কলকাতা: কলকাতা পুরসভার নির্বাচন আর বেশি দেরি নেই। এখন থেকেই জনসংযোগে মনোনিবেশ করতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল নেতৃত্ব। কলকাতা পুরসভার প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দের কাছে সেই নির্দেশ পৌঁছে গেল। সব কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে সেই নির্দেশ দিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
কলকাতা পুরসভার প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে হবে। শনিবার সন্ধ্যায় কাউন্সিলরদের নিয়ে একটি জরুরি বৈঠকে তেমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা পুরসভার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে অন্তত পক্ষে চারবার এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে হবে। আগামী ৭২ মধ্যে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির প্রথম প্রোগ্রামটি নিতে হবে। শুধু কাউন্সিলররাই নন, ব্লক সভাপতিরাও এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
গত লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করে নিয়েছে বিজেপি। কলকাতা উত্তর এবং কলকাতা দক্ষিণ এই দুটি লোকসভা কেন্দ্রের ফলাফলে বিজেপি তাদের প্রভাব যথেষ্টই বাড়িয়ে নিয়েছে।
কয়টি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি তৃণমূল কে ছাপিয়ে গিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে কলকাতা পুরসভার অনেকগুলি ওয়ার্ডের তৃণমূল পিছিয়ে পড়েছে। এরকম এক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া তৃণমূল। সেইসঙ্গে পিকে স্যারের নির্দেশমতো দলকে চাঙ্গা করার রাস্তায় নামতে চলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তার প্রথম পর্যায়ের বৈঠকটি হয়ে গেল শনিবার সন্ধ্যায়। এই কর্মসূচি যথাযথভাবে পালন হচ্ছে কিনা তা নজরদারি চালাবে পিকে স্যারের টিম। জানা গিয়েছে প্রতিটি জেলাকে পিকে স্যারের দুজনের প্রতিনিধির নম্বর দেওয়া হবে। কর্মসূচিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাউন্সিলররা তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে সমস্ত কাজকর্ম সম্পন্ন করার নির্দেশ ও কাউন্সিলরদের দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কলকাতা পুরসভার আসন সংরক্ষণের বিষয়গুলি ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। বর্তমান নির্বাচিত অনেক কাউন্সিলরের কেন্দ্র সংরক্ষিত হবে। সেইসব ওয়ার্ডে প্রার্থী হতে পারবেন না তারা। গত পাঁচ বছরের সাফল্য এবং পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে অন্য ওয়ার্ডের প্রার্থী করা হবে। যেসব কাউন্সিলরদের পারফরম্যান্স ভালো নয় তাদের প্রার্থী পদ চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছে।