প্রেম-এন.কে.মণ্ডল (তৃতীয় পর্ব)
তৃতীয় পর্ব
লিজা তখন বলল “আমি আস্তে পড়ছি তুমিই তো পড়ছো না বেবি।” আমি আর কিছু বললাম না চুপচাপ পড়তে লাগলাম। এমন সময় হঠাৎ করে জোর করে কিস করতে লাগলো, আমি চিৎকার করতে পারছি না কারণ সে মহিলা আমাকেই দোষ দেবে এবং ফাঁসিয়ে দেবে। আমি অনেক চেষ্টা করলাম কিন্তু কিছু করা না, আমায় ওর ইচ্ছামত কিস করল এবং কিছুক্ষণ পরে চলে গেলো।
তারপরের দিন ক্লাসে আমাকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলছে জানিস কাল একজন কে লাইব্রেরিতে জোর করে কিস খেয়েছি, বেচারা একদম পানসে হয়ে গেছিলো। দেখার জো ছিলো না। এইরকম বলে আমার মাথা আরো গরম করে দিচ্ছিলো। আমি ক্লাস থেকে বেরিয়ে আসলাম, গিয়ে একটি গাছের তলায় ফিল্টে বসলাম টেনশন থেকে বাঁচার জন্য। ফিল্ট পুরো চারিদিকে নানান গাছ দিয়ে সাজানো এবং বড় প্রাচীর দিয়ে ঘেরা যাতে করে বাইরের কোনো ব্যাক্তি এসে বাগানের খতি না করতে পারে, শুনশান ময়দান মাঝে মাঝে গাছ আছে এবং বসে থাকার জন্য সিমেন্টের বেঞ্চ বসানো আছে, ওতে আমি ঘুমিয়ে আছি। কিছুক্ষণ পরে বুঝতে পারি যেনো আমায় মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আদর করছে, অবশ্য আমার ভালোই লাগছিলো। কিন্তু আমি ভাবছিলাম যে বাড়িতে শুইয়ে আছি। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে মুখে মুখ লাগিয়ে চেটেপুটে কিছু খাচ্ছে। তখন আমার জ্ঞান আসে এবং দেখি এইসব কাণ্ড হচ্ছে। আমি ওদের কে দু-থাপ্পড় দিয়েদিলাম কিন্তু তাতেও খুশি ছিলো ওরা।
প্রায় স্কুলে এমনই করত আমার সঙ্গে। তাই বাধ্য হয়ে আমাকে স্কুল ছাড়তে হয়েছে।
সবকিছু শোনার পর বন্ধু বান্ধবীরা বলে উঠে ওহ গুরু জীবনে তুমিই এঞ্জয় করেছো। ধন্য ধন্য।
কিন্তু ইলিয়ানার মন ভেঙ্গে গেলো,সে অবশ্য কিছুই বলে নি। কথাগুলি শোনার পর চলে আসলো, নাহিদ আর কোনো মেয়েকে ভালোবাসবে না মনে হয় এটায় চিন্তা করছে। কি করা যায় এই ভাবনায় ডুবে আছে ইলিয়ানা।
ইলিয়ানা একদিন নাহিদের কাছে গেলো এবং বলল শোনো তোমার সঙ্গে আমার কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা আছে একটু কি সময় দেওয়া যাবে পার্শনালি বলতে চাই।
—নাহিদ: ঠিক আছে ফিল্টে গাছের তলায় গিয়ে কথা বলি।
—ইলিয়ানা: মানে আমি বলছি, একটি কথা বলতে চাই মাইণ্ড করবে না তো।
—নাহিদ: আরে না না, কিছু মনে করব না তুমি নির্ভয়ে বলতে পার।
— ইলিয়ানা: থতমত করে ভয়ে ভয়ে ব্যাগ থেকে একটি গোলাপ নিয়ে হাটু গেড়ে নাহিদের সামনে ধরলো এবং বলল ” আই লাভ ইউ প্রিয়”।
—নাহিদ: ইলিয়ানার হাত থেকে গোলাপটা নিয়ে একটু থমকে দাড়ালো।
ইলিয়ানা ভাবছে হয়ত অপমান করবে, হে আল্লাহ তুমি আমার সন্মান রেখো, জীবনে আমি কোনো খারাপ কাজ করি নি, আমায় সন্মানের হাত থেকে বাঁচায়ো।
নাহিদ কিছুক্ষণ থমকে দাঁডিয়ে কি ভাবলো কি জানি, ইলিয়ানাকে দুই হাত ধরে তুলে নিয়ে বুকের সঙ্গে জড়িয়ে ধরে বলল ” আই লাভ ইউ টু”
ইলিয়ানা আল্লাহ কে অশেষ ধন্যবাদ জানাই।
তখন নাহিদ জিজ্ঞেস করল ইলিয়ানাকে, আচ্ছা ইলিয়ানা তোমাকে সম্মতি দেওয়ার জন্য কিছু বললে না যে, কাউকে ভালোবাসি নি তবুও তোমার একটিবার আই লাভ ইউ বলায় আমি প্রতিক্রিয়া জানালাম।