প্রেম – এন.কে.মণ্ডল (শেষ পর্ব)


সোমবার,২৮/১০/২০১৯
1888

প্রেম – এন.কে.মণ্ডল
(শেষ পর্ব)

—ইলিয়ানা: কেনো

—নাহিদ: আমি যেদিন থেকে এই বিদ্যালয়ে এসেছি আর যত মেয়ে দেখেছি সবার থেকে তুমি আলাদা ও প্রবিত্র। কেন না তুমি ছলনা না করে এবং একজন মেয়ে হয়ে পুরুষের কাছে হাটু গেড়ে ভালোবাসার আবেদন করেছো।

হাটু গেড়ে ভালোবাসার আবেদন একমাত্র ছেলেদেরকে করতে দেখেছি, এবং তোমার ব্যাবহারে আমি মুগ্ধ তাই আমি চাই না হাতের কাছে মুক্তা রেখে রুপার খোঁজ করা।

তাই তোমায় আমি গ্রহণ করলাম। আর তাতে তুমি ইসলামিক নিয়মে সর্বদা চলো তোমার সঙ্গে আমি কিভাবে খারাপ ব্যাবহার করি।

ইলিয়ানা মনে মনে বলে হে আল্লাহ তুমি ভালো ব্যাক্তির সঙ্গে ভালোই ব্যাবহার কর তা আজ আমি স্বচোক্ষে দেখলাম।

সেদিন থেকেই দুজন দুজনে প্রেমের দুনিয়ায় সাঁতার দিলো কিন্তু কোনো অবৈধ ভাবে নয়।

স্কুলের একে একে প্রায় বন্ধু বান্ধবী ওদের মেলামেশা দেখে আন্দাজ করেছে যে ওরা দুজন দুজনে ভালোবাসে। কিন্তু কবে এসব হয়ে গেলো।
এইসব মেলামেশা দেখে কয়েকজন মেয়ে ঠিক করল যেভাবে হোক ওদের প্রেম ভাঙ্গতেই হবে, নইলে আমরা কি আঙ্গুল চুষব, ভালোবাসলে আমাদেরকেউ কিছু দিয়ে থিয়ে খেতে হবে নইলে কাউকেই খেতে দেব না।
এইরকম ভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হল চারজন বান্ধবী সোমা,নয়না,রিয়া ও ঝুমুর।
পরেরদিন সবাই নাহিদ কে বলে নাহিদ তুমি ইলিয়ানার সঙ্গে প্রেম করছো, আদর করছো তো আমাদের একটু আদর কর নইলে ফাঁস করে দেব।
—নাহিদ: দেখো স্কুলে আমি একা প্রেম করি না, আর এসব আমার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। আমাদের কেউ কিছুই করতে পারবে না।

আর তোমরা আমার স্কুলের প্রথম বন্ধু তোমরা আমার সঙ্গে এইরকম ব্যাবহার করছো। আমি তোমাদের ভালো ভেবেছিলাম কিন্তু দেখছি তোমরাও আলাদা। তোমরা কোথায় একটু উৎসাহ দেবে তা না করে আমার বিপক্ষে দাঁড়াচ্ছো।

এইসব কথা শুনে নাহিদের বান্ধবীরা লজ্জায় মাথা হেট হয়ে গেছে নাহিদের কাছে। বান্ধবীরা খমা চাইলো এবং যাতেকরে আর কোনোদিন না হয় তারজন্য প্রতিজ্ঞা করলো।

—নাহিদ: ঠিক আছে তোমরা আমাকে ভালো বন্ধু হিসাবে ভালো পরামর্শ দিতে পারো। চার বান্ধবী মিলে নাহিদ কে ভাই বোনের সম্পর্ক তৈরি করল।

পাঁচ বছর পর———

নাহিদ এখন একজন তরুণ ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলা শাসক। জেলার সমস্ত দায়িত্ব তাঁর হাতে।
কিন্তু এদিকে ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবের বিয়ের সময় চলে আসছে সামনে মাসের পাঁচ তারিখে ইলিয়ানার সঙ্গেই বিয়ে। ইলিয়ানা এখন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ও ভালো লেখক। পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাহিত্যকেও বেছে নিয়েছে ইলিয়ানা।
অবশেষে বিয়ের তারিখে বিয়ে করে সুখে জীবন কাটাতে লাগলো।

এন.কে.মণ্ডল

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট