প্রেম-এন.কে.মণ্ডল (প্রথম পর্ব)


শুক্রবার,১১/১০/২০১৯
1866

প্রেম-এন.কে.মণ্ডল
(প্রথম পর্ব)

নাহিদ রুকুনপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে হরিহরহরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে। নাহিদ পড়াশোনাতে খুব ভালো ও চেহারাটাও বেশ সুন্দর, যে কোনো মেয়ে প্রেমে পড়তে বাধ্য। অন্য ছেলেদের মত ফ্যাশন নেই অবশ্য কিন্তু মেয়েরা পাগল হয়ে গেছে। সে বিদ্যালয় ছাড়ছে এই কারণে যে সেখানকার মেয়েরা নাহিদকে খুব জ্বালাতন করে। সেজন্যই নাহিদ বছরের মার্চ মাসে বিদ্যালয় ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। কারণ প্রতিদিন একটা না একটা মেয়ের লাভ লেটার আসছেই, ইচ্ছে করে নাহিদের শরীরে ঢলে পড়ছে। বিরক্তিকর হয়ে উঠছে দিন দিন নাহিদ।

যাইহোক, শুক্রবারে বিদ্যালয় থেকে নাহিদের কাছে একটি চিঠি আসলো। চিঠিতে লেখা আছে

” প্রিয় ছাত্র
মাননীয় নাহিদ ইসলাম আপনাকে আমরা আমাদের বিদ্যালয়ে ছাত্র হিসাবে গ্রহণ করতেছি, আপনি আপনার সমস্ত নথিপত্র নিয়ে আগামি ৮-৩-১৮ তে চলে আসুন আপনার আবেদন আমরা মঞ্জুর করতে পেরে আমাদের বিদ্যালয় ধন্য।

ধন্যবাদান্তে
(বিদ্যালয় কমিটি) ”

নাহিদ চিঠি পড়ে বাবা কে গিয়ে বলল, নাহিদের বাবা একজন রিটায়ার্ড থানার ভারপ্রাপ্ত প্রধান (ও সি) ছিলেন। নাহিদের বাবা বর্তমান জেলার সভাধিপতি।
নাহিদ তাঁর বর্তমান বিদ্যালয়ের সমস্ত নথিপত্র নিয়ে বাবার সঙ্গে নতুন বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য রওনা দিলেন। প্রধান শিক্ষকের কাছে গিয়ে সমস্ত পেপার্সগুলি দিলেন। নাহিদের রেজাল্ট দেখে প্রধান শিক্ষক খুব খুশি কারণ গত পাঁচ বছরের মধ্যে এই বিদ্যালয়ে কেউ এমন রেজাল্ট ভালো করতে পারে নি।
প্রধান শিক্ষক নাহিদ ও নাহিদের বাবার সঙ্গে কিছুক্ষণ কফি গল্পে আড্ডা দিলেন তারপর প্রধান শিক্ষক বল্লেন তাহলে নাহিদ তুমি আগামী সোমবার থেকে বিদ্যালয়ে আসবে।
নাহিদ প্রধান শিক্ষককে ধন্যবাদ জানিয়ে বাড়ি চলে আসলো।

পরের দুদিন পর নাহিদ স্কুলে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছে, এমন সময় নাহিদের ছোট বোন রিতু বলল।
–রিতু: কি রে ভাইয়া তুই এইরকম ড্রেস পরছিস কেন, ভালো ড্রেস পরে যা।

–নাহিদ: ঠিক বলেছিস আজকের ড্রেস্টা একটু কেমন কেমন লাগতেছে।

রিতু ঘর থেকে একটা সুন্দর স্কুল ড্রেস এনে দিলো নাহিদ কে। নাহিদ বোনের এনে দেওয়া ড্রেস্টা পড়ে স্কুলে বাইকে করে রওনা হল। নাহিদের প্রথম দিনেই স্কুলে লেট হয়ে গেছে ড্রেস চেঞ্জ করার জন্য। যাইহোক ক্লাস শুরু হয়ে গেছে এমন সময় নাহিদ ক্লাসে প্রবেশ করতে যায়।

–নাহিদ: মে আই কামিং স্যার।

–স্যার : হ্যাঁ এসো, এসো।

নাহিদকে স্যার কাছে টেনে নিয়ে ক্লাসের সকল ছাত্র ছাত্রীদের সামনে পরিচয় করিয়ে দেয় এবং তাঁর রেজাল্টের কথাও জানাই।

এই প্রথম স্কুলে ক্লাসে কোনো স্টুডেন্টটের পরিচয় করিয়ে দিলো শিক্ষক। নাহিদের প্রতিভা এবং চেহারা দেখে প্রায় মেয়েরা আনন্দিত এবং কিছু ভালো ছেলেদেরও পছন্দ তেমন খারাপ ছেলেদের খারাপ লেগেছে।

এন.কে.মণ্ডল

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট