হাওড়া,আমতা: কনকনে শীত ,ঘন কুয়াশা আর তার সঙ্গে অসময়ে বৃষ্টি শুরু হয়েছে রাজ্যের একাধিক জায়গায়। এই অকাল বর্ষণের জেরে শীতকালীন সবজি চাষ আলু, টমেটো ও সরষে চাষে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।সম্প্রীতি বুলবুলের প্রভাবে ব্যাপক পরিমাণে চাষে ক্ষতি হয়েছে।তার রেশ কাটতে না কাটতেই এই সময়ে বৃষ্টিতে ফের চাষে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি। তার প্রভাব পড়েছে হাওড়ার গ্রামাঞ্চলেও। সব থেকে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে ফুল চাষীরা বৃষ্টির জেরে গাছের পাতায় ধরছে কালো দাগ। ঝড়ে যাচ্ছে ফুল। ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন এলাকার ফুল চাষীরা।এই অসময়ের বৃষ্টির কারণে আজানা রোগের জেরে গাছের পাতায় দাগ পড়ছে আর ঝড়ে যাচ্ছে গাছের ফুল। প্রায় কয়েক বিঘা জমিতে ফুল চাষের ক্ষতি।বাগনান,ঘোড়াঘাট,
দেউলটি, তুলসীবেড়িয়া সহ একাধিক এলাকায় পান চাষের ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অকাল বৃষ্টির ফলে পান গাছে দেখা গিয়েছে একপ্রকার ধসা রোগ। রোগের ফলে পান পাতায় একপ্রকার দাগ দেখা যাচ্ছে।তাদের দাবি পানে দাগ ধরে যাওয়ার কারণে ঠিকমতো দাম পাচ্ছেন না।ফুল, পানের পাশাপাশি আমতা, জয়পুর, উদয়নারায়নপুর,বিস্তীর্ন এলাকায় সবজি চাষেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । বাঁধাকফি, ফুলকপি, টমেটো, পালংশাক, কাঁচালঙ্কার সঙ্গে সঙ্গে আলু ও বেগুন মাঠেই নষ্ঠ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে চাষীরা।আমতা খড়িয়োপ গ্ৰামের নারায়ন কোলে নামে এক চাষী বলেন,আবহাওয়ার খামখেয়ালীপনায় জল জমে গিয়ে বাঁধাকফি,বেগুন গাছ সব নষ্ট হতে হয়ে যাচ্ছে। এই শীতের সময় সবজি বিক্রি করে একটু রোজগারের আশায় থাকি। জল জমে গিয়ে সব সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে সবজি চাষ করেছিলাম।পরবর্তীতে কিভাবে আবার চাষ করবো, বুঝে উঠতে পারছিনা। সরকারি সাহায্য না পেলে না খেয়ে মরতে হবে।