রবিবার থেকে টালা ব্রিজে বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র ছোটো গাড়ি চলবে। শনিবার এই ব্রিজ পরিদর্শনে আসেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা।টালা পোস্ট অফিসের সামনে পরিদর্শন করতে আসেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। টালা ব্রিজের বেহাল অবস্থার জন্য যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। শনিবার টালা ব্রিজ পরিদর্শনে যান নগরপাল অনুজ শর্মা। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ৪ সুপ্রতিম সরকার, জয়েন্ট সিপি হেডকোয়ার্টার জাভেদ শামিম, ডিসি ট্রাফিক সন্তোষ পাণ্ডে সহ রাইটস ও পরিবহন অধিকারিকরা। ছিলেন বেঙ্গল পুলিশের অধিকারিকরাও। ১৭ তারিখ সন্ধ্যা ৬ টা থেকে বড় গাড়ি বা পণ্যবাহী গাড়ীর জন্য সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ব্রিজ। বিকল্প রাস্তা ইতিমধ্যেই বের করেছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। সাধারণ মানুষ যাতে সুস্থ ভাবে পুজোর আনন্দ উপভোগ করতে পারে সেদিকে বিশেষ নজর দিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
গতকাল এই নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক বসে ছিল। বৈঠক শেষে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এই টালা ব্রিজে বড় গাড়ি বন্ধের কথা জানান। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, ৩ টনের বেশি ওজনের গাড়ির উপর নিষেধাজ্ঞা চালু করা হচ্ছে। টালা ব্রিজের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে নবান্নে জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, ব্রিজ ভাঙা হবে কি না এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।পুজোর আগে বিপর্যস্ত সেতুর মেরামতি করতে তড়িঘড়ি এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই ওই ব্রিজের কাজ শুরু হয়ে গেছে। পাথর, গ্যাস ও কেবিল সরানো কাজ চলছে। জানানো হয়েছিল, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্রিজের দুই ধার। আর সেই মতোই ধারের ভার কমিয়ে ব্রিজের মাঝখান দিয়ে যান চলাচল করানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
পাশাপাশি জানানো হয়েছে রাস্তার দুদিক দিয়ে ৪ ফুট করে মোট ৮ ফুট ঘিরে দেওয়া হবে বাঁশ দিয়ে। এরপর মাঝখান দিয়ে চলাচল করবে গাড়ি।ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লরি চলাচল। তবে বাস এবং ছোট গাড়ি এখনও চলছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, পুজোর মুখে গুরুত্বপূর্ণ এই সেতু বন্ধ করে দিলে বিস্তর সমস্যায় পড়তে হবে নিত্যযাত্রীদের। রয়েছে তীব্র যানজটের আশঙ্কাও। অথচ এখনই সেতুর মেরামতি না করলে যেকোনও সময়ে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। তাই পুজোর আগে বিপর্যস্ত সেতুর ভার কমাতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন।