দক্ষিন ২৪ পরগনা: দক্ষিন ২৪ পরগনায় নরেন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত বোড়াল গ্রামের বসু বাড়ির দূর্গা পূজো খুবই প্রাচীন। বসু পরিবারের বংশ পরম্পরায় যৌথ ভাবে এই পূজোর আয়োজন করেন। দুশো বছরের আগেও এই পূজার আয়োজিত হতো কিন্তু কোনো এক অজ্ঞাত কারণে তা সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৪১ সালে তা পুনরায় চালু হয় শ্রীযুক্ত তুলসী চরণ বসুর হাত ধরে।সেই সময় থেকে আজ পযর্ন্ত চিরাচরিত সকল প্রথা মেনে নিষ্ঠা সহকারে এই পূজা হয়ে চলেছে।তুলসী চরন বসু পারিবারিক সূত্রে জাতীয়তাবাদী ঋত্বিক ঋষি রাজনারায়ন বসুর বংশধর হিসাবে পরিচিত। শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ ও মা সারদার দিক্ষিত এই বসু পরিবার। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্নের ভ্রাতুস্পুত্র শ্রীযুক্ত নকুলেশ্বর চট্টোপাধ্যায় স্বয়ং বোড়ালে বসু পরিবারের দূর্গা পূজা করেন। ১৯৯৫ সালে প্রাচীন ঠাকুর দালান ভেঙ্গে নতুন ভাবে তার সংস্কার হয়। ২০০৫ সালে ভৈরবেরশ্বর শিব লিঙ্গ স্থাপন হয়।
বোড়াল গ্রামে মন্দিরটি শিব দূর্গা মন্দির নামে পরিচিত। শ্রী তুলসী চরন বসু ও তার স্ত্রী পরলোকে, বর্তমানে ওনাদের ছোট পুত্র শ্রী মধুসূদন বসু এই পূজোর ব্যবস্থাপত্র, দায়িত্ব নিষ্ঠাভরে পালন করে চলেছেন। বসু পরিবারের এই পূজা এলাকার প্রাচীন একটি পূজো যে পূজোকে কেন্দ্র করে আত্মীয়রা জোটবদ্ধ হয়, সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সহযোগিতায় বোড়ালের বসু পরিবারের পূজো প্রাচীন পূজার মধ্যে একটি পূজো। অঞ্চলে বোস বাড়ির পূজো নামে যার পরিচিতি। বছরের ২১ জানুয়ারী দিনটিতে ভৈরবেশ্বরের বার্ষিক পূজা হয় এই মন্দরে। প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় মন্দিরে বামুন ঠাকুর এসে পূজা করেন, সন্ধ্যা আরতি করেন। নীলষষ্টি পূজা, শিবরাত্রি, লক্ষী পূজো তিথি অনুযায়ী পালিত হয় এই মন্দিরে। এবছরে বোড়ালের বসু পরিবারের দূর্গা পূজো ২৭৯ বছরে পরল।