ঝাড়গ্রাম :- দিদিমনির হাসি তো গেছে চেহারাও আমসির মত হয়ে গেছে,শরীর ও ঠীক নেই মাথাও ঠিক নাই ঝাড়গ্রামে বিজেপির অভিনন্দন যাত্রাতে এসে এমনি মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।বৃহস্পতিবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে বিজেপির অভিনন্দন যাত্রা হয় ঝাড়গ্রামে । এদিন ঝাড়গ্রাম শহরের সারদা বিদ্যাপীঠ স্কুলের মোড় থেকে শুরু হয় বিজেপির অভিনন্দন যাত্রা , শেষ হয় ঝাড়গ্রাম শহরের পাঁচমাথা মোড়ে । অভিনন্দন যাত্রা শেষে সুভাষ পার্কের মোড়ে সভা করেন দিলীপ ঘোষ । এদিনের অভিনন্দন যাত্রায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ভিড় উপচে পড়েছিল । অভিনন্দন যাত্রায় দিলীপ ঘোষ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু , বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার , ঝাড়গ্রামে বিজেপি সাংসদ কুণার হেমব্রাম এছাড়াও বিজেপির একাধিক নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন ।
এদিনের সভায় দিলীপ ঘোষ বলেন , এখানকার জঙ্গলমহলের সাঁওতাল, ভূমিজ , আদিবাসী, কুড়মি এদেরকে ভয় বোঝানো হচ্ছে । বলা হচ্ছে এখান থেকে তাদেরকে তাড়িয়ে দেয়া হবে । আমি দিলীপ ঘোষ বলছি, আমি জঙ্গলমহলের ছেলে যতদিন বিজেপি আছে মোদি আছে ততদিন কারো বাপের সাধ্য নেই তোমাদের গায়ে হাত দেয়ার মত । সারা ভারতবর্ষের দলিত সমাজ উপজাতি সমাজ ভারতীয় জনতা পার্টি কে জিতিয়েছে । আমাদের পশ্চিমবাংলায় দুটো আদিবাসী রিজাভ সিট আছে ঝাড়গ্রাম আর আলিপুরদুয়ার । এছাড়াও আরো একজন আদিবাসী নেতা রয়েছেন খগেন মুর্মু তিনি মালদা জেনারেল সিট থেকে জিতেছেন । তিনজন আদিবাসী নেতা কে আমরা পশ্চিমবাংলা থেকে দিল্লি পাঠিয়েছি । কারণ আদিবাসী সমাজ থেকে শুরু করে সারা পশ্চিমবাংলার সমাজ আমাদের বিশ্বাস করে ।
রাজ্য সভাপতি আরো বলেন, ‘‘প্রায় ৫০ লক্ষ মুসলিম অনুপ্রবেশকারীর ভোট পেয়েছেন মমতা। উনি জেনে গিয়েছেন, যেভাবে দেশ এগোচ্ছে, সব হিন্দুরা নাগরিকত্ব পেয়ে যাবে, ওরা বাকি থেকে যাবে, পরে ওদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিলে ৫০ লক্ষ ভোট চলে যাবে দিদিমণির। ২০২১ সালে বিজেপি ২০০ আসন পাবে, দিদিমণি ৫০টাও পাবেন না। এই হিসেব কষে উনি কাজ করছেন, রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। এটা তো সবে ট্রেলার, পুরো ফিল্ম বাকি আছে’’।
এরপরই দিলীপ আরও বলেন, ‘‘প্রায় ২ কোটির বেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশ থেকে এদেশে এসেছে। এর মধ্যে এক কোটি বাংলায় ঢুকেছে। বাকি এক কোটি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলায় এক কোটির মধ্যে ৭০ লক্ষ ভোটার রয়েছে। এই ৭০ লক্ষ ভোটারকে নিয়ে কখনও কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছে, কখনও সিপিএম এসেছে, আর এখন এদের ভোট পেয়ে তৃণমূল ক্ষমতায় আছে। উদ্বাস্তুদের মধ্যে অর্ধেকের ভোটার কার্ড বানানো হয়েছে, অর্ধেকের হয়নি’’।