অনেকেই না বুঝে নানা কিছু ব্যবহার করে ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট করে ফেলেন। ত্বকের জন্য কোন পণ্যটি মানানসই, অনেকেই তা বুঝতে পারেন না। ফলে পণ্যকে দোষারোপ করেন।
বাজারে যেসব মেকআপসামগ্রী পাওয়া যায়, সেগুলোতে ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে তৈরি করা হয়, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট করে দেয়। সব ধরনের ত্বকের জন্য যেসব প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা যাবে, তা জানিয়েছে জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই।
১. নারিকেল তেল
নারিকেল তেল প্রায় সবাই ব্যবহার করে থাকি। সূর্যের প্রখর তাপ থেকে রক্ষা করে, ব্রণের সমস্যা দূর করে। এ ছাড়া ত্বককে রুক্ষ হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে।
২. আপেল সিডার ভিনেগার
ত্বকের পিএইচ লেভেল ধরে রাখতে আপেল সিডার ভিনেগার খুবই কার্যকর। এতে ত্বকের ছিদ্র থেকে বের হওয়া বাড়তি তেল ত্বক থেকে পরিষ্কার করে। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করে। আপেল সিডার ভিনেগারে পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে, যা আপনার ত্বককে করে তুলবে উজ্জ্বল।
৩. মধু
মধুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, প্রোটিন, এনজাইম থাকে, যা ত্বকের জন্য খুব উপকারী। এ ছাড়া অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস সমৃদ্ধ মধু ব্রণ দূর করে এবং ত্বকে বয়সের ছাপ দূর করে।
৪. লবণ
ত্বকের যত্নে লবণ ব্যবহার করা যেতে পারে। কেননা, এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ উপাদান। উজ্জ্বল ত্বক পেতে নিয়মিত ত্বকে লবণ ব্যবহার করুন।
৫. অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডো শুধু ভালো ফল নয়, ত্বকের যত্নেও এর জুড়ি নেই। অ্যাভোকাডোর ফেসপ্যাক ব্রণের সমস্যার জন্য অত্যন্ত কার্যকর। অ্যাভোকাডোতে প্রচুর পরিমাণ স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে, যা ত্বকের তেলতেলে ভাব দূর করতে এবং শুষ্ক হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
৬. অ্যালোভেরা
ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার রয়েছে শত গুণ। রোদ থেকে ত্বককে রক্ষা, মসৃণতা বজায় রাখা, দাগ এবং ব্রণমুক্ত রাখতে ত্বকে অ্যালোভেরার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৭. চা গাছের তেল
অন্য তেলের সঙ্গে চা গাছের তেলটি মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে। এতে হাইড্রোকার্বন রয়েছে, যা ব্যবহারে ত্বকের বলিরেখা, চোখের পাশে ও নিচে ভাঁজ পড়া এগুলো সহজেই দূর হবে। এ ছাড়া ত্বকের গভীরে পৌঁছে জমে থাকা ময়লা দূর করে ত্বককে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।