প্রেমের ছ্যাঁকা -প্রথম পর্ব
(এন.কে.মণ্ডল)
রোহান বাংলাদেশের একটি গ্রামীণ মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে, ছোট থেকেই সবুজ গ্রামের প্রতি অঘাত ভালোবাসা। সে রাখালের চরানো ছাগলের বাচ্চাকে আদর করতে খুব পছন্দ করে। পড়াশোনাতেও অনেক ভালো মেধাবী ছাত্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টপার ছাত্র। ভার্সিটি থেকে ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে উত্তির্ন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে মেধাবী ছাত্র ও টপার।
রোহান এবার অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটিতে পড়তে যাচ্ছে। সামনে মাসের পাঁচ তারিখে ফ্লাইট।
রোহানের বিদেশে পড়তে যাওয়ার একদম ইচ্ছা ছিল না,কারণ তাঁর শহর একদম ভালো লাগে না।
কি আর করবে পড়ার জন্য ভিসা,ভর্তি চার্জ,ফ্লাট বুকিং এবং বাইকও কেনা হয়ে গেছে সেখানে। যেতেই হবে কোনো কিছু করার হাত নেই।
পরের মাসের চার তারিখের পর- – – – – – –
চার তারিখ পার করার পর আজ রোহানের অস্ট্রেলিয়ার ফ্লাইট। রোহানের বাবা মা, গ্রামের মোড়ল এবং গ্রামবাসীরা বিমানবন্দরে রোহান কে এগিয়ে দেওয়ার জন্য উপস্থিত হয়েছে। এবং বিমানবন্দর পাশ করার আগে রোহানের বাবা বলল।
—-রোহানের বাবা: বাবা পৌঁছে ফোন দিও,কেমন।
রোহানের বাবার পরে গ্রামের মোড়ল বলল ওখানে পৌঁছে ভিডিও কল দিতে যেন ভুলবে না।
রোহান গ্রামবাসিদের বিদায় জানিয়ে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিলো।
কয়েক ঘন্টা যাওয়ার পর——————–
কয়েক ঘন্টা পর সকাল সকাল পৌঁছালো অস্ট্রেলিয়ার একটি বিমানবন্দরে। সেখানে ফ্লাটের একটি কর্মচারি গিয়ে স্বাগত জানিয়ে।নিয়ে আসলো ফ্লাটে।
রোহান ফ্লাটে পৌঁছে ঘন্টাখানেক বিশ্রাম করার পর দেশে ভিডিও কল দিলো রোহানের ছোটবোনের মোবাইলে। কিছুক্ষণ ফোন করার পর প্রথমদিনের জন্য হোটেলে খাবার খেয়ে নিলো। ফ্লাটে অবশ্য নিজেই রান্না করে খেতে হবে। কর্মচারীর থেকে সে নিজেই ভালো রান্না করতে পারে। তাই আগামীকাল থেকে নিনেই রান্না করে খাবে।
রোহানের রুমটা দক্ষিণদিকে থাকায় সমস্ত আবহাওয়া ও মনোরম পরিবেশটা দেখতে ভালো লাগছে। তাঁর রুমটা ফ্লাটের বাইশতম তলায় অবস্থিত থাকায় শহরকে দেখতে খুদ্র দেখায়, তবুও অনেক সুন্দর মনে হচ্ছে রোহানের।
যাইহোক ————
দুদিন বাদে ভার্সিটিতে প্রথম যাচ্ছে, শহরের বাইরে বেরিয়ে রোহান কে খুব আনন্দদায়ক ও উৎফুল্ল লাগতেছে।
কারণ একটা অচেনা জায়গা হলেও এলাকার পরিবেশ দেখে খুব ভালো লাগছে। বেশ মজাদার।
অন্যদিকে মুখ করে ভার্সিটির পরিবেশ দেখতে দেখতে ক্লাসে প্রবেশ করতে যাবে এমন সময় একটি সুন্দর মেয়ের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। পড়বে তো পড়লো মেয়েটির বুকের উপর মুখে মুখ লাগিয়ে। ক্লাসের সবাই তো অবাক। সবাই থ মেরে হা করে দেখছে রোহানের সুন্দর চেহারা।