কৃপন
মোহাঃ বেলালউদ্দিন মন্ডল
রায়পুর গ্রামে রিঙ্কু ও টিঙ্কু দুই জনে মুদির দোকানে কর্মরত। দুইজনে আলোচনা করছিলো রায়পুর গ্রামের দুইজন কৃপনকে নিয়ে । রোজার ঠিক আগের মহুর্তে সকলে মিলে চাল ডাল সহ রোজার সামগ্রী ক্রয় করতে আসছিলো । টিঙ্কু বলে উঠলো ঐ দেখ আসছে কাকা ।কাকা কেমন আছেন বলে উঠলো রিঙ্কু ।রহিমুদিন কাকা ও রবি কাকা বলে উঠলো ভালো আছি।টিঙ্কু বলে উঠলো কাকা ঘি নিবেন না ।দুই কাকা বলে উঠলো ঘি তো আমরা খুব ভালই বাসী তো আড়াইশো গ্রামের শিশি দাও একখানা।দুইজনে সামগ্রী ক্রয় করে বাড়ি চলে গেলো। দেখতে দেখতে ঈদের দিন নিকটে উপস্থিত হলো আবার সকলে সামগ্রী ক্রয় করতে আসতে শুরু করলো ।সবার মত দুই কাকা দোকানের সামনে উপস্থিত ।রিঙ্কু বলে উঠলো কাকা ঘি আর নিতে আসলেন না অন্য দোকানে নিলেন নাকি? আরে ভাইপো ঘি তো এখনো ফুরাইনি গো । টিঙ্কু বলে উঠলো কিভাবে খেলে একটু বলেন আমরাও ওই ভাবে খাবো এবার থেকে। রহিমুদিন কাকা শুরু করলো আমরা যখন ভাত খেতে বসি তখন ঘিয়ের শিশি টি ছিপি খুলে আমার তর্জনী আঙ্গুল দিয়ে স্পর্শ করি আর আঙুলখানি তুলে ঢাকনা খানি বন্ধ করে দিয় এতে ঘিয়ের সেন্ট ছড়িয়ে পড়ে আর আমরা সকলে ভাত খেতে শুরু করি।তাই ঘি শিশিটির একদাগ ফুরিয়েছে।রবি কাকা বলে উঠলো তোমার থেকে আমার পদ্ধতিটি আরো পাকা। টিঙ্কু বলে উঠলো কাকা বলোনা পদ্ধতিটি ।আমি বলবো কিন্তু মাঝে কথা বললে বলবো না ।রিঙ্কু বলে উঠলো আমরা একটি কথা বলবো না ।শোনো আমরা যখন ভাত খেতে বসি তখন সকলে গোল হয়ে বসি আর ঘিয়ের শিশি টি মাঝখানে রেখে ঘিয়ের শিশিটার ঢাকনাটি খুলেই বন্ধ করে দিয় এতে সারা ঘরে সেন্ট ছড়িয়ে পড়ে আর তার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ভাত খেতে শুরু করি। তাই ঘি কিছুই ফুরাইনি। টিঙ্কু বলে উঠলো বাঃ বাঃ তার জন্যে কাকা রায়পুর অঞ্চলে আপনাদের নামের খুব চর্চা শোনা যায়।
রিঙ্কু বলে উঠলো আশপাশের গ্রামেও চর্চা লোক মুখে শোনা যায় তুই একটু কমকরে বলছিস কিন্তু টিঙ্কু।