অহংকার – এন.কে.মণ্ডল (দশম পর্ব)


বুধবার,০২/১০/২০১৯
1312

অহংকার – এন.কে.মণ্ডল (দশম পর্ব)

–রিয়া: ওহ বাবা আর আর ভালো লাগছে না, তুমি এখন যাও ,

–সুজন: হ্যাঁ রে মা, কাল কোথায় যাচ্ছিস শুনলাম। কার সঙ্গে রে।

–রিয়া: আমি বলতে পারব না, তুমি যাও তো এখান থেকে।

–সুজন: আমি জানি কার সঙ্গে যাবে, নিশ্চয় প্রেমে পড়েছো মামনি।

–রিয়া: ধুত তেরি, তুমি যাবে না আমি যাব।

–সুজন: যাচ্ছি যাচ্ছি। এই বলে ডি.এম তথা রিয়ার বাবা সুজন চক্রবর্তী হাসতে হাসতে রিয়ার রুম থেকে বেড়িয়ে এলো। রিয়ার বাবা রিয়া,রিনা ও রিয়ার মায়ের সঙ্গে এইরকমই ঠাট্টা তামাশা করে ভালোবাসে। তিনার মন অনেক উচ্চতর। মেয়েদেরকে সবসময় স্বাধীনতা দিয়েছেন। মন ভালো রাখার চেষ্টা করেন। তিনি খুব রসিক লোক।

নিজের ঘরে এসে খেতে খেতে সুজন সাহেব বলেন জানো সুজাতা রিয়া কিন্তু সঠিক ছেলেকেই বেছে নিয়েছে। হ্যাঁ গো। তুমি কি রাজি হবে আসিফের সঙ্গে বিয়ে দিতে। তুমি পাগল হলে নাকি আমি সারাজীবন মানুষের উপকার করে এসেছি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর আজকেও বলছি আমার এদের সম্পর্কে কোনো বাঁধা বিঘ্ন নেই, ওরাই তো আমাদের স্বপ্ন। যাক আসিফের সঙ্গে যাবে বলছ যখন তুমি এককাজ করবে। আসিফ কে দশ হাজার খানেক টাকা দিয় বোনের বিয়ে টাকা তো লাগবেই।

হ্যাঁ আমি ওকে পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছি। ওহ বাবা তুমিও তো কম না। ঠিক আছে কাল রিয়ার হাতে কিছু দিয়ে দিয় ওদের জন্য কিছু নিয়ে যাবে।

পরেরদিন সকালে রিয়া বাবা মাকে বিদায় জানিয়ে বেড়িয়ে পড়ল আসিফের বাসার দিকে বি.এম. ডব্লু কারে করে। রিয়া আসিফের মামাবাড়িতে কার নিয়ে প্রবেশ করল, প্রবেশ করতেই আসিফ কে দেখতে পেলো। এবং দেখামাত্র জড়িয়ে ধরলো।
–আসিফ: এ কি করছো।
–রিয়া: আমি ভাইয়া কে জড়িয়ে ধরতে পারি না।
–আসিফ: সে পারো, তবে এইরকম নয়।

এন.কে.মণ্ডল

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট