অহংকার– এন.কে.মণ্ডল (ষষ্ঠ পর্ব)
পরেরদিন সকালে কিছু টাকার জন্য রিয়াদের বাড়ি যায় রিয়ার মায়ের কাছে। কাকিমা আমি একটা কথা বলতেছিলাম যদি আপনি রাগ না করেন।
–সুজাতা: না না বাবা,রাগ করব কেন। তুমি নির্ভয়ে বল।
–আসিফ: না মানে কি করে বলি।
–সুজাতা: আরে কোনো সংকোচ নয় বল, তোমার কি দরকার।
–আসিফ: না মানে, গতকাল গ্রাম থেকে ফোন দিয়েছিল, আমার চাচাতো বোনের বিয়ে বাড়ি যেতে হবে। তো আমায় কিছু টাকা দিতেন তো আমার ভালো হত। আমি কথা দিচ্ছি দু মাসের মধ্যে টাকাটা দিয়ে দেব।
–সুজাতা: এই কথা, তো ওতো আমতা আমতা কেন, তোমার কত লাগবে বল।
–আসিফ: হাজার তিনেক তো লাগবেই কাকিমা।
–সুজাতা: ঠিক আছে বাবা, তুমি একটু বসো আমি দিচ্ছি।
একটু পরেই সুজাতা কাকিমা বেরিয়ে আসল এবং আসিফ কে পাঁচ হাজার টাকা দিলো।
–আসিফ: কাকিমা আমার এতো টাকা লাগবে না, আর আমি এত টাকা শোধ করতে অনেক সময় লাগবে আমি এত নেব না।
–সুজাতা: তোমাকে এক টাকাও দিতে হবে না, তোমায় দিলাম,মায়ের কাছে ছেলে কিছু নিলে শোধ করা যায় না বাবা।
–আসিফ: কাকিমা আমি এত টাকা নেব না।
–সুজাতা: নাও ধরো, গিয়ে বোন কে ভালো গিফট কিনে দেবে যাও।
এমন সময় রিয়া বলে উঠল না মা টাকা দেবে না, টাকা দেওয়া যাবে না টাকা কি এতোই সহজ নাকি।
–সুজাতা: কি উল্টা পাল্টা বলছিস,
–রিয়া: হ্যাঁ মা আমি ঠিকই বলছি, টাকা দেওয়া যাবে না।
ও আমায় যদি ওদের গ্রামে আগামীকাল নিয়ে যায় তবে দিতে পারি। তাছাড়া হবে না।