বিশৃঙ্খল দেখলেই আর রেয়াত নয়। সে যত বড় নেতা-ই হন বা অনুগামী- প্রশান্ত স্যার পরামর্শদাতা হওয়ার পর এতটাই কড়া মনোভাব এখন তৃণমূলের। দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম দুই শীর্ষ নেতা-নেত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং মালা রায়। একজন দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, দলের প্রতীকে বিজয়ী প্রথম বিধায়ক তথা বর্তমানে রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতরের মন্ত্রী। দ্বিতীয় জন একধারে সাংসদ এবং অন্যদিকে কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন। ওজনে বহরে দুজনেই হেভিওয়েট। এই দুই নেতা-নেত্রীর অনুগামীরা মাঝে মধ্যেই জড়িয়ে পড়েন সংঘর্ষে। চরম বিশৃঙ্খলা দেখা যায় তাদের মধ্যে। গত মঙ্গলবার রাতে এই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাসবিহারী এলাকা। পথ অবরোধের জেরে আধ ঘন্টার বেশি সময় যান চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। এই ঘটনায় কড়া মনোভাব নিয়ে এগোল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
দলের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের খবর, রাসবিহারীতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনায় দুই নেতা-নেত্রীকে কারণ দর্শানোর জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে তৃণমূলের
দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূল সাংসদ মালা রায় এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে। দু’জনকেই শোকজ করল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। ঘটনার জেরে যথেষ্ট অস্বস্তিতে দল, কি কারনে এই ঘটনা বিস্তারিত জানতে চেয়ে দু’জনকেই দলের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।