মিজান রহমান, ঢাকা: দেশে ২০২৩ সালের মধ্যে ৫-জি মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। বুধবার রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে ‘৫-জি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘৫-জি, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণ ও সাবমেরিন ক্যাবল-৩ আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে সম্পন্ন করে চালু করতে পরব। এ লক্ষ্যে কাজ করছি।’ মন্ত্রী জানান, ২-জি, ৩-জি ও ৪-জি নেটওয়ার্ক ঠিকভাবে না পাওয়ার অনেক অভিযোগ রয়েছে। মোবাইল অপারেটরদের যে মানের সেবা দেওয়া উচিত ছিল তা দিতে পারছে না। একজন মন্ত্রী পর্যন্ত সংসদে দাঁড়িয়ে নেটওয়ার্ক সমস্যার সমালোচনা করেছেন। মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘এমন কোনো দিন নেই যে নেটওয়ার্ক নিয়ে ২-৪টি বকা খাই না।
বহু জায়গায় অভিযোগ যে নেটওয়ার্ক ঠিকমতো কাজ করে না।’ এ জন্য দেশের পরবর্তী শিল্প রূপান্তরে ৫-জি নেটওয়ার্কের প্রয়োজন রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে শিক্ষা, শিল্প, ব্যবসা ও কৃষিসহ সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে ৫-জি। এত দিন ৫-জির পরিকল্পনা নিয়ে অভ্যন্তরীণভাবে কাজ করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আজকে আপনাদের সবার মতামত নিতে উন্মুক্ত সভা করেছি এবং অনেক মতামত পেয়েছি।’ ৫-জি নীতিমালা তৈরিতে জনগণ ছাড়াও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং মতামত নেওয়া হচ্ছে বলে জানান মোস্তফা জব্বার। মন্ত্রী বলেন, ‘২-জি, ৩-জি ও ৪-জির সেবার মান কতটা উন্নত করতে পারব তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমি ৫-জির মহাসড়ক যথাসময়ে নির্মাণ করতে পারব কি না।
’ পৃথিবীর কয়েকটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে ৫-জির পরীক্ষা চালিয়েছে এবং এতে ৪ দশমিক ১৩ জিবিপিএস (গিগাবিট প্রতি সেকেন্ড) গতি পেয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) আয়োজিত এ সেমিনারে জানানো হয় যে ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে দেশে ৫জি চালু করা হবে। বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, ‘৫-জির মাধ্যমে আরও মানসম্মত টেলিকম সেবা দিতে চাই। দেশে বর্তমানে গ্রাম পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছি এবং ব্যান্ডউইথের দাম আগের চেয়ে কমিয়েছি। ২০২৪ সালে এমন কোনো বাড়ি থাকবে না যেখানে ইন্টারনেট থাকবে না।’ সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস।