প্রেমের ছ্যাঁকা -এন.কে.মণ্ডল
(পঞ্চম পর্ব)
একদিন জর্জ থমাস ছেলে কে ডেকে বলল বাবা রোহান আজ অফিসে যেয় না দরকার আছে। বাবার কথামত অফিস বাতিল করল। কয়েক ঘন্টা পরে একজন ব্যারিস্টার আসলেন এবং কিছু কাগজপত্রে হস্তাক্ষর করতে বললেন। রোহান একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট তাকে তো কাগজ কলম বোঝাতে হবে না। তখন কাগজ দেখেই বলল না বাবা আমি এসব নিতে পারব না, আমায় মাফ করবেন।
—জর্জ থমাস: না বাবা এমন করো না, না হলে বেশিরভাগ সম্পত্তি সরকারের অধিনে চলে যাবে। হস্তাক্ষর করে দাও,আমি মরে যাওয়ার আগে দেখে যেতে চাই।
বাধ্য হয়ে হস্তাক্ষর করতে হল রোহান কে।
—ব্যারিস্টার: আজ থেকে থমাস সাহেবের সমস্ত সম্পত্তি আপনার।
রোহান বাবা মাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললেন।
থমাস সাহেবের পাঁচটা বড় কোম্পানি ছিলো। আর তা রোহানের সম্পত্তি হয়ে গেলো।
পরেরদিন থেকে সমস্ত কোম্পানির দায়িত্বভার নিজের কাঁধে তুলে নিলো এবং ব্যাবসা সুন্দর করে চালাতে লাগলো।
কিছুদিন পরে বাংলাদেশে ফিরলো বাবা মায়ের কাছে, এবং সমস্ত ঘটনা খুলে বলল। রোহানের পিতা মাতা খুব খুশি তাদের অস্ট্রেলিয়া নিয়ে যেতে চাই। আর গ্রামবাসিদের আর্থিক সাহায্য করে পিতা মাতাকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় চলে আসলো। এখানে এসে পালিত বাবা মায়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয় রোহান। থমাস ও থমাসের স্ত্রী খুব খুশি। জর্জ থমাস বলল এবার বড় দায়িত্ব দেওয়া হবে পূত্রকে।
—রোহান: কিরকম দায়িত্ব বাবা।
—জুয়েলা থমাস: আরে মূর্খ বিয়ে রে বিয়ে।
—রোহান: না বাবা এখন নয় আরো কিছুদিন যাক তাঁরপর, এই বলে অফিসে পালিয়ে যায়।
সেদিন ছিল সোমবার অফিসে নতুন স্টাফ নেওয়া হচ্ছে তাই ইন্টারভিউ চলছে, বড় কোম্পানি তাই পার্থী তালিকা অনেক। আর সেই তালিকায় বসে রয়েছে সাবিলা শিমু।
একের পর একজন ইন্টারভিউ দিতে আসে আর চলে যায়। এমন সময় অফিস থেকে সাবিলা শিমুর ডাক আসে।
সাবিলা প্রবেশের অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করে দেখে রোহান বসে আছে চেয়ারে। তিনিই ইন্টারভিউ নিচ্ছে।
দুজন দুজন কে দেখে তো অবাক।
—রোহান: আরে সাবিলা তুমি এখানে।
—-সাবিলা: আর তুমি এখানে, কি ব্যাপার কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না তো।
তখন গেটের দারোয়ান বলে “উনি তো এই কোম্পানির মত আরো চারটি কোম্পানির মালিক”
—-সাবিলা: এর মানে কি, এত অল্প সময়ে এত উন্নত হল কিভাবে।
—-রোহান: ওসব পরে কথা হবে, তুমি আমার পাশে এসো এবং ইন্টারভিউ তে আমাকে সাহায্য কর।
—সাবিলা: আর আমার ইন্টারভিউ।
—রোহান: আরে পাগল তোমার কি ইন্টারভিউ লাগে না কি।