Categories: ভ্রমণ

দীঘা হলো। পুরীও হলো। তারপর ?

গৌরব ব্যানার্জী: ভ্রমণপ্রিয় বাঙালি মাত্রেই জানেন, দীঘা-পুরীর পর তৃতীয় পছন্দের নামটা জানতে চাইলে নিঃসন্দেহে উত্তর আসবে ‘দার্জিলিং’। ব্যক্তিগতভাবে নদী, সমুদ্র, জঙ্গল এসব অনেকবার ঘোরা হলেও পাহাড় আমার কাছে বরাবরই অধরা রয়ে গেছে। চোখের সামনে পাহাড়ের বুক চিরে সূর্যোদয় আর অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, এসব এতদিন শুধু আমার স্বপ্নে আর ফেসবুকের নিউজফিডেই এসেছে, বাস্তবে সেসব স্বচক্ষে দেখার সৌভাগ্য হয়নি। অবশ্য সুযোগ যে একেবারেই জোটেনি তা না। দু’বছর আগে একবার দার্জিলিং যাওয়ার প্ল্যান হয়েছিল। কিন্তু টিকিট কাটার কয়েকদিনের মধ্যেই আমার বর্তমান কাজে যোগ দেওয়ার জন্য জয়েনিং লেটার চলে আসে। এতসব একরাশ দুঃখ নিয়ে ঘোরার টিকিট বাতিল করতে হয়েছিল। এবার পুজো আসতেই তাই তক্কে তক্কে ছিলাম, নর্থ বেঙ্গল যাবই। ফ্যামিলির সাথে হোক, বন্ধুদের নিয়ে হোক, যেতে আমাকে হবেই। সেই ইচ্ছাশক্তির ওপর ভর করেই শেষমেস প্ল্যান ফাইনাল হলো, ফ্যামিলির সবাই রাজিও হয়ে গেল চটপট। ঠিক হলো, শুরুতে দার্জিলিং নয়, বরং পেলিং যাওয়া হবে। অক্টোবরের এই সময়টায় পাহাড়ের আবহাওয়া মোটামুটি মনোরম থাকে, তার ওপর পুজোর ছুটির ব্যাপারটা তো আছেই। অতয়েব শুভস্য শীঘ্রম ! দশমীর দিন ভোরবেলা রুকস্যাকটা পিঠে করে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম কলকাতা স্টেশনের উদ্দেশ্যে। এখান থেকেই ধরতে হবে সকাল ন’টা পাঁচের কলকাতা-হলদিবাড়ি সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। গন্তব্য ? আপাতত নিউ জলপাইগুড়ি। তারপর সেখান থেকে শিলিগুড়ি, জোড়থাং হয়ে সোজা পেলিং।

হ্যাঁ, আজ আমাদের আলোচনার বিষয় পেলিং। এটি প্রায় ৭০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত পশ্চিম সিকিমের একটি অতি পরিচিত পার্বত্য অঞ্চল। জায়গাটি মূলত বিখ্যাত এর কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরুপ শোভার জন্য। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন অথবা শিলিগুড়ি থেকে গাড়ি নিয়ে পেলিং যেতে লাগে মোটামুটি পাঁচ ঘন্টা। এখানে রাস্তা জায়গায় জায়গায় বেশ খারাপ, কাজেই হাতে একটু সময় আর দক্ষ ড্রাইভার নিয়ে বেরোনোই ভালো। আমরা শিলিগুড়ি থেকে সকাল ন’টা নাগাদ রওনা হয়ে মোটামুটি দুপুর আড়াইটের মধ্যেই পেলিং পৌছে গিয়েছিলাম। আমাদের হোটেল ছিল আপার পেলিং-এ, নাম ‘স্যারেডোনা’। হোটেলের দায়িত্বে যে দম্পতি আছেন, তারা বাঙালি। ফলে বাড়ি থেকে এতদূরে গিয়েও গরম গরম ভাত, মাছের ঝোল এসব পেতে কোনো অসুবিধাই হয়নি। তবে সবচেয়ে ভালো লাগে এদের ব্যবহার। পাহাড়ি মানুষরা এমনিতেই দিলখোলা হন বলে শুনেছি, এখানে তার সাথে আবার যোগ হয়েছে বাঙালির সাথে বাঙালির আত্মিক সম্পর্ক। হোটেলে দুপুরবেলা খাওয়াদাওয়ার পর দলের সবাই গেল একটু রেস্ট নিতে, আর আমি বেরোলাম হাঁটতে। ঘুরতে এসে ঘরে বসে থাকার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। এখানেই প্রথম আবিষ্কার করলাম হোটেলের সামনে ছড়িয়ে থাকা সুবৃহৎ কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরুপ সৌন্দর্য। বহুদূরে দাঁড়িয়ে থাকা একের পর এক নাম না জানা পাহাড়ের ভিতর দিয়ে দেখতে পেলাম সেই রুপোলী,শ্বেতশুভ্র তরুণীকে। যেন পাহাড়ী জঙ্গলের আড়ালে লুকিয়ে থেকে সেটা মেঘেদের সাথে গভীর প্রণয়ে মত্ত্ব হয়ে আছে। মনটা খুশিতে নেচে উঠেছিল। সত্যিই তো, এমন রুপ দেখার টানেই তো শয়ে শয়ে বছর ধরে পর্যটকরা পাহাড়ে ছুটে আসছে। অল্প কিছু ছবি তুলে আবার হোটেলে ফিরে গেলাম। আগামীকাল লোকাল সাইট-সিয়িং। সকালে তাড়াতাড়ি উঠতে হবে…

ঘুম ভাঙলো ভোর সাড়ে পাঁচটায়। সারাদিনের ধকলে সবারই শরীর ক্লান্ত ছিল, কাজেই ঘুমটা হয়ে সমস্ত শরীরটা আবার উৎফুল্ল লাগছিল। দোতলায় হোটেলের ঘরের লাগোয়া ব্যালকনি। সেখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার বুকে সূর্যোদয় দেখা যায়। গেলাম সেখানে। সূর্য উঠতে হয়ত দেখা গেল না, কিন্তু মেঘ সরে গিয়ে উজ্জ্বল হয়ে উঠল সেই শ্বেতশুভ্র পর্বতরাশি। মুহূর্তটাকে চটপট ক্যামেরায় বন্দী করে ফেললাম। এবারে চা খেয়ে বেরোবো সাইটসিয়িং-এ। পেলিং এর প্রায় পুরোটাই জঙ্গলে ঘেরা পাহাড়, ইতিউতি ছড়িয়ে থাকা ঝর্ণা, বৌদ্ধ মনেস্ট্রি আর পাহাড়ি নদী দিয়ে ঘেরা। প্রথমবার এগুলোকে দু’চোখ ভরে দেখবো বলে ভিতরে ভিতরে একটা চাপা উত্তেজনা অনুভব করছিলাম।

আমাদের পেলিং ভ্রমণের শুরুটা হল স্কাইওয়াক দিয়ে। এটি শুধু সিকিম নয়, গোটা ভারতেরই প্রথম কাঁচ নির্মিত স্কাইওয়াক। এখানে ঢুকতে টিকিট লাগলো মাথাপিছু ৫০ টাকা। বাইরে থেকেই যে সুবিশাল বুদ্ধমূর্তিটা চোখে পড়েছিল, ভিতরে ঢোকার পর সেটা আরো পরিস্কার হলো। বৃহৎ এক মনেস্ট্রির ওপর এই মূর্তিটি বসানো, আর তার সামনে থেকে নেমে গেছে প্রায় শতাধিক সিড়ি। জায়গাটা সত্যিই সুন্দর। তবে এখানকার মূল আকর্ষণ কিন্তু সেই স্কাইওয়াকটিই। লম্বা, ছড়িয়ে থাকা কাঁচের স্কাইওয়াক, বাইরে জুতো খুলে রেখে খালি পায়ে হাঁটতে হয়। দিনের আলোকে সঙ্গী করে কাঞ্চনজঙ্ঘা এখান থেকে আরো মোহময়ী, আরো সুন্দর। জায়গাটা ছেড়ে আসতে ইচ্ছা করছিল না, কিন্তু সময় যে সীমিত। তাই স্কাইওয়াককে পিছনে রেখে আমাদের এগিয়ে চলতে হল সামনের দিকে।

পেলিং-এ আমাদের দ্বিতীয় গন্তব্য খেচিপেরি লেক। বৌদ্ধধর্মীয় মানুষদের কাছে এই জায়গাটি অত্যন্ত পবিত্র। শুরুতে টিকিট কেটে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে প্রায় দশ মিনিট হাঁটলে তবেই এই লেকের তীরে পৌছানো যাবে। কথিত আছে, লেকটি চারদিক দিয়ে অসংখ্য গাছপালা দিয়ে ঘেরা থাকলেও লেকের জলে কখনোই পাতা পরে না। এই জল স্থানীয়দের কাছে অত্যন্ত পবিত্র, তাই লেকের জলে হাত, পা ডোবানো বা বোটিং করা সবটাই কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। বৌদ্ধদের কাছে খেচিপেরি লেককে বলা হয় ‘উইশিং লেক’ বা ইচ্ছাপূরণের লেক। এখানে গিয়ে কিছু চাইলে তা নাকি ভগবান পূরণ করে দেন। এছাড়াও এখানে দেখতে পাবেন বিভিন্ন প্রজাতির চেনা-অচেনা মাছেদের জলকেলি করার দৃশ্য। বিস্কুট বা সোয়াবিন থাকলে তা মাছেদের খাওয়ানোর ব্যবস্থাও এখানে আছে।

খেচিপেরি লেক ছেড়ে এবার আমাদের তৃতীয় গন্তব্য কাঞ্চনজঙ্ঘা জলপ্রপাত। আপনি প্রকৃতিপ্রেমী হলে এই জলপ্রপাতের নৈসর্গিক সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবেই। এর মূলত দুটি ভাগ আছে। একটি আপনি বাইরে থেকেই দেখতে পাবেন, আর অন্যটি অর্থাৎ আসল ধারাটি দেখতে হলে ২০ টাকা টিকিট কেটে ভিতরে যেতে হবে। উঁচু পাহাড়ের বুক চিরে পাথরের বুকে সশব্দে আছড়ে পরা জলরাশিকে দেখলে ভয়ও হয়, আবার নেশাও লাগে। অত্যুৎসাহী পর্যটকদের জন্য এখানে জলপ্রপাতের গা বেয়ে রোপওয়ে চড়ারও ব্যবস্থা আছে। এছাড়াও যদি পথ চলতে চলতে হঠাৎ আপনার খিদে পেয়ে যায়, সেক্ষেত্রে প্রপাতের কাউন্টারের পাশেই পেয়ে যাবেন অসংখ্য খাবারের দোকান। যদিও দাম কিছুটা চড়া, সেটা মাথায় রাখলে ভালো হয়।

চতুর্থ স্পট পেমিয়াংচি মনেস্ট্রি। আমি যদিও এটাকে পেমিয়াংসি বলেই জানতাম, কিন্তু আমাদের গাড়ির ড্রাইভার শুরু থেকেই ‘সি’কে ‘চি’ বলে সম্মোধন করছিল। আমিও তাই পেমিয়াংচি-ই লিখছি। মনেস্ট্রি এলাকাতে ঢুকতে গেলে গেটে ২০টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হবে। মূল মঠের গেটে একজন বৌদ্ধ লামা থাকবেন, যেখানে নাম, ঠিকানা, কতজন সদস্য, ফোন নম্বর ইত্যাদি লিখে দেওয়ার পর ভিতরে যাওয়ার অনুমতি পাওয়া গেল। পেমিয়াংচি কিন্তু কোনো পর্যটন ক্ষেত্র নয়, এটি সমগ্র সিকিমের সবচেয়ে প্রাচীনতম মনেস্ট্রিগুলোর মধ্যে একটি। ১৭০৫ খ্রীস্টাব্দে লামা লাথসুন চেম্পোর উদ্যোগে ও পরিকল্পনায় এই মঠটি নির্মিত হয়। বর্তমানে এখানে বৌদ্ধগুরু রিনপোচের স্মরণে অসংখ্য মূর্তি, বুদ্ধদেবের আমলের কিছু প্রাচীন পুঁথি এবং সিকিমের রাজাদের সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতকের কিছু পুরোনো লিপি, ব্যবহার্য বাসন, সেইসময়কার প্রাচীন মঠের কিছু ভগ্নাবশেষ ইত্যাদি সংরক্ষিত আছে। আর আছে বৌদ্ধদের কয়েকজন ধর্মগুরুর সুদৃশ্য অবয়ব। মঠের দেওয়ালে অনেক বৌদ্ধ দেবতার ছবিও আঁকা আছে, সেখানে আমাদের গণেশ ছাড়া আর কাউকেই চিনতে পারলাম না। যদিও আমাদের আর ওদের গণেশের প্রতিকৃতির মধ্যে কিছুটা পার্থক্য আছে। এখানে গণেশ সুবৃহৎ এক ইঁদুরের ওপর অধিষ্ঠৃত, এবং তার দাঁতদুটিও আমাদের তুলনায় বেশ বড়। আরেকটা মজার কথা, এই মঠ আপনি শুধুমাত্র ক্লকওয়াইজ ভাবেই ঘুরতে পারবেন, বিপরীত দিক দিয়ে ঘোরা এখানে নিষিদ্ধ। বর্তমানে প্রায় শতাধিক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী এই মঠের সেবায় নিযুক্ত আছেন। মঠের ভিতরে ছবি তোলা, ভিডিও করা এবং শর্ট প্যান্ট, মিনিস্কার্ট, ছেলেদের বারমুডা ইত্যাদি পরে যাওয়া কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

পঞ্চম জায়গা হিসাবে আমরা যেখানে গেলাম সেটি হল রাবডেঞ্চে রুইনস। রাবডেঞ্চে ছিল সিকিমের প্রাচীন রাজাদের রাজধানী। সপ্তদশ শতকে সিকিমের রাজা তেমসুং নামগ্যাল ইয়ুকসোম থেকে তার রাজধানীর রাবডেঞ্চেতে স্থানান্তরিত করেন। কিন্তু ১৭৮০ সালে নেপালিদের আক্রমণে রাজা তেমসুং তার রাজধানী ছেড়ে তিব্বতে পালাতে বাধ্য হন। পরবর্তীকালে সিনো-নেপাল চুক্তির ভিত্তিতে এই যুদ্ধ বন্ধ করা গেলেও রাজা আর রাবডেঞ্চেতে ফিরে আসেননি। নেপাল সীমান্তের খুব কাছে অবস্থিত হওয়ায় এই অঞ্চলকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় ও সিকিমের রাজধানী টুমলং-এ স্থানান্তরিত করা হয়। রাবডেঞ্চেতে এই মুহুর্তে একটি পাখিরালয় আছে এবং জঙ্গলের চড়াই-উতরাই পেরিয়ে প্রায় আধঘন্টা হাঁটলে সেই পরিত্যক্ত রাজধানীর ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাওয়া যায়। দুঃখের কথা, জায়গাটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে রাজধানী ক্ষেত্রটিকে ভালোভাবে সংরক্ষণ করা হলেও জঙ্গলের মধ্যেকার রাস্তাটির অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। তাই পা বা হার্টের রোগ থাকলে এই অঞ্চলে না যাওয়াই ভালো। পাখিরালয় আর রাজধানী দেখার টিকিটের দাম ২৫ টাকা।
খুব দ্রুত সন্ধে হয়ে আসছে। পড়ন্ত বিকেলকে সঙ্গী করে আমরা এরপর চললাম হেলিপ্যাডের উদ্দেশ্যে। তবে গিয়ে হতাশ হলাম। একটা বিশাল জায়গা, তার মাঝে একটা ইংরাজি ‘এইচ’ অক্ষর গোল করে ঘেরা। ওখানেই হেলিকপ্টার অবতারণ করে। এটা ছাড়া এখানে নতুন করে আর কিছুই দেখার নেই।

সন্ধে হয়ে এসেছে। আমরা খুব দ্রুত হোটেলে ফিরে এলাম। আজ সারাদিন এই জায়গাগুলো তো দেখলামই, একইসাথে দারাপ গ্রাম, কমলালেবু বাগান (এটা লেবুর সিজন নয়, তাই এখানে তেমন কিছুই পাওয়া গেল না) এগুলোও দেখলাম। আমাদের কপাল মন্দ, পেলিং এ এখন প্রায় রোজই বৃষ্টি হচ্ছিল। দু’দিন আগের ভারী বৃষ্টিতে শিনশোর ব্রিজ যাওয়ার রাস্তা বন্ধ না হয়ে গেলে ওটাও দেখার ভীষণ ইচ্ছা ছিল। মাত্র দেড়দিনের পেলিং ভ্রমণে এর চেয়ে বেশি কিছু দেখা হয়ত সম্ভবও ছিল না। পরেরবার হাতে আরো একটা দিন বাড়িয়ে ফিরে আসবো। রাবাংলা বুদ্ধ পার্ক এখনো আমাদের পথ চেয়ে অপেক্ষা করে আছে।

 

আমাদের পেলিং ভ্রমণ এখানেই শেষ। আজ সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ বেরিয়েছি দার্জিলিং-এর উদ্দেশ্যে, সেই পথে যেতে যেতেই এই লেখাটা শেষ করলাম। তবু যাওয়ার আগে দু-তিনটে পয়েন্টে একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।

১. নিউ জলপাইগুড়ি বা শিলিগুড়ি থেকে পেলিং যেতে গাড়িতে মোটামুটি খরচ পরবে ৬০০০ টাকার মত। অফ সিজনে সেটা আরেকটু কমতে পারে। একটা মিডল সাইজ গাড়িতে মোটামুটি ৭-৮ জন ঠিকভাবে বসে যেতে পারবে।

২. পেলিং-এ যে হোটেলে আমরা ছিলাম সেখানে খরচ থাকা-খাওয়া সহ জনপ্রতি ৯০০-১১০০ টাকা। তবে এই খরচটা পরিবর্তনসাপেক্ষ।

৩. এখানে আসার পর মোবাইলে টেম্পারেচার দেখলাম ১৭ ডিগ্রী। প্রায় প্রতিদিনই সন্ধেবেলা বৃষ্টির হওয়ার জন্য রাতের দিকে সেটা আরো নেমে যাচ্ছে। তবে পুরোপুরি শীতের আমেজটা পাওয়ার জন্য নভেম্বর-ডিসেম্বর নাগাদ আসাটাই ভালো।

সবশেষে একটা বিশেষ অনুরোধ, যারা গাড়ি নিয়ে পাহাড়ে উঠবেন তারা দয়া করে পেট খালি রাখবেন না৷ আমার মত যারা প্রথমবার যাবেন তারা তো আরোই নয়। নইলে পাহাড়ের পাশের খাদ দেখে আর গাড়ির ঝাঁকুনিতে গা গুলানো অবধারিত।

পাহাড়ে আসুন, পাহাড়কে ভালোবাসুন। আমিও ভাবছি পরের বছর আরেকবার আসবো।

admin

Share
Published by
admin

Recent Posts

রবীন্দ্র সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা: শনিবার রাতে যান চলাচল বন্ধ থাকবে

কলকাতা, ১৬ নভেম্বর ২০২৪:শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি পোর্ট ট্রাস্টের উদ্যোগে আগামী শনিবার রাত থেকে রবীন্দ্র সেতু…

1 day ago

‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে ট্যাব বিতরণের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে, তদন্তে সিট গঠন করল কলকাতা পুলিশ

‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে শিক্ষার্থীদের ট্যাব বিতরণের টাকা দুর্নীতির অভিযোগে উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ। বহু ছাত্রছাত্রীর ট্যাবের টাকা…

2 days ago

দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানায় আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে উত্তাল, বিজেপির বিক্ষোভে ধস্তাধস্তি

দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা ব্লক আজ উত্তাল আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে। বিজেপির ডাকে…

2 days ago

বিহারের জামুইতে ভগবান বীরসা মুন্ডার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জনজাতীয় গৌরব দিবসে অংশগ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিহারের জামুই জেলায় জনজাতীয় গৌরব দিবস উদযাপন উপলক্ষে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে…

2 days ago

২০শে নভেম্বর একদফায় নির্বাচনের জন্য প্রচারাভিযান এখন তুঙ্গে

মহারাষ্ট্র বিধানসভায় আগামী ২০শে নভেম্বর একদফায় নির্বাচনের জন্য প্রচারাভিযান এখন তুঙ্গে। ঐ একই দিনে নান্দেথ…

4 days ago

পাহাড়ে সফররত মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আজ দার্জিলিং-এর চৌরাস্তা

পাহাড়ে সফররত মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আজ দার্জিলিং-এর চৌরাস্তায় ‘সরস মেলা’র উদ্বোধন করবেন ।আগামীকাল তিনি যাবেন…

4 days ago