক্ষা…
সিকিউরিটিস এন্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া SEBI জানিয়েছে, কোনো ব্যক্তি বিনিয়োগ সংক্রান্ত উপদেশ দিতে চাইলে…