নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও এন আর সি- র বিরুদ্ধে আজ যৌথ ভাবে পথে নামল বাম ও কংগ্রেস। আগামী ৮ জানুয়ারি দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের সমর্থনে এবং সিএএ, এনআরসি, এনপিআর প্রত্যাহারের দাবিতে ১৭টি বামপন্থী ও সহযোগী দল এবং জাতীয় কংগ্রেসের যৌথ উদ্যোগে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে সমবেত হয়ে মহাজাতি সদন পর্যন্ত একটি মিছিল সংগঠিত হয়। মিছিলে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের প্রথম সারির সব নেতাই উপস্থিত ছিলেন। নাগরিকত্ব এবং এনআরসির প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই পথে নেমেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কংগ্রেস এবং বামেরা আলাদা আলাদা করে ইতিমধ্যেই কর্মসূচি নিয়েছিল। এই প্রথম জোটবদ্ধভাবে মহানগরীর বুকে এই ইস্যুতে পথে নামলো তারা। গত বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে বাম এবং কংগ্রেস আসন সমঝোতা করে নির্বাচনী ময়দানে নেমেছিল। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে সেই জোট ভেস্তে যায়। দু’দলের বোঝাপড়া না হয় আলাদা আলাদা করে নির্বাচনী ময়দানে নামতে হয়েছিল তাদের। আর লোকসভা ভোটের ফলাফলে চূড়ান্ত পর্যদুস্ত হতে হয়েছিল বাম এবং কংগ্রেস উভয়কে। সেই ভুল শুধরে নিয়ে রাজ্যের তিনটি বিধানসভার উপনির্বাচনে আবারও জোট করেছিল বাম এবং কংগ্রেস। তবে এই জোট তেমন সাফল্য লাভ করেনি। বাম এবং কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা মনে করছেন এই জোট আগামী দিনে রাজ্যের মানুষের দিশা দেখাবে।
সাধারণ মানুষের পাশে বাম এবং কংগ্রেস থাকবে সেই প্রয়োজন মানুষ বুঝতে পারবেন। আগামী দিনে জোটবদ্ধভাবে এই লড়াই চলবে। সে কথা মাথায় রেখে এদিন বাম এবং কংগ্রেসের নেতৃত্ব থেকে শুরু করে কর্মী-সমর্থকরা ভিড় জমিয়েছিলেন মিছিলে। হাজার হাজার কর্মী সমর্থক এর উপস্থিতিতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে জোট। দু’দলের নেতারাই এদিন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। সেইসঙ্গে রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধেও সরব হন তারা। এদিনের মিছিলের ভিড় দেখে যথেষ্ট উৎসাহিত দু’দলের নেতারা।