পরিবহণমন্ত্রীর উপস্থিতিতে খড়্গপুর সদর বিধানসভার উপনির্বাচনে ইস্তেহার প্রকাশ তৃণমূলের


বৃহস্পতিবার,১৪/১১/২০১৯
1189

পশ্চিম মেদিনীপুর :– খড়্গপুর সদর বিধানসভার উপনির্বাচনে ইস্তেহার প্রকাশ করে প্রতিটি মানুষের কাছে উন্নয়ন পৌঁছে দেওয়াকেই প্রথম কাজ হিসেবে উল্লেখ করলো তৃণমূল । রাজ্য পুর ও নগরায়ন দপ্তরের সহযোগিতায় তৃণমূল পরিচালিত খড়্গপুর পুরসভা নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে উন্নয়নের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে । শাসক দলের বিধায়ক না থাকার সুযোগ নিয়ে রেল যেভাবে পুরসভাকে একের পর এক বাধা দিচ্ছে তা কাটিয়ে উঠতেই উন্নয়নমুখী বিধায়ক চাইছেন খড়্গপুরের মানুষ । যিনি তাঁদের কাজ করবেন ।

বৃহস্পতিবার দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে দলের ইস্তেহার প্রকাশ করে এই বার্তা দেন দলের পশ্চিম মেদিনীপুরজেলার পর্যবেক্ষক ও রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী । এদিন বিকেলে প্রার্থীকে নিয়ে পায়ে হেঁটে মালঞ্চ , খরিদা , নিমপুরা , জয়হিন্দ নগর প্রচার সারেন । পথ চলতি মানুষনজকে তৃণমূল প্রার্থীকে জয়ী করে বিধানসভায় পাঠিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উন্নয়ন মূলক কর্মসূচিকে আরও প্রসারিত করার আবেদন জানান । এদিন বহু তৃণমূল কর্মী সমর্থক পরিবহণ মন্ত্রীর মিছিলে পা মেলান। ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে চলা এই মিছিল যতই এগিয়েছে ততই মানুষের সংখ্যা বেড়েছে ।
খড়্গপুরের ৮ টি ওর্য়াড এর বেশ কিছুটা করে অংশ রেলের অধীনে ।

এরফলে রেল সেসব এলাকায় বসবাসকারী মানুষজনের জন্য খড়্গপুর পুরসভাকে উন্নয়ন করতে বাধা দিয়ে আসছে । টানা ৫০ বছর খড়্গপুরের বিধায়ক ছিলেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা জ্ঞানসিং সোহানপাল । ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে হারিয়ে বিধায়ক হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ । ৩ বছর বিধায়ক থাকাকালীন তিনি কোনো উন্নয়নমূলক কাজই করেননি । তাঁর বিধায়ক তহবিলের টাকাও অর্ধেক খরচ করতে পারেননি । এর মধ্যেই এসে পড়ে লোকসভা নির্বাচন । তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে মেদিনীপুর লোকসভার প্রার্থী হন  জয়ী হন।

অভিযোগ, দিলীপ বাবু বিধায়ক ও সাংসদ হিসেবে বরাবরই তৃণমূল পরিচালিত খড়্গপুর পুরসভার সঙ্গে অসহযোগিতা করে এসেছেন। রেলকে দিয়ে উন্নয়ন কাজে বাধার সৃষ্টি করেছেন । ৮ টি রেল বস্তি এলাকায় ৫৩৪২ টি পরিবারে শৌচাগার নির্মাণের জন্য ‘ মিশন নির্মল বাংলা ‘ প্রকল্পে খড়্গপুর পুরসভা ৪ কোটি টাকা পেয়েছিল । এবছরের সেপ্টেম্বরে কাজ শুরুর কথা ছিল , টেন্ডারও হয়ে গিয়েছিল ।রেল সেই কাজ করতে দেয়নি । দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের লাইন নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি । রেলের সঙ্গে সংঘাতে গিয়ে পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার একপ্রকার জোর করেই মানুষের নূন্যতম মৌলিক চাহিদা পূরণ করেছিলেন ।
বৃহস্পতিবার খড়্গপুরে ইস্তেহার প্রকাশ করে শুভেন্দু জানান , ‘ বিজেপি বিভেদের রাজনীতি করে ।

রামের সঙ্গে রহিমের সংঘাত বাধানোর রাজনীতি করে । সমাজকে পিছিয়ে নিয়ে যাওয়ার রাজনীতি করে । আর তৃণমূল শুধুই মানুষের জন্য উন্নয়নের রাজনীতি করে । মানুষের উন্নয়নের কথা ভাবে।

উপনির্বাচনকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই বাড়ি বাড়ি প্রচার , বুথসভা , মিছিল করে প্রচারে বেশ কয়েক কদম এগিয়ে গেছেন তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকার ।২০১৫ সাল থেকে তিনি খড়্গপুর পুরসভার পুরপ্রধান রয়েছেন প্রদীপ সরকার ।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট