শেষ ঠিকানা  ( পর্ব ৩)

পর্ব ৩
শেষ ঠিকানা গল্প

চলমান জীবনে মানুষ নানান ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জন করে থাকে ।এর কোনো টা হয়তো মধুর আবার কোনটা হয়তো বেদনা। কেউ কেউ অতি প্রকৃতি অভিজ্ঞতা দাবি করেন যা হয়ত যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করা অসম্ভব নয় ।

রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে ঘটে তবে সামাজিক অভিজ্ঞতা খুব একটা হেরফের হয় না। তার কারণ এমন ক্ষেত্রে তাঁর ব্যক্তিত্ব অভিজ্ঞতা প্রকাশ করলেও এগুলোতে ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিই প্রকাশ করা হয় ।ভাষার উপর দখল থাকলে অভিজ্ঞতা বর্ণনা করা সম্ভব কিছু সাহিত্য প্রতিভা না ,থাকলেও গল্প লেখা সম্ভব নয় কিন্তু কিছু প্রকৃতির মানুষ থাকে যাদের কে একটি নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে বাস্তবের সম্মুখীন হতে হয়।

আমিও তার মধ্যে একজন।প্রথম থেকে শিলিগুড়ি আসার পর এবং শিলিগুড়ি আসার আগে বাস্তব একটা কাহিনী সম্মুখীন হতে হয়েছিল আমার কিন্তু এমন কখনো ঘটেনি যে পশুপাখির মায়ার বন্ধনে জড়িয়ে যাব।

জঙ্গিরা আমাকে যখন জঙ্গল থেকে বের করে দিল তারপর আমি সদরের চলে আসলাম বাসায় ফিরে আমি ভাবছি শিলিগুড়ি আসতে কত বিপদ হলো আমার এমন সময় কেউ এসে কলিং বেল বাজালো

-আর বলছে বাড়িতে কেউ আছে

-আমি বললাম হ্যাঁ ভিতরে আসেন দরজা খোলাই আছে

তারপর দেখি লোকটা ছিল ফরেস্ট অফিসার হাতে একটা টিয়া পাখি , পাখিটাকে দেখে আমার মনে হল মানুষ যেমন স্বাধীন হয়ে সবার মাঝে বাঁচতে চাই পশুপাখিদের ইচ্ছে করে করে সবার মাঝে বেঁচে থাকতে কিন্তু তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা একইভাবে প্রকাশ পায় না।

আমি এই পাখিটাকে দেখে ফরেস্ট অফিসার কে প্রশ্ন করলাম এসব আমার এখানে কেন

উনি উত্তরে বললেন আপনার সাথে আমার জঙ্গলে দেখা হয়েছিল আপনার হয়তো মনে নেই।

জঙ্গল থেকে এক কিশোরী আপনার পিছু নিয়েছিল। সে পিছু নেওয়ায় আপনাকে কোথাও যেন আড়াল করে দেখছিল এবং আপনাকে ভালোবেসে ফেলেছিল।

সে কিশোরী ছিল ওই জঙ্গিদের রাজার মেয়ে কিন্তু সে একটু ভিন্নরকম জঙ্গিদের থেকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায় এবং সে মানুষের মত সাধারন ভাবে কথা বলতে পারে এবং স্বাধীন ভাবে জীবন যাপন করে।

আপনি জঙ্গলে প্রবেশ করার সময় প্রথম গেটে যখন আপনার ঠিকানা লিখে ছিলেন তখন আমি ওই ঠিকানা থেকে আপনার এখানে পৌঁছেছি আর ওই মেয়েটি আমাকে অনুরোধ করেছিল যে আপনাকে এই পাখিটা উপহার দেওয়ার জন্যে।

তাই আমি অনুরোধ ফেলতে পারলাম না যে আপনার এখানে চলে আসলাম।

এই কথা শুনে আমায় খুবই চমৎকার হলাম এবং ওই মেয়েটাকে দেখতে ইচ্ছুক খোলা।

ফরেস্ট অফিসার কে বলি আমি ওই মেয়েটাকে দেখার সুযোগ করার জন্য বললাম আর সেই ভাবে ফরেস্ট অফিসার বলল এবং তার সাথে আমার দেখা হলো তারপর দেখি সে সাধারন মানুষের মতই একজন মানুষ কিন্তু পরনে ছিল জংড়ীদের মত কাপড়-চোপড়। দেখতে খুবই সুন্দর ছিল হাতে ছিল তীর ধনুক।মেয়েটির সাথে দেখা করলাম একটা ঝর্ণার পাশে চমৎকার একটি প্রাকৃতিক পরিবেশ ছিল সেখানে যেন মনমুগ্ধকর।

এসকেএইচ সৌরভ হালদার
বাংলাদেশ

admin

Share
Published by
admin

Recent Posts

শহরের নাগরিকদের ভিসা দেওয়ার ওপর অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা

সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, সৌদি আরব সহ বেশ কয়েকটি উপসাগরীয় দেশ পাকিস্তানের অন্তত ৩০টি ভিন্ন ভিন্ন…

1 hour ago

৭১ হাজারেরও বেশি প্রাপকের হাতে চাকরীর নিয়োগ প

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে ৭১ হাজারেরও বেশি প্রাপকের হাতে চাকরীর নিয়োগ পত্র…

1 hour ago

ডিসেম্বরে ভারতীয় পুঁজিবাজারে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের ২৬ হাজার কোটি টাকার লগ্নি

ডিসেম্বর মাসে ভারতীয় পুঁজিবাজার বিদেশী বিনিয়োগকারীদের (এফপিআই) কাছ থেকে ব্যাপক লগ্নি লাভ করেছে। পুঁজিবাজারে জমা…

1 hour ago

আইএসএল: কেরালা ব্লাস্টার্সের দাপুটে জয়, মহামেডান স্পোর্টিং বিপাকে

কোচির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে গতকাল আইএসএল ফুটবলে কেরালা ব্লাস্টার্স এক দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ৩-০ গোলে মহামেডান…

2 hours ago

৩৭তম বিষ্ণুপুর মেলা: মল্লভূমের ঐতিহ্যের উন্মোচন

বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর আজ থেকে হয়ে উঠেছে ঐতিহ্যের এক নতুন উজ্জ্বল মঞ্চ। সূচনা হয়েছে ৩৭তম বিষ্ণুপুর…

2 hours ago

প্রথিতযশা নৃত্যশিল্পী ও গুরু পৌষালী মুখোপাধ্যায় প্রয়াত

প্রথিতযশা নৃত্যশিল্পী ও গুরু পৌষালী মুখোপাধ্যায় প্রয়াত। শনিবার কলকাতায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি শেষ নিঃশ্বাস…

2 hours ago