বৃহস্পতিবার সারা দেশজুড়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হল নেতাজি সুভাষচন্দ্রের জন্মদিন।


বৃহস্পতিবার,২৩/০১/২০২০
700

বাংলা এক্সপ্রেস ডিজিটাল ডেস্ক ; ---

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে নেতাজি সুভাষচন্দ্রের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি সকল দেশবাসীকে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এক অখণ্ড জাতিসত্ত্বায় বেঁধে জাতীয় সংহতিকে দৃঢ় করেছিলেন। আজাদ হিন্দ ফৌজের জওয়ানদের মধ্যে তিনি ভালবাসা ও আনুগত্যের এক আশ্চর্য অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করেছিলেন। ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ জানুয়ারি, বর্তমান ওড়িশা রাজ্যের কটক শহরে জন্মগ্রহণ করেন সুভাষচন্দ্র বসু।

 

তিনি ছিলেন কটক-প্রবাসী বিশিষ্ট বাঙালি আইনজীবী জানকীনাথ বসু ও প্রভাবতী দেবীর  সন্তানের মধ্যে নবম। ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত সুভাষচন্দ্র একটি কটকের ইংরেজি স্কুলে পড়াশোনা করেন; বর্তমানে এই স্কুলটির নাম স্টুয়ার্ট স্কুল। এরপর তাকে ভর্তি করা হয় কটকের রাভেনশ কলেজিয়েট স্কুলে। সুভাষচন্দ্র ছিলেন মেধাবী ছাত্র। ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় কলকাতা থেকে প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি। ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে দর্শনে সাম্মানিকসহ বিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

 

এরপর সুভাষচন্দ্র কেমব্রিজ বিশ্ব বিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার্থে ভরতি হন। সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় ভাল নম্বর পেয়ে তিনি প্রায় নিয়োগপত্র পেয়ে যান। কিন্তু বিপ্লব-সচেতন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সেই নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, “কোনো সরকারের সমাপ্তি ঘোষণা করার সর্বশ্রেষ্ঠ পন্থা হল তা থেকে  প্রত্যাহার করে নেওয়া”। এই সময় অমৃতসর হত্যাকাণ্ডে ও ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দ দমনমূলক রাওলাট আইন ভারতীয় জাতীয়তাবাদীদের বিক্ষুব্ধ করে তুলেছিল।

 

ভারতে ফিরে সুভাষচন্দ্র ‘স্বরাজ’ নামক সংবাদপত্রে লেখালেখি শুরু করেন এবং বঙ্গীয় প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রচারের দায়িত্বে নিযুক্ত হন।  আজ মহান দেশ প্রেমিক নেতাজি সুভাষচন্দ্রের জন্মদিন। আর সেই জন্মদিবস আজও সসম্মানে পালিত হল  এদেশের বিভিন্ন জায়গায়। ভারতের মানুষের কাছে নেতাজি এক জীবনদর্শনের নাম।  বীর নেতাকে শ্রদ্ধা জানাতে বিশেষ সম্মানের সঙ্গে দেশজুড়ে পালিত হল  তাঁর জন্মবার্ষিকী।

 

 

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট