অহংকার – এন.কে.মণ্ডল (তৃতীয় পর্ব)


শুক্রবার,১৩/০৯/২০১৯
1376

অহংকার – এন.কে.মণ্ডল (তৃতীয় পর্ব)

–রুমা: কি গেয়ো ভূতদের বাড়িতে থাকতে দিয়েছো।

— মিঃ আহম্মেদ: কি আজে বাজে বকছিস ও তোর ভাই।

— রুমা: হু একটা গ্রামের গেয় ভূত আমার ভাই কখনোই হতে পারে না। আমি মানব না।

–আহম্মেদ: তুই মানিস আর না মানিস তা দেখে ওর কাজ নেই, ও পড়তে এসেছে পড়াশোনা শেষ করবে চলে যাবে। আসিফ কে কোনো বাজে কথা বলবি না। গ্রামের ছেলে অন্যকিছু ভাবতে পারে বা কষ্ট পেতে পারে।

— রুমা: ও কোন ভার্সিটিতে এডমিশন নিয়েছে বাবা।

— আহম্মেদ: তোর ভার্সিটিতে।

–রুমা: তাহলে মজা দেখতে পাবে। এই বলে রুমা নিজের রুমে চলে এসে জোর করে দরজাটা বন্ধ করে দিলো। কারণ রুমার রুমের সামনা সামনি আসিফের রুম।

আসিফ পরেরদিন ভার্সিটিতে প্রথম যাচ্ছে নতুন সাইকেলে করে। ভার্সিটিতে সাইকেল দেখেই অনেকে কুমন্তব্য করে। তাদের মধ্যে রুমা অন্যতম।

আসিফ কারো কোনো কথায় কান দেয় না, কারণ সে জানে শহরে গ্রমের ছেলে দেখলে অনেক কুটু কথা বলবে। তাই সে ক্লাস করার পর নিজের পড়াতে মন দেয়। একা একা ঘুরে। কোনো বন্ধুবান্ধব নেই নতুন ছেলে।

একদিন লেকচারার ক্লাসে এসে একটা প্রশ্ন করল কিন্তু কেউ উত্তর দিতে পারল না। তখন সবাই কে বলল তোমাদের মধ্য কে পারবে।
কিছুক্ষণ যাওয়ার পর কেউ কোনো উত্তর দিতে পারল না। এবং সবাকে লেকচারার ঘৃন্য ভাষায় আক্রমণ করলেন। তখন ক্লাসের মান বাঁচাতে আসিফ বলল। স্যার আমি বলব উত্তরটা।
সবাই তো অবাক হয়ে গেছে। এ বলবে গেয় ছেলে।
আসিফ উত্তর বুঝিয়ে দিলো লেকচারারকে। লেকচারার উত্তর পেয়ে খুব খুশি এবং তাকে ডেকে আদর করল। ক্লাসের মধ্য কিছুটা সন্মান পেলো।
এবং এখান থেকেই কয়েকটা ছেলে ওর সঙ্গে বেড়ানোর চেষ্টা করছে। এবং কয়েকটা ভালো বান্ধবী হয়। তার নিজের গল্পগুলি বলে।
কয়েকজন বন্ধু পরামর্শ দেয় যে তুমি টিউশনি করাও তাতে তোমার কিছু পয়সা হবে।
এটা তো এখানে মাথায় আসে নি।

এন.কে.মণ্ডল

Affiliate Link Earn Money from IndiaMART Affiliate

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট