মিজান রহমান, ঢাকা: ২০২০ সালে ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে দেশের সব সরকারি হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের (আইসিইউ) শয্যা দ্বিগুণে উন্নীত করার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, দেশের সব সরকারি হাসপাতালের আইসিইউয়ের শয্যা দ্বিগুণ করা হবে। পাশাপাশি ২৫০ শয্যার ডায়ালাইসিস সেন্টারও চলতি বছরই উদ্বোধন করা হবে। ৬ জানুয়ারি সোমবার রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হাসপাতালে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট স্ট্রোক ইউনিটের সেবা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য খাতেও ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে।
কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ ও ডায়ালাইসিস সেন্টারে থেকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে দেশের অনেক মানুষ দরিদ্র হয়ে পড়ছেন। সরকার এ ক্ষেত্রে প্রায় বিনামূল্যে চিকিৎসা দিচ্ছে। তাই এসব বিষয়ে উন্নয়নকাজও চলছে। স্বাস্থ্যখাতে জনবলের সঙ্কট রয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যখাতে জনবলের ব্যাপক সঙ্কট রয়েছে। যে কারণে আমাদের ভবন, আসবাবপত্র ও মেশিনপত্র এলেও সেবা কার্যক্রম অনেক জায়গায় চালু হয়নি। ‘প্রধানমন্ত্রী এসব খাতে আমাদের বাজেট দিয়েছেন। কিন্তু পরিকল্পনার অভাবে আমরা জনগণের বাজেট দিতে পারিনি। এদিকটায় আমাদের আরো বেশি লক্ষ্য রাখতে হবে। তবুও সম্প্রতি আমরা ৪ হাজার ৫০০ জন চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছি। এরপর আরো ৫ হাজার ৫০০ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, দুই হাজার চিকিৎসকের পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে, যার নজির একেবারেই বিরল। ১০ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
তবে প্রয়োজন আরো বেশি। তাই আরো ৫ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হবে। হাসপাতাল পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, দেশে সরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন হাসপাতালের রোলমডেল হচ্ছে এই নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল। এ হাসপাতালে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার রোগীর সেবা দেয়। ‘কিন্তু সবসময় পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন করে রাখা হয়। এক্ষেত্রে আমাদের ভিজিটর কন্ট্রোল করতে হবে, না হলে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়।’ এর আগে হাসপাতালটির ১০ তলায় ১০০ শয্যার স্ট্রোক ইউনিটের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম, আবাসিক চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এমএসজহিরুলহকচৌধুরীপ্রমুখউপস্থিতছিলেন।