জিএসটি’র কোপ তার উপরে কাঁচামালের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন হাওড়া গ্রামীণ এলাকার আমতার মৃৎশিল্পীরা। প্রতিমা তৈরির রঙ থেকে সুতলি সবকিছুতেই ব্যাবসায়ীরা জিএসটি ধরে নিচ্ছেন। ফলে বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে তাদের।আর এর ফলে দূর্গা প্রতিমা তৈরিতে খরচ বেড়ে যাচ্ছে অনেকটাই। কিন্তু পুজো উদ্যোক্তারা দূর্গা প্রতিমার বেশি দাম দিতে চাইছেন না। যারজন্য এবার পুজোয় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন হাওড়া জেলার মৃৎশিল্পীরা।হাওড়া গ্রামীন এলাকা আমতা জ্যোৎকল্যান গ্রামে একই পরিবারের তিন ভাই ভোলানাথ মাইতি, অরুণ মাইতি এবং প্রদ্যুৎ মাইতি প্রতিমা নির্মাণের কাজের সঙ্গে যুক্ত। বড় ভাই ভোলানাথ মাইতি প্রায় ৪৫ বছর ধরে প্রতিমা নির্মাণের কাজের সঙ্গে যুক্ত।
অরুণ মাইতি বলেন, মৃৎশিল্পী দের জন্য সরকারি কোন আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা না থাকায় তাঁরা কোন অর্থনৈতিক সুবিধা পাননি। অন্যান্য কাজের সঙ্গেও যুক্ত থাকতে হয় মাঝে মাঝে।আমতা-১ ও ২ নং ব্লক এলাকায় মৃৎশিল্পীদের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তারা কোন সরকারি সুবিধাই পান নি।হাতে গোনা মাত্র আর কয়েকটা দিন। তারপরই শুরু হয়ে যাবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব শারদীয়া দূর্গা পুজো। মন্ডপে মন্ডপে নিপুন হাতের ছোঁয়ায় তৈরি অপরূপ সাজে দূর্গাপ্রতিমা পৌঁছে দেবেন মৃৎশিল্পীরা। মায়ের আরাধনায় মত্ত হবেন আপামর বাঙালী। আনন্দ উৎসবে মেতে উঠবে এই ধরিত্রী। কিন্তু যে প্রতিমা দেখতে লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থী মন্ডপে মন্ডপে ঘুরে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠবেন সেই প্রতিমা নির্মাণ শিল্পীরাই আজ চরম দুর্দশায়।তার প্রধান ও অন্যতম কারন হল জিএসটি।হাওড়া জেলা জুড়ে কয়েক হাজার মৃৎশিল্পী এখন চরম ব্যাস্ত দূর্গা প্রতিমা নির্মানে। কিন্তু তাদের মনে নেই কোনও আনন্দ। বছরের এই সময়টাতে দুটো বাড়তি টাকা রোজগারের জন্য সারাটা বছর অপেক্ষা করে থাকেন তারা৷ কিন্তু বাজারে গিয়ে প্রতিমা নির্মানের কাঁচামাল কিনতে গিয়েই তাদের মাথায় হাত পড়েছে।