অহংকার– এন.কে.মণ্ডল (অষ্টম পর্ব)
–সুজাতা: তাতে কি হল শহরে বাস করলে ওসব দেখে কারো কাজ নেই।
–রিয়া: যদি ও হিন্দু মুসলিমের জন্য না করতে চাই, তাহলে কি করব।
–সুজাতা: তাহলে তোকে আগে মুসলিম হতে হবে, কি আছে আমাদের কোনো অসুবিধে নেই।
আমার কি মনে হচ্ছে জানিস আসিফ যেমন ভালো ছেলে তেমন তার থেকেও ওর বাবা মা বেশি ভালো এবং ভদ্র। ওতো টেনশন নেই। বকাস না যা।
রিয়া নাচতে নাচতে নিজের রুমে চলে আসে আর রিয়ার মা সুজাতা হাসে আর বলে পাগলি মেয়ে আমার।
রাত্রে ডি.এম তথা রিয়ার বাবা বাড়ি ফিরলে রিয়ার মা সব ঘটনা খুলে বলে।
–সুজন: এতে আমার কোনো আপত্তি নেই ছেলে মেয়ে যেটা চাচ্ছে সেটাতেই আমি রাজি। আমি।ওদের খুশিতেই খুশি।
রিয়ার বাবা বলে, মনে নেয় আমাদের কথাগুলি কিভাবে নিয়ে পালিয়ে এসেছিলাম তোমাকে। তোমার বাবা তো তোমার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক গড়তেই দিত না এত বজ্জাত আর হাড়কিপটে ছিলো। তাহলে আমি কি জানি না প্রেমের গুন, তাহলে তোমার বাবার মতো হতে হবে আমায়। আমিও এককালিন প্রেম করেছি, এখন নাহি তো আমায় ওতো প্রেম দিতে পারো না।
–সুজাতা: ওহ এখনো বুড়োর প্রেম করতে ইচ্ছা করে,
–সুজন: আরে করবে না, আমি কি একেবারেই বুড়ো হয়ে গেছি এই তো মাত্র সবে আটচল্লিশ হলো। এই একটা কিস কর না প্লিজ, সেই আগের স্টাইলে। ওহ কি দারুণ একটা মহুর্ত ছিল তখন।
সেরকম যদি একটা দিতে তবে অনেক এনার্জি আসে।
–সুজাতা: ওহ সোনা এখন এসব চলবে না, আগে খেয়ে নাও পরে দেখা যাবে।
ঠিক আছে তুমি খাবার রেডি কর, বরং আমি আমার মায়েদের সঙ্গে দেখা করে আসি কেমন। ঠিক আছে তাড়াতাড়ি আসবে, আমি ঘুমাতে যাব।