অহংকার -এন.কে.মণ্ডল
(নবম পর্ব)
–ঠিক আছে আসছি তুমি খাবার রেডি করো।
প্রথমে সুজন কাকা রিনা অর্থাৎ ছোট মেয়ের কাছে গেলো। কি মামনি, কি করছো
–রিনা: এই তো বাবা কার্টুন দেখছি,
–সুজন: খেয়েছো তো নাকি,
–রিনা: হ্যাঁ বাবা,
বাবা একটা কথা বলব। হ্যাঁ বলো। বলছি যে আমি বেড়াতে যেতে চাই, কোথায় বেড়াতে যাবে,কার সঙ্গে।
–রিনা: স্কুল থেকে পিকনিক করতে যাচ্ছে।
–সুজন: তো কয়দিনের পিকনিক।
–রিনা: সপ্তাহ খানেক হবে তো বটেই। দার্জিলিং বলে কথা।
–সুজন: সে যাও কিন্তু নিজের দিকে খেয়াল রাখবে, আর কোনো ছেলের সঙ্গে মিসবে না। এখনকার ছেলেরা খুব একটা ভালো না।
–রিনা: ঠিক আছে বাবা,তাই হবে।
সুজন কাকা এবার রিনার কাছ থেকে বড় মেয়ে তথা রিয়ার কাছে গেলো এবং টোকার আগে সুজন কাকা বলল।
–সুজন: নমস্কার, ম্যাডাম।
–রিয়া: হ্যাঁ নমস্কার, তো বলুন আপনার জন্য আমি কি করতে পারি। আমার কাছে আসা মানে কোনো মতলব আছে নিশ্চয়, কোনো টাকা ধার টার মন হয়।
–সুজন: না ম্যাডাম, আমার কোনো টাকার দরকার নেই, আমি মানে আমার একটা রোগ হয়েছে সারাতে চাই।
–রিয়া: ওহ তো কি রোগ বলুন, আমি যদি কোনো কিছু করতে পারি।
–সুজন: না মানে আমার দুটি মেয়ে আছে বিবাহযোগ্য। যদি আপনি কিছু সাহায্য টাহায্য করেন তো উপকৃত হয়।
–রিয়া: না না ওসব আমি পারব না, আমি অত্যান্ত দু:খিত।
–সুজন: তাহলে কি আর করা যাবে, সাহায্য যখন করবেন না তখন বসে থেকেই লাভ নেই, আমি কেটে পড়ি।