ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা: দারিদ্র্য বিমোচন ও মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কারণে বাংলাদেশে ২০১০ থেকে ২০১৬ সময়ে ৮০ লাখ মানুষ দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছে। এর বেশিরভাগই সম্ভব হয়েছে শ্রম আয় বৃদ্ধির কারণে। সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে বাংলাদেশ পোভার্টি অ্যাসেসমেন্ট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরে বিশ্বব্যাংক। প্রতিবেদনে বলা হয়, দারিদ্র্য বিমোচনের ৯০ শতাংশই গ্রামে হয়েছে। শহরে দারিদ্র্য কমেছে সীমিত হারে। এছাড়া অতিদারিদ্র্য জনগোষ্ঠীর মধ্যে শহরের লোকের সংখ্যা একই রয়ে গেছে। ফলে জাতীয় দারিদ্র্য বিমোচনে ধীরগতি। জোরালো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের দারিদ্র্য কমাচ্ছে। তবে তুলনামূলক কম গতিতে। কৃষি নয়, গ্রাম অঞ্চলে দারিদ্র্য কমাতে শিল্প ও সেবা খাত অবদান রেখেছে। আলোচ্য সময়কালে কৃষি প্রবৃদ্ধি ধীর ছিল এবং সবচেয়ে কম দারিদ্র্য বিমোচনে অবদান রেখেছে।
শহরাঞ্চলে ম্যানুফ্যাকচারিং বা উৎপাদন খাত বিশেষত তৈরি পোশাক খাত দারিদ্র্য কমাতে শীর্ষ স্থানীয় ভূমিকা রেখেছে। এদিকে, উৎপাদন খাতে কর্মসংস্থানের ধীর গতির কারণে সুবিধা পেতে পারতো এমন পরিবার অংশ চিহ্নিত হয়েছে। অন্যদিকে, সেবাখাতে আত্মকর্মসংস্থানে নিহতদের মধ্যে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে। যা নগর দারিদ্র্য কমানোর ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করেছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, সরকারের অন্যতম শত্রু দারিদ্র্যতা। দারিদ্র্য বিমোচনে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ সঠিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। এ সময় দরিদ্র মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না।