অহংকার – এন.কে.মণ্ডল (চতুর্থ পর্ব)


শনিবার,১৪/০৯/২০১৯
2317

অহংকার – এন.কে.মণ্ডল (চতুর্থ পর্ব)

কিন্তু এই শহরে ছেলেমেয়ে কোথায় পাব। তুমি এককাজ করতে পার আমার পিসির দুই মেয়ে আছে তাদের ভালো টিউটর লাগবে যদি তুমি চাও তো তোমাকে যোগাযোগ করে দিতে পারি।
ঠিক আছে তুমি যোগাযোগ করে দাও আমি পড়াতে যাব।
পরেরদিন যোগাযোগ করে দিয়ে আসলো ওর বান্ধবী শিলা। বেতন মাসে তিন হাজার দেবে ভালোই পয়সা দেবে এখান থেকেই মাসের খরচ উঠে যাবে। যে বাড়িতে পড়াতে যাবে আসিফ সেই বাড়ির গার্জেন প্রশাসনিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। তিনি খুব সৎ ও ন্যায় পরায়ণ ব্যাক্তি। হিন্দু হলেও হিংসা বা জাত পাত ভেদাভেদ নেই খুব ভদ্র পরিবার।
বাড়ির গিন্নীর নাম সুজাতা চক্রবর্তী তিনি নিজের ছেলের মতো ভালোবেসে ফেলেছে আসিফ কে।
সপ্তাহে দুদিন পড়াতে যায় আসিফ। সেখানে রাত্রে খাওয়ার দাওয়া করে আসে। সে দুদিন তাকে রাত্রে রান্নাবান্না করতে হয় না। তার ছাত্রীদের নাম রিয়া ও রিনা।
রিয়া বি.এ প্রথম বর্ষের ছাত্রী এবং রিনা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পার্থী। তারা খুব কিউট এবং ভালো মনের মানুষ। পিতামাতা ভালো হলে সন্তান অটোমেটিকলি ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

যাইহোক ওসব কথা বাদ দিই।
একদিন রাত্রে পড়িয়ে আসার আগে একসঙ্গে খেতে বসে রিয়ার বাবা অর্থাৎ সুজন চক্রবর্তী বলেন বাবা তুমি লাইফে কি হতে চাও। কি আর বলি কাকাবাবু চাইলেই কি হওয়া যায়। কেন যায় না।

–কাকাবাবু: এম.এ কম্পিলিট করার পর কিছু করার চেষ্টা নেই।

–আসিফ: কাকাবাবু আমার ইচ্ছা আছে একটা ভালো ব্যাবসায়ী হব আর লেকচারার হওয়ার বাসনা জাগে।

–কাকাবাবু: লেকচারার হতে পারবে তুমি, তোমার যোগ্যতা প্রামাণ দেয়।

–আসিফ: ঠিক আছে কাকাবাবু আমি তাহলে উঠি।

–কাকাবাবু: হ্যাঁ এসো।

জানো রিয়ার মা ছেলেটা খুব ভালো জানো ওকে একটা কাজ পাইয়ে দেওয়া যায় কি দেখতে হবে।

এন.কে.মণ্ডল

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট